জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে তিনি দাবি করেছেন, "অনেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।"
শনিবার বিকেলে দলের এক কর্মশালায় তিনি বলেন, "রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমি আশাবাদী যে নির্বাচন হবে। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মনে হয়, অনেকে এটি বানচালের চেষ্টা করছে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "নির্বাচন হলে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা সরকার গঠন করব। আর যদি না দেয়, তবে যাকে দেবে, তাকে মেনে নেব।"
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, "নির্বাচনের কথা শুনলে অনেকের মাথা খারাপ হয়ে যায়।"
সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "সরকার সংস্কারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু কী সংস্কার হয়েছে, সেটা কেউ জানে না।"
তিনি দাবি করেন, "আড়াই বছর আগে তারেক রহমান প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের কথা বলেছিলেন। আজ সরকার সেটার ওপর কাজ করছে। যদি বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতো, তাহলে এত সময় নষ্ট করতে হতো না।"
কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, "নির্বাচনের কথা শুনলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কারণ, তারা কখনো নির্বাচন করেনি বা করবেও না। কিন্তু নির্বাচনই একটি দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে, ৫ হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন, ৩০ হাজার পঙ্গু হয়েছেন—এটা বাতাস খাওয়ার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ও নির্বাচনের জন্য।"
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, "কিছু বিশেষ গণমাধ্যম বিএনপির পক্ষে ইতিবাচক কিছু লেখে না। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রশংসায় ভাসায়।"
এছাড়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "একজন আলেম ফেসবুকে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। অথচ বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতে করা অনেক অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।"
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, নির্বাচন ছাড়া এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না। যদি সাহস থাকে, তাহলে সরকার ঘোষণা দিক যে, তারা আর নির্বাচনের প্রয়োজন মনে করে না!"
ঢাকার মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সবুজবাগ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে তিনি দাবি করেছেন, "অনেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।"
শনিবার বিকেলে দলের এক কর্মশালায় তিনি বলেন, "রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমি আশাবাদী যে নির্বাচন হবে। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মনে হয়, অনেকে এটি বানচালের চেষ্টা করছে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "নির্বাচন হলে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা সরকার গঠন করব। আর যদি না দেয়, তবে যাকে দেবে, তাকে মেনে নেব।"
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, "নির্বাচনের কথা শুনলে অনেকের মাথা খারাপ হয়ে যায়।"
সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "সরকার সংস্কারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু কী সংস্কার হয়েছে, সেটা কেউ জানে না।"
তিনি দাবি করেন, "আড়াই বছর আগে তারেক রহমান প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের কথা বলেছিলেন। আজ সরকার সেটার ওপর কাজ করছে। যদি বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতো, তাহলে এত সময় নষ্ট করতে হতো না।"
কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, "নির্বাচনের কথা শুনলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কারণ, তারা কখনো নির্বাচন করেনি বা করবেও না। কিন্তু নির্বাচনই একটি দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে, ৫ হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন, ৩০ হাজার পঙ্গু হয়েছেন—এটা বাতাস খাওয়ার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ও নির্বাচনের জন্য।"
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, "কিছু বিশেষ গণমাধ্যম বিএনপির পক্ষে ইতিবাচক কিছু লেখে না। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম বিশেষ রাজনৈতিক দলকে প্রশংসায় ভাসায়।"
এছাড়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "একজন আলেম ফেসবুকে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। অথচ বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতে করা অনেক অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।"
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, নির্বাচন ছাড়া এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না। যদি সাহস থাকে, তাহলে সরকার ঘোষণা দিক যে, তারা আর নির্বাচনের প্রয়োজন মনে করে না!"
ঢাকার মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সবুজবাগ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।