বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনায় সেনাবাহিনী। বিএনপির দাবি, সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলছেন, “আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘নেতিবাচক’ দৃষ্টিভঙ্গি রাখি না।”
এ বিতর্কটি শুরু হয় হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টের মাধ্যমে,সেখানে তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এই পোস্টে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়, পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
হাসনাতের মন্তব্যের বিষয়ে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা গেছে।
এই পোস্টের পর বিএনপি দাবি করেন সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমানও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা আরো তীব্র হতে পারে, এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।” বিএনপি নেতারা সবাইকে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, এবং বলছেন যে, অতীতে যেমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল, তেমনি এখন সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে, এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা শহরে এক ইফতার অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশে টক অব দা টাউন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ধরনের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমাদের সার্বভৌমত্বকে, আমাদেরকে রক্ষা করতে দেখেছি। ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র-নাগরিককের সঙ্গে আওয়ামীবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা এ বিষয়টি বলব, আপনার জনগণের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিয়েন না।”
হাসনাত বলেন, “গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, ডামি নির্বাচন হয়েছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে, কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে, এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা কোনো জেনারেলকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমরা কোনো সচিবকে পদত্যাগ করে দেখি নাই।
“আমরা কোনো ডিসিকে জনতার কাতারে নেমে আসতে দেখি নাই। আমরা আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, পরবর্তী বাংলাদেশটা আওয়ামী লীগ যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে, আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে, আপনাদের সহযোগিতায় এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।”
“আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জনতাকে যেন এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড় করিয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।”
“সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান হল আমাদের-আপনাদের।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের সংস্থার সংস্কারের বিষয়ে স্পষ্ট রোড ম্যাপ উপস্থাপন করতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, “বিচার নিশ্চিত করতে হবে, এবং যদি আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত না হয়, তবে আমরা ধরে নেব তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে।” অবশেষে, তিনি আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আহ্বান জানান এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলটিকে চিরকাল বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনায় সেনাবাহিনী। বিএনপির দাবি, সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলছেন, “আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘নেতিবাচক’ দৃষ্টিভঙ্গি রাখি না।”
এ বিতর্কটি শুরু হয় হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টের মাধ্যমে,সেখানে তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এই পোস্টে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়, পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মত প্রকাশ করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
হাসনাতের মন্তব্যের বিষয়ে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখা গেছে।
এই পোস্টের পর বিএনপি দাবি করেন সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমানও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা আরো তীব্র হতে পারে, এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।” বিএনপি নেতারা সবাইকে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, এবং বলছেন যে, অতীতে যেমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল, তেমনি এখন সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে, এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা শহরে এক ইফতার অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশে টক অব দা টাউন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ধরনের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমাদের সার্বভৌমত্বকে, আমাদেরকে রক্ষা করতে দেখেছি। ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র-নাগরিককের সঙ্গে আওয়ামীবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা এ বিষয়টি বলব, আপনার জনগণের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিয়েন না।”
হাসনাত বলেন, “গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, ডামি নির্বাচন হয়েছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে, কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে, এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা কোনো জেনারেলকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমরা কোনো সচিবকে পদত্যাগ করে দেখি নাই।
“আমরা কোনো ডিসিকে জনতার কাতারে নেমে আসতে দেখি নাই। আমরা আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, পরবর্তী বাংলাদেশটা আওয়ামী লীগ যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে, আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে, আপনাদের সহযোগিতায় এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।”
“আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, জনতাকে যেন এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড় করিয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।”
“সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান হল আমাদের-আপনাদের।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের সংস্থার সংস্কারের বিষয়ে স্পষ্ট রোড ম্যাপ উপস্থাপন করতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, “বিচার নিশ্চিত করতে হবে, এবং যদি আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত না হয়, তবে আমরা ধরে নেব তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে।” অবশেষে, তিনি আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আহ্বান জানান এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলটিকে চিরকাল বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।