মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া আট বছরের শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার দুপুরে শিশুটির মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তিনি চিকিৎসা ও ন্যায়বিচারের জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় নেতাকর্মীদেরও শিশুটির পরিবারকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি।
শিশুটিকে শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ঢাকা মেডিকেলে বিএনপির মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলামের (নয়ন) মোবাইল ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।
শিশুটির মা তারেক রহমানকে জানান, তার মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তারেক রহমান বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি, বিশেষ করে নয়নকে। মাগুরায় আমাদের যেসব নেতাকর্মী আছেন, তাদের বলেছি, তারা শিশুটির পাশে থাকবেন, যাতে সে ন্যায়বিচার পায়। যারা এই অন্যায় করেছে, তারা যেন শাস্তি পায়। আমরা চেষ্টা করব, যতটুকু সম্ভব, যাতে দেশের আইন অনুযায়ী আপনারা ন্যায়বিচার পান।”
তিনি শিশুটির মাকে আরও বলেন, “আমি নয়নকে বলেছি, শিশুটির চিকিৎসার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো যেন নেওয়া হয়। চিন্তা করবেন না, আমরা আছি, দেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।”
শিশুটির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আপনি যদি দেখতেন, আমার ছোট মেয়ের সাথে কী করা হয়েছে। আপনার কাছে আবেদন, আপনি দোয়া করবেন, যাতে আমি আমার মেয়েকে ফেরত পাই। আর যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়।”
এরপর ঢাকা মেডিকেলে শিশুটিকে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম ও নিপুণ রায় চৌধুরী। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “শিশুটির ওপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, এটা মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। তার কি বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই? আমার প্রশ্ন, সরকার কী করছে? আপনারা কী করছেন? একের পর এক ঘটনা ঘটছে।”
গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। শনিবার বিকালে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, “সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের নির্দেশে ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।”
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া আট বছরের শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার দুপুরে শিশুটির মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তিনি চিকিৎসা ও ন্যায়বিচারের জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় নেতাকর্মীদেরও শিশুটির পরিবারকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি।
শিশুটিকে শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) স্থানান্তর করা হয়। এর আগে ঢাকা মেডিকেলে বিএনপির মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলামের (নয়ন) মোবাইল ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।
শিশুটির মা তারেক রহমানকে জানান, তার মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় এবং তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তারেক রহমান বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি, বিশেষ করে নয়নকে। মাগুরায় আমাদের যেসব নেতাকর্মী আছেন, তাদের বলেছি, তারা শিশুটির পাশে থাকবেন, যাতে সে ন্যায়বিচার পায়। যারা এই অন্যায় করেছে, তারা যেন শাস্তি পায়। আমরা চেষ্টা করব, যতটুকু সম্ভব, যাতে দেশের আইন অনুযায়ী আপনারা ন্যায়বিচার পান।”
তিনি শিশুটির মাকে আরও বলেন, “আমি নয়নকে বলেছি, শিশুটির চিকিৎসার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো যেন নেওয়া হয়। চিন্তা করবেন না, আমরা আছি, দেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।”
শিশুটির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আপনি যদি দেখতেন, আমার ছোট মেয়ের সাথে কী করা হয়েছে। আপনার কাছে আবেদন, আপনি দোয়া করবেন, যাতে আমি আমার মেয়েকে ফেরত পাই। আর যারা এই কাজ করেছে, তাদের যেন শাস্তি হয়।”
এরপর ঢাকা মেডিকেলে শিশুটিকে দেখতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম ও নিপুণ রায় চৌধুরী। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “শিশুটির ওপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, এটা মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। তার কি বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই? আমার প্রশ্ন, সরকার কী করছে? আপনারা কী করছেন? একের পর এক ঘটনা ঘটছে।”
গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। শনিবার বিকালে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, “সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের নির্দেশে ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।”