আলোচিত ‘ছাগলকাণ্ড’ সংশ্লিষ্ট সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের আইনজীবী হিসেবে মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
এই শুনানির পর মাসুদের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।
বুধবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইমরানের জামিন শুনানিতে মাসুদ আদালতে বলেন, ‘‘তিনি (ইমরান হোসেন) একজন ক্লিন হ্যান্ড মানুষ। উনি কিন্তু দেশের বাইরে ছিলেন। ক্লিন হ্যান্ড না হলে দেশে আসতেন না। তার যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি।’’ তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় তরফে তার পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি নেতারা জানান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় বিগত সরকারের সুবিধাভোগী আসামিদের পক্ষ নেওয়ায় তাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার সব পর্যায়ের পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
উল্লেখ্য, অর্থপাচারের মামলায় সোমবার বিকালে ঢাকার মালিবাগ থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধ উপায়ে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার তথ্য দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ভাষ্য, দেশি গরু-ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ হিসেবে প্রচার চালিয়ে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ আয় ১২১ কোটি টাকার বেশি।
মাসুদ আহমেদ তালুকদারের পদ স্থগিতের ঘটনায় বিএনপির অভ্যন্তরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সিদ্ধান্তকে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেক নেতা-কর্মী। তবে মাসুদের সমর্থকরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে দেখার কোনো যুক্তি নেই।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
আলোচিত ‘ছাগলকাণ্ড’ সংশ্লিষ্ট সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের আইনজীবী হিসেবে মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
এই শুনানির পর মাসুদের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।
বুধবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইমরানের জামিন শুনানিতে মাসুদ আদালতে বলেন, ‘‘তিনি (ইমরান হোসেন) একজন ক্লিন হ্যান্ড মানুষ। উনি কিন্তু দেশের বাইরে ছিলেন। ক্লিন হ্যান্ড না হলে দেশে আসতেন না। তার যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি।’’ তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় তরফে তার পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপি নেতারা জানান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় বিগত সরকারের সুবিধাভোগী আসামিদের পক্ষ নেওয়ায় তাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার সব পর্যায়ের পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
উল্লেখ্য, অর্থপাচারের মামলায় সোমবার বিকালে ঢাকার মালিবাগ থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন অবৈধ উপায়ে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার তথ্য দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ভাষ্য, দেশি গরু-ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ হিসেবে প্রচার চালিয়ে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ আয় ১২১ কোটি টাকার বেশি।
মাসুদ আহমেদ তালুকদারের পদ স্থগিতের ঘটনায় বিএনপির অভ্যন্তরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সিদ্ধান্তকে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেক নেতা-কর্মী। তবে মাসুদের সমর্থকরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে দেখার কোনো যুক্তি নেই।