alt

রাজনীতি

জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা, সরকারের ‘বিদায়’ চেয়েছেন জি এম কাদের, প্রশ্ন তুলেছেন সংস্কার নিয়েও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের সরকারকে বিদায় জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে চলে যেতে হবে।”

কি ঘটেছিল?

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কচুক্ষেত এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন যুবক রেস্তোরাঁয় ঢুকে অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং তা পণ্ড করার চেষ্টা করে। এতে উপস্থিত জাপা কর্মীরা হামলাকারীদের বের করে দেন। কিন্তু হামলাকারীরা পরে ফিরে এসে হকিস্টিক ও ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় ১০-১২ জন জাপা কর্মীসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন, এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না, তবে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীরা বস্তির ভাড়া করা লোক মনে হয়েছে” এবং তাদের একটাই দাবি ছিল, প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। তবে হামলাকারীরা নিজেদের পরিচয় দেননি।

পল্লবীতেও হামলা

এটি জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা। এর আগে, ৮ মার্চ পল্লবীতে একটি ইফতার মাহফিলের সময় উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়ে ইফতার বন্ধ করে দেয়, যা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

সরকারের বিদায় চেয়েছেন জি এম কাদের

এই হামলার পর জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে সরকারের বিদায়ের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারের চলে যাওয়াটা জরুরি।”

জি এম কাদের আরও বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, পুলিশ কার্যকর না হয়ে পুরো দেশকে আগুনের মুখে ফেলছে। মানুষ নিরাপদ নয়, সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করলেও সেটা তারা দিতে পারছে না।”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করে বলেন, “যারা দেশের দায়িত্ব নিতে পারছেন না, তাদের চলে যেতে হবে। অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে দেশের জন্য ভালো হবে।”

সহিংসতা, বৈষম্য ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ

জি এম কাদের সম্প্রতি দেশব্যাপী সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সরকার দেশকে বিভক্ত করছে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের নামে সরকার একটি প্রহসন আয়োজন করবে। তারা কোনো নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে না এবং আমাদের মিছিল-মিটিংও করতে দিচ্ছে না।”

সংস্কারের প্রশ্ন

জি এম কাদের বলেন, “সংস্কারের নামে সরকারের উদ্দেশ্য ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, ফলে তাদের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত হবে না।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবং এই সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।

ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে জামায়াত, ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো আপত্তি নেই: তাহের

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির অবস্থান: ছাড় দিয়ে একমত, কিছু প্রস্তাবে আপত্তি

ছবি

‘আমরাই সবচেয়ে বেশি সংস্কার করেছি, আমাদের নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে’

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন: মঈন খান

ছবি

মৌলিক সংস্কার না হলে স্বৈরাচারী কাঠামো বিরাজমান থাকবে: বদিউল মজুমদার

ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপি কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ভাঙচুর

ছবি

বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

‘তড়িঘড়ি’ টেলিকম নীতিমালা ঘোষণার সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

ছবি

জুলাই পদযাত্রার ভ্যানে ‘হাতবোমা’ বিস্ফোরণের অভিযোগ, এনসিপির বিক্ষোভ

ছবি

দেশের প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া যখন ডাক দিবেন মানুষ রাজপথ প্রকম্পিত করে ছুটে আসবে : মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন

ছবি

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন: বিভক্তি ও অস্থিরতার আশঙ্কায় তারেক রহমান

ছবি

গুম-খুনের তালিকা তৈরির তাগিদ, আন্দোলনে নিহতদের পুনর্বাসনের ওপর গুরুত্ব খালেদা জিয়ার

ছবি

নির্বাচনের তারিখ বা সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: বিএনপির আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি থাকবেন খালেদা-তারেক

ছবি

জুলাই সনদ আদায় করেই ছাড়ব: নাহিদ ইসলাম

ছবি

আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

ছবি

রংপুরের পথে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু

আনুপাতিক ভোটের পক্ষে একমত হওয়ার আহ্বান ‘৬০ নাগরিকের

ছবি

‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ প্রকাশ, বাদ ডিসি-এসপি, ইভিএম সংশ্লিষ্ট ধারা

ছবি

নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্ক আরও গভীর হবে—চীন সফর শেষে বললেন মির্জা ফখরুল

ছবি

‘জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পূরণ সম্ভব’: এনসিপি আহ্বায়ক

ছবি

একজন উপদেষ্টা মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন: মির্জা ফখরুল

ছবি

“নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার” — জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রশ্ন

ছবি

মুরাদনগরে হিন্দু নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানাল বিএনপি

ছবি

নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাবে এখনো একমত নয় সব রাজনৈতিক দল

ছবি

নির্বাচনের সময় বিলম্বে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: মির্জা আব্বাস

ছবি

আনুপাতিক নির্বাচন দেশের উপযোগী নয়: সালাহউদ্দিন

ছবি

‘রাষ্ট্র সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, চিরস্থায়ী নয়’— বললেন বিএনপি নেতা

ছবি

সংসদের পিআর পদ্ধতি ও আল্লাহর ওপর আস্থার দাবি তুলে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ

ছবি

আলোচনা, দোয়া, গণমিছিলসহ ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত

ছবি

সংস্কার ও পিআর পদ্ধতির দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ

ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

ছবি

ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ বলা ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র: হেফাজত

ছবি

হাসনাতের ভিডিও পোস্ট ঘিরে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত, দুদকের পাল্টা সতর্কতা

ছবি

বটবাহিনীর সহযোগিতায় মুনাফেকি রাজনীতি করছে জামায়াত-শিবির: ছাত্রদল সভাপতি

ছবি

হাসনাতের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তদন্তে দুদক

tab

রাজনীতি

জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা, সরকারের ‘বিদায়’ চেয়েছেন জি এম কাদের, প্রশ্ন তুলেছেন সংস্কার নিয়েও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার পর দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের সরকারকে বিদায় জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে চলে যেতে হবে।”

কি ঘটেছিল?

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কচুক্ষেত এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন যুবক রেস্তোরাঁয় ঢুকে অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং তা পণ্ড করার চেষ্টা করে। এতে উপস্থিত জাপা কর্মীরা হামলাকারীদের বের করে দেন। কিন্তু হামলাকারীরা পরে ফিরে এসে হকিস্টিক ও ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হামলায় ১০-১২ জন জাপা কর্মীসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন, এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না, তবে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীরা বস্তির ভাড়া করা লোক মনে হয়েছে” এবং তাদের একটাই দাবি ছিল, প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। তবে হামলাকারীরা নিজেদের পরিচয় দেননি।

পল্লবীতেও হামলা

এটি জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় ইফতার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা। এর আগে, ৮ মার্চ পল্লবীতে একটি ইফতার মাহফিলের সময় উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়ে ইফতার বন্ধ করে দেয়, যা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

সরকারের বিদায় চেয়েছেন জি এম কাদের

এই হামলার পর জি এম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে সরকারের বিদায়ের দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারের চলে যাওয়াটা জরুরি।”

জি এম কাদের আরও বলেন, “সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে, পুলিশ কার্যকর না হয়ে পুরো দেশকে আগুনের মুখে ফেলছে। মানুষ নিরাপদ নয়, সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করলেও সেটা তারা দিতে পারছে না।”

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করে বলেন, “যারা দেশের দায়িত্ব নিতে পারছেন না, তাদের চলে যেতে হবে। অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে দেশের জন্য ভালো হবে।”

সহিংসতা, বৈষম্য ও নির্বাচনের প্রসঙ্গ

জি এম কাদের সম্প্রতি দেশব্যাপী সহিংসতা ও বৈষম্যের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সরকার দেশকে বিভক্ত করছে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের নামে সরকার একটি প্রহসন আয়োজন করবে। তারা কোনো নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে না এবং আমাদের মিছিল-মিটিংও করতে দিচ্ছে না।”

সংস্কারের প্রশ্ন

জি এম কাদের বলেন, “সংস্কারের নামে সরকারের উদ্দেশ্য ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই, ফলে তাদের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত হবে না।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবং এই সরকারের বিদায় নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।

back to top