জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ জানিয়েছেন, কমিশনের পাঠানো ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২০টির সঙ্গে একমত এলডিপি। তবে ৪২টি প্রস্তাবে তারা একমত নয়, দুটি প্রস্তাবে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব নিয়ে তাদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার এলডি হলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সংলাপে অংশ নেন।
অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
সংবিধান সংস্কারের ৭০টি সুপারিশের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, ১টিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে দলটি। বিচার বিভাগ সংস্কারের ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২২টির সঙ্গে একমত এলডিপি, একটির সঙ্গে আংশিক একমত। দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০টি সংস্কার প্রস্তাবের সবগুলোই এলডিপি সমর্থন করেছে।
জনপ্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টির পক্ষে এলডিপি, ১৫টির বিপক্ষে। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৬টিতে একমত ও ১১টিতে একমত নয় বলে জানিয়েছে দলটি।
সংলাপ শেষে অলি আহমেদ বলেন, "নির্বাচন কমিশন সংস্কারের সুপারিশ দুর্বল ছিল। অতীতের সংলাপের তথ্য বিশ্লেষণ করা দরকার ছিল।" তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দুই ধরনের সরকারি কর্মকর্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ—একজন ওসি এবং একজন ইউএনও।"
এলডিপির মতামতের নথি কাউকে না দেওয়ার অনুরোধ করলে কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ নিশ্চিত করেন, "আমরা কাউকে দেব না।"
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে ছয়টি কমিশন ইতোমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে ১৩ মার্চের মধ্যে এসব সুপারিশের ওপর মতামত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এখন এসব মতামত পর্যালোচনা করে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করবে কমিশন, যা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ জানিয়েছেন, কমিশনের পাঠানো ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২০টির সঙ্গে একমত এলডিপি। তবে ৪২টি প্রস্তাবে তারা একমত নয়, দুটি প্রস্তাবে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব নিয়ে তাদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার এলডি হলে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সংলাপে অংশ নেন।
অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
সংবিধান সংস্কারের ৭০টি সুপারিশের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, ১টিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে দলটি। বিচার বিভাগ সংস্কারের ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২২টির সঙ্গে একমত এলডিপি, একটির সঙ্গে আংশিক একমত। দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০টি সংস্কার প্রস্তাবের সবগুলোই এলডিপি সমর্থন করেছে।
জনপ্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টির পক্ষে এলডিপি, ১৫টির বিপক্ষে। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৬টিতে একমত ও ১১টিতে একমত নয় বলে জানিয়েছে দলটি।
সংলাপ শেষে অলি আহমেদ বলেন, "নির্বাচন কমিশন সংস্কারের সুপারিশ দুর্বল ছিল। অতীতের সংলাপের তথ্য বিশ্লেষণ করা দরকার ছিল।" তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দুই ধরনের সরকারি কর্মকর্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ—একজন ওসি এবং একজন ইউএনও।"
এলডিপির মতামতের নথি কাউকে না দেওয়ার অনুরোধ করলে কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ নিশ্চিত করেন, "আমরা কাউকে দেব না।"
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে ছয়টি কমিশন ইতোমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে ১৩ মার্চের মধ্যে এসব সুপারিশের ওপর মতামত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এখন এসব মতামত পর্যালোচনা করে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করবে কমিশন, যা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করবে।