জুলাই আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার সকাল দশটায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তোলা হলে এ নির্দেশ দেন তিনি৷
এর আগে জুলাই আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে নিহত পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, "তার বিরুদ্ধে কোনো রিমাণ্ড আবেদন করেনি পুলিশ৷ জামিনও চাওয়া হয়নি৷ আদালতে তাকে তোলা হলে আদালত হত্যা মামলাটিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷"
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে তার পৈতৃক বাড়ি 'চুনকা কুটিরে' অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তাকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয় কয়েকশ’ নগরবাসী। তারা চুনকা কুটিরের সামনে জড়ো হয় এবং “নির্দোষ আইভীকে নিয়ে যেতে দেবেন না" বলে স্লোগান দিতে থাকে।
নগরবাসীদের সাথে দফায় দফায় কথা বলার পর আইভীর বাসায় প্রবেশ করে পুলিশ। এ সময় আইভী জানান, রাতের আঁধারে তিনি কোথাও যাবেন না৷ কোথাও যেতে হলে সকালে যাবেন৷ ৬ ঘন্টা অবস্থানের পর সকাল পৌনে ৬টায় তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে ওঠেন৷ তাকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাবার সময় হাজারো নারী-পুরুষ সড়কে তার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়, মিছিলও করে৷
পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের আইভী বলেন, ''আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি ঠিক জানি না৷ যেহেতু প্রশাসন আমার এখানে (বাড়ি) প্রশাসন এসেছে এবং ওনারা বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে৷ যদিও ওয়ারেন্টের কাগজ তারা দেখাতে পারেন নাই৷ কিন্তু আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি তাদের সাথে যাচ্ছি৷
তিনি আরও বলেন, আমি কি জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি, চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে কখনো কোনো বিরোধীদলকে আঘাত করেছি, এমন রেকর্ড কি আমার আছে? তাহলে কীসের জন্যে, কার স্বার্থে আমাকে অ্যারেস্ট করা হলো? বর্তমানের যারা সরকারে আছেন তারা সাম্যের কথা বলেছেন৷ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন৷ সরকার হটিয়ে নতুন সরকার এনেছেন৷ তারপরও কেন এই বৈষম্য? তাহলে অনেস্ট রাজনীতি আর সততার কীসের মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি৷ তাহলে আমাকে কেন অ্যারেস্ট করা হলো, এই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দেবে।"
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একাধিক থানায় হত্যাসহ অম্তত পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয় সাবেক সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে৷ সরকার পতনের পর দলটির অনেক নেতা-কর্মী পালিয়ে গেলেও আইভী ছিলেন তার পৈতৃক বাড়িতে৷
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার সকাল দশটায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তোলা হলে এ নির্দেশ দেন তিনি৷
এর আগে জুলাই আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে নিহত পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, "তার বিরুদ্ধে কোনো রিমাণ্ড আবেদন করেনি পুলিশ৷ জামিনও চাওয়া হয়নি৷ আদালতে তাকে তোলা হলে আদালত হত্যা মামলাটিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷"
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে তার পৈতৃক বাড়ি 'চুনকা কুটিরে' অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তাকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয় কয়েকশ’ নগরবাসী। তারা চুনকা কুটিরের সামনে জড়ো হয় এবং “নির্দোষ আইভীকে নিয়ে যেতে দেবেন না" বলে স্লোগান দিতে থাকে।
নগরবাসীদের সাথে দফায় দফায় কথা বলার পর আইভীর বাসায় প্রবেশ করে পুলিশ। এ সময় আইভী জানান, রাতের আঁধারে তিনি কোথাও যাবেন না৷ কোথাও যেতে হলে সকালে যাবেন৷ ৬ ঘন্টা অবস্থানের পর সকাল পৌনে ৬টায় তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে ওঠেন৷ তাকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাবার সময় হাজারো নারী-পুরুষ সড়কে তার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়, মিছিলও করে৷
পুলিশের গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের আইভী বলেন, ''আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি ঠিক জানি না৷ যেহেতু প্রশাসন আমার এখানে (বাড়ি) প্রশাসন এসেছে এবং ওনারা বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে৷ যদিও ওয়ারেন্টের কাগজ তারা দেখাতে পারেন নাই৷ কিন্তু আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি তাদের সাথে যাচ্ছি৷
তিনি আরও বলেন, আমি কি জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি, চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে কখনো কোনো বিরোধীদলকে আঘাত করেছি, এমন রেকর্ড কি আমার আছে? তাহলে কীসের জন্যে, কার স্বার্থে আমাকে অ্যারেস্ট করা হলো? বর্তমানের যারা সরকারে আছেন তারা সাম্যের কথা বলেছেন৷ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন৷ সরকার হটিয়ে নতুন সরকার এনেছেন৷ তারপরও কেন এই বৈষম্য? তাহলে অনেস্ট রাজনীতি আর সততার কীসের মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি৷ তাহলে আমাকে কেন অ্যারেস্ট করা হলো, এই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দেবে।"
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একাধিক থানায় হত্যাসহ অম্তত পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয় সাবেক সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে৷ সরকার পতনের পর দলটির অনেক নেতা-কর্মী পালিয়ে গেলেও আইভী ছিলেন তার পৈতৃক বাড়িতে৷