ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানায় তারা।
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এক উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক একটি দেশ হিসেবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত করার বিষয়টি ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিকে আমরা জোরালোভাবে সমর্থন করি।”
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সোমবার এই মর্মে একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে, যার ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ হারায় দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি।
জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের লাগাতার দাবির পর গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন এবং ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে অংশ না নিলেও বিএনপি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটি একে “সঠিক” পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে “আনন্দিত” হওয়ার কথা জানায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
পরদিন সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে দলটির সব ধরণের রাজনৈতিক প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, “ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানায় তারা।
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এক উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক একটি দেশ হিসেবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত করার বিষয়টি ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিকে আমরা জোরালোভাবে সমর্থন করি।”
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সোমবার এই মর্মে একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে, যার ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ হারায় দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি।
জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের লাগাতার দাবির পর গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন এবং ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে অংশ না নিলেও বিএনপি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটি একে “সঠিক” পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে “আনন্দিত” হওয়ার কথা জানায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
পরদিন সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে দলটির সব ধরণের রাজনৈতিক প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, “ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”