জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান দলের কারাবন্দী নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
শফিকুর রহমান তার পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনো বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাঁকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকবো। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে তিনি ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু শুনানি হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জামায়াতের আমির স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে জামায়াত। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান সরকারকে ‘ধৈর্যের পরীক্ষা’ না নিতে অনুরোধ জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কোন জিনিস এখনো আজহারুল ইসলামকে আটকে রাখতে বাধ্য করেছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভদ্র, বোকা নই। ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। জামায়াত সাড়ে ১৫ বছর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে, কিন্তু আপস করেনি। জামায়াত নেতাদের ফাঁসির কাষ্ঠে নেওয়ার আগেও নানা প্রস্তাব এসেছিল। ওই সব প্রস্তাব পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান দলের কারাবন্দী নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
শফিকুর রহমান তার পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনো বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাঁকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকবো। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে তিনি ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য ছিল, কিন্তু শুনানি হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জামায়াতের আমির স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে জামায়াত। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান সরকারকে ‘ধৈর্যের পরীক্ষা’ না নিতে অনুরোধ জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কোন জিনিস এখনো আজহারুল ইসলামকে আটকে রাখতে বাধ্য করেছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভদ্র, বোকা নই। ভদ্রতাকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। জামায়াত সাড়ে ১৫ বছর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে, কিন্তু আপস করেনি। জামায়াত নেতাদের ফাঁসির কাষ্ঠে নেওয়ার আগেও নানা প্রস্তাব এসেছিল। ওই সব প্রস্তাব পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছেন।’