আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির ঘোষণার পর আনন্দমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর শাহবাগের জমায়েতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, "সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এত দিন ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের কোনো বিধান ছিল না। এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো ইতিবাচক, তবে এতটুকু যথেষ্ট নয়।"
হাসনাত জানান, সোমবার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হলে আনন্দমিছিল করা হবে। পাশাপাশি সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণের কথাও জানান তিনি।
বক্তব্য শেষে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন হাসনাত এবং উপস্থিত সবাইকে যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। এ সময় এনসিপির নেতাদের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে হাসনাত আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে আমরা নানা টালবাহানা দেখতে পাচ্ছিলাম। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, তাদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বড় উদাহরণ।"
তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধারা এখনও হামলার শিকার হচ্ছেন এবং অনেক থানায় তাদের মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এ সময় বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্ব এবং দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের অভিযোগও তুলেন তিনি। তিনি বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য সরকার ৩০ কার্যদিবস সময় চেয়েছে। আমরা তা পর্যবেক্ষণ করব।"
এর আগে রাত পৌনে তিনটার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, "ছাত্র-জনতা ভবিষ্যতে কোনো দিন স্বৈরাচারী শক্তিকে বাংলার রাজনীতিতে বরদাশত করবে না।"
তিনি আরও বলেন, "শহীদদের রক্ত ও শহীদ পরিবারের কান্না ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদী রাজনীতিবিদদের রাজনীতিতে পুনঃপ্রবেশের খায়েশ কোনো দিন পূরণ হবে না।"
রোববার, ১১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির ঘোষণার পর আনন্দমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর শাহবাগের জমায়েতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, "সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এত দিন ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের কোনো বিধান ছিল না। এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো ইতিবাচক, তবে এতটুকু যথেষ্ট নয়।"
হাসনাত জানান, সোমবার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হলে আনন্দমিছিল করা হবে। পাশাপাশি সরকারের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণের কথাও জানান তিনি।
বক্তব্য শেষে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন হাসনাত এবং উপস্থিত সবাইকে যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। এ সময় এনসিপির নেতাদের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে হাসনাত আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে আমরা নানা টালবাহানা দেখতে পাচ্ছিলাম। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, তাদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বড় উদাহরণ।"
তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধারা এখনও হামলার শিকার হচ্ছেন এবং অনেক থানায় তাদের মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এ সময় বিচার বিভাগের পক্ষপাতিত্ব এবং দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের অভিযোগও তুলেন তিনি। তিনি বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য সরকার ৩০ কার্যদিবস সময় চেয়েছে। আমরা তা পর্যবেক্ষণ করব।"
এর আগে রাত পৌনে তিনটার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, "ছাত্র-জনতা ভবিষ্যতে কোনো দিন স্বৈরাচারী শক্তিকে বাংলার রাজনীতিতে বরদাশত করবে না।"
তিনি আরও বলেন, "শহীদদের রক্ত ও শহীদ পরিবারের কান্না ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদী রাজনীতিবিদদের রাজনীতিতে পুনঃপ্রবেশের খায়েশ কোনো দিন পূরণ হবে না।"