সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশার কথা পুনরায় জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর তিন ঘণ্টার বেশি সময়ের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে গঠিত ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল জানান, প্রথম সভায় প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, "এরপর একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। এটিই আজকের বৈঠকের মূল বিষয়। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত সংস্কার বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি হবে এবং তার ভিত্তিতেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে হবে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনই সবার আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকের আলোচনা ছিল মূলত পরিচিতিমূলক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছে। তবে, কোনো গঠনমূলক আলোচনা হয়নি, কারণ সেটির সুযোগ ছিল না।"
বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। তার সঙ্গে ছিলেন জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) থেকে মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপির অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের এসএম আলতাফ হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফতে মজলিশের আবদুল বাছিদ আজাদ ও আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ জাসদের নুরুল আম্বিয়া ও এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও বৈঠকে অংশ নেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন নাসীরদ্দীন পাটওয়ারী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠিত হয়, যা শনিবার প্রথম বৈঠক করে।
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশার কথা পুনরায় জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর তিন ঘণ্টার বেশি সময়ের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে গঠিত ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাজনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল জানান, প্রথম সভায় প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, "এরপর একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। এটিই আজকের বৈঠকের মূল বিষয়। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত সংস্কার বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি হবে এবং তার ভিত্তিতেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে হবে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনই সবার আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকের আলোচনা ছিল মূলত পরিচিতিমূলক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছে। তবে, কোনো গঠনমূলক আলোচনা হয়নি, কারণ সেটির সুযোগ ছিল না।"
বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল। তার সঙ্গে ছিলেন জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) থেকে মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপির অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের এসএম আলতাফ হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফতে মজলিশের আবদুল বাছিদ আজাদ ও আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ জাসদের নুরুল আম্বিয়া ও এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলও বৈঠকে অংশ নেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন নাসীরদ্দীন পাটওয়ারী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠিত হয়, যা শনিবার প্রথম বৈঠক করে।