নির্বাচনমুখী সংস্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ‘সংস্কার করে নির্বাচন’ এই ধরনের সময়ক্ষেপণের কৌশল জাতি মেনে নেবে না বলে সরকারকে সতর্ক করেন তিনি।
বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ।
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কার করুন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। নির্বাচনের জন্য বেশি সময়ক্ষেপণের কৌশল অবলম্বন করলে জাতি মেনে নেবে না।’ আইনি সংস্কারের পর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে, সেটা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য তার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যে সমস্ত সংস্কার স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার, আপনারা সেটা চিহ্নিত করুন এবং সব মহলের সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুন এবং সেটার আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করার দরকার হয় সেটা করবেন, এর জন্য কত সময় লাগবে আমরা জানি।’ তবে দেরি হলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরার দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। গণহত্যার বিচারে এই সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।’ ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথা বললেও তা থমকে আছে অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি করার জন্য রাজপথে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি। কিন্তু এভাবে আওয়ামী লীগকে কয়দিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন। আপনারা বলবেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আমরা চাই না, আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্ররা একটি দলিল তৈরি করেছে। বিএনপির ও ছাত্রদের দলিল দুইটি সমন্বয় করে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে। তবে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।’
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসররাও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এবং প্রশাসনেও আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসব ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ পদে বহাল রেখে সরকার সফল হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।
মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সেখানে বেশি শক্তিশালী যেখানে মিডিয়ার স্বাধীনতা বেশি। জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখতে হবে। জনাকাক্সক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
২০২৩ সালে বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ ধরে দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মূলনীতিগুলো ৩১ দফা উদ্ধৃত করেছি। সংস্কার কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো গঠন করবে এবং জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সেই সংস্কারগুলো গৃহীত হবে এবং সেটা বাস্তবায়ন হবে তাহলেই জাতির মঙ্গল।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাসরেকা মনা ও সদস্য হোসাইন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নির্বাচনমুখী সংস্কার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ‘সংস্কার করে নির্বাচন’ এই ধরনের সময়ক্ষেপণের কৌশল জাতি মেনে নেবে না বলে সরকারকে সতর্ক করেন তিনি।
বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ।
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কার করুন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। নির্বাচনের জন্য বেশি সময়ক্ষেপণের কৌশল অবলম্বন করলে জাতি মেনে নেবে না।’ আইনি সংস্কারের পর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে, সেটা করা যেতে পারে বলে মন্তব্য তার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যে সমস্ত সংস্কার স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার, আপনারা সেটা চিহ্নিত করুন এবং সব মহলের সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুন এবং সেটার আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করার দরকার হয় সেটা করবেন, এর জন্য কত সময় লাগবে আমরা জানি।’ তবে দেরি হলে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরার দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। গণহত্যার বিচারে এই সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।’ ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথা বললেও তা থমকে আছে অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি করার জন্য রাজপথে নামতে দেবেন না, মানি, সমর্থন করি। কিন্তু এভাবে আওয়ামী লীগকে কয়দিন রাজপথে পুলিশ দিয়ে ঠেকাবেন। আপনারা বলবেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আমরা চাই না, আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্ররা একটি দলিল তৈরি করেছে। বিএনপির ও ছাত্রদের দলিল দুইটি সমন্বয় করে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে। তবে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।’
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসররাও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এবং প্রশাসনেও আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসব ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ পদে বহাল রেখে সরকার সফল হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।
মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র সেখানে বেশি শক্তিশালী যেখানে মিডিয়ার স্বাধীনতা বেশি। জাতীয় ঐকমত্য বজায় রাখতে হবে। জনাকাক্সক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
২০২৩ সালে বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ ধরে দলটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মূলনীতিগুলো ৩১ দফা উদ্ধৃত করেছি। সংস্কার কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো গঠন করবে এবং জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সেই সংস্কারগুলো গৃহীত হবে এবং সেটা বাস্তবায়ন হবে তাহলেই জাতির মঙ্গল।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান বক্তব্য দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাসরেকা মনা ও সদস্য হোসাইন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।