alt

রাজনীতি

নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়াসহ আট আসামিই খালাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আঠার বছর আগের নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। তিনি যখন ২০০১-২০০৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

খালাস পাওয়া বাকি সাতজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

ওই ১১ জনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

এ মামলার বিচার চলাকালে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ে পর্যায়ে আসে।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিন ডজনের বেশি মামলা করা হয়েছিল।

এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের এবং জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরেরর সাজার রায় হয়।

ওই দুই মামলার রায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

গতবছর অগাস্টে আওয়ামী লীগের সরকারপতনের পর ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করে তাকে পুরোপুরি মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি।

তবে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার জন্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আইনি লড়াই চালিয়ে যান। আপিল বিভাগ জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় এবং হাই কোর্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে খালাস দেয়।

ওই দুটি মামলা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য এবং ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের হওয়া মানহানির পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

ছবি

তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা আগামীর বাংলাদেশ গড়বে : সারজিস

ছবি

জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না : রিজভী

ছবি

নির্বাচনের আগে সংস্কার নয়: জিএম কাদের

ছবি

আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারের ঘোষণা জামায়াত আমিরের

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আত্মপ্রকাশ

ছবি

সংস্কারের গল্প নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান : আমীর খসরু

ছবি

কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের ‘অপব্যবহার’ : জবি ছাত্রদল

ছবি

দুঃখপ্রকাশ করে ছাত্রদল বলল ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে কুয়েটে সংঘাত’

ছবি

কুয়েটে হামলায় ‘বৈষম্যবিরোধী, ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা’: ছাত্রদল

ছবি

সরকারে থেকে দল গোছানোর কৌশল নিতে দেব না: ফখরুল

ছবি

মেনন-ইনু ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

বিএনপি কখনো মিথ্যা কথা বলে না : ডা. জাহিদ

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার ৭ দিনের রিমান্ডে

ছবি

খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় রায় আজ

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে: তারেক রহমান

ছবি

মুক্তি না দিলে সরকারের ‘বিদায়’ হবে: জামায়াতে ইসলামী

ছবি

গাজীপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ: এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও দলের নিবন্ধন ফেরতের দাবি

ছবি

যশোর বিএনপির ‘স্মরণকালের সেরা’ মহাসমাবেশ, পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল

ছবি

শেখ হাসিনার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

ছবি

আ.লীগ সরকারের ১১ মন্ত্রীসহ ১৬ জন মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে

ছবি

নতুন ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা আসছে শিগগিরই

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে পানির ন্যায্য হিস্যা দিন: মির্জা ফখরুল

ছবি

কখনোই শিবির ছিলাম না, উপদেষ্টা রিজওয়ানা আমার চাচি নন : ডা. তাসনিম জারা

ছবি

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার

ছবি

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

ছবি

দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান তারেক রহমানের

ছবি

সাত বছর পর বিএনপির বর্ধিত সভা

ছবি

ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে শেখ হাসিনা গুম-খুন করেছেন : এ্যানি

ছবি

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ গ্রেফতার ৩

ছবি

ন্যূনতম সংস্কার শেষে ‘অতিদ্রুত’ জাতীয় নির্বাচন হবে, আশা মির্জা ফখরুলের

ছবি

আ. লীগের বিচারে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আবারও প্রতিবাদে নামবো : সারজিস আলম

ছবি

জাতীয় নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব: রিজভী

ছবি

সংস্কার ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ

ছবি

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া মানে রাজনীতিবিদদের অবিশ্বাস করা : রিজভী

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ, অংশ নেবেন যারা

tab

রাজনীতি

নাইকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়াসহ আট আসামিই খালাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আঠার বছর আগের নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। তিনি যখন ২০০১-২০০৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

খালাস পাওয়া বাকি সাতজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

ওই ১১ জনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

এ মামলার বিচার চলাকালে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ে পর্যায়ে আসে।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তিন ডজনের বেশি মামলা করা হয়েছিল।

এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের এবং জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরেরর সাজার রায় হয়।

ওই দুই মামলার রায়ে তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

গতবছর অগাস্টে আওয়ামী লীগের সরকারপতনের পর ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করে তাকে পুরোপুরি মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি।

তবে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার জন্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আইনি লড়াই চালিয়ে যান। আপিল বিভাগ জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় এবং হাই কোর্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে খালাস দেয়।

ওই দুটি মামলা ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য এবং ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের হওয়া মানহানির পাঁচ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

back to top