রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের সরকারকে বিদায় জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে চলে যেতে হবে।”
কি ঘটেছিল?
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কচুক্ষেত এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন যুবক রেস্তোরাঁয় ঢুকে অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং তা পণ্ড করার চেষ্টা করে। এতে উপস্থিত জাপা কর্মীরা হামলাকারীদের বের করে দেন। কিন্তু হামলাকারীরা পরে ফিরে এসে হকিস্টিক ও ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় ১০-১২ জন জাপা কর্মীসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন, এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না, তবে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীরা বস্তির ভাড়া করা লোক মনে হয়েছে” এবং তাদের একটাই দাবি ছিল, প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। তবে হামলাকারীরা নিজেদের পরিচয় দেননি।
পল্লবীতেও হামলা
এটি জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা। এর আগে, ৮ মার্চ পল্লবীতে একটি ইফতার মাহফিলের সময় উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়ে ইফতার বন্ধ করে দেয়, যা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
সরকারের বিদায় চেয়েছেন জি এম কাদের
এই হামলার পর জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে সরকারের বিদায়ের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারের চলে যাওয়াটা জরুরি।”
জি এম কাদের আরও বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, পুলিশ কার্যকর না হয়ে পুরো দেশকে আগুনের মুখে ফেলছে। মানুষ নিরাপদ নয়, সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করলেও সেটা তারা দিতে পারছে না।”
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করে বলেন, “যারা দেশের দায়িত্ব নিতে পারছেন না, তাদের চলে যেতে হবে। অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে দেশের জন্য ভালো হবে।”
সহিংসতা, বৈষম্য ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ
জি এম কাদের সম্প্রতি দেশব্যাপী সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সরকার দেশকে বিভক্ত করছে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের নামে সরকার একটি প্রহসন আয়োজন করবে। তারা কোনো নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে না এবং আমাদের মিছিল-মিটিংও করতে দিচ্ছে না।”
সংস্কারের প্রশ্ন
জি এম কাদের বলেন, “সংস্কারের নামে সরকারের উদ্দেশ্য ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, ফলে তাদের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত হবে না।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবং এই সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের সরকারকে বিদায় জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে চলে যেতে হবে।”
কি ঘটেছিল?
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কচুক্ষেত এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন যুবক রেস্তোরাঁয় ঢুকে অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং তা পণ্ড করার চেষ্টা করে। এতে উপস্থিত জাপা কর্মীরা হামলাকারীদের বের করে দেন। কিন্তু হামলাকারীরা পরে ফিরে এসে হকিস্টিক ও ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় ১০-১২ জন জাপা কর্মীসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন, এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না, তবে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীরা বস্তির ভাড়া করা লোক মনে হয়েছে” এবং তাদের একটাই দাবি ছিল, প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। তবে হামলাকারীরা নিজেদের পরিচয় দেননি।
পল্লবীতেও হামলা
এটি জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা। এর আগে, ৮ মার্চ পল্লবীতে একটি ইফতার মাহফিলের সময় উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়ে ইফতার বন্ধ করে দেয়, যা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
সরকারের বিদায় চেয়েছেন জি এম কাদের
এই হামলার পর জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে সরকারের বিদায়ের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারের চলে যাওয়াটা জরুরি।”
জি এম কাদের আরও বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, পুলিশ কার্যকর না হয়ে পুরো দেশকে আগুনের মুখে ফেলছে। মানুষ নিরাপদ নয়, সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করলেও সেটা তারা দিতে পারছে না।”
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করে বলেন, “যারা দেশের দায়িত্ব নিতে পারছেন না, তাদের চলে যেতে হবে। অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে দেশের জন্য ভালো হবে।”
সহিংসতা, বৈষম্য ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ
জি এম কাদের সম্প্রতি দেশব্যাপী সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সরকার দেশকে বিভক্ত করছে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের নামে সরকার একটি প্রহসন আয়োজন করবে। তারা কোনো নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে না এবং আমাদের মিছিল-মিটিংও করতে দিচ্ছে না।”
সংস্কারের প্রশ্ন
জি এম কাদের বলেন, “সংস্কারের নামে সরকারের উদ্দেশ্য ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, ফলে তাদের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত হবে না।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবং এই সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।