alt

রাজনীতি

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের তারিখ ১ জুন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের রায় জানা যাবে আগামী ১ জুন।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য ১ জুন দিন নির্ধারণ করেন বেঞ্চটি।

এদিন জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম।

শুনানি শেষে শিশির মনির বলেন, “আদালতে বলেছি, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন বাতিল করেছেন, তারা উচ্চ আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এ কারণেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আশা করছি, যুক্তির ভিত্তিতে ১ জুন জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে।”

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতার অভিযোগে দলটি নিষিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জামায়াতের আবেদনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

নিবন্ধন ফিরে পেলে দলটি নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার ফিরে পাবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জানুয়ারিতে জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন একটি রিট দায়ের করেন।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ সেই রিটের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করে দেন।

এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত খারিজ করে দেয়।

হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ হারায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে দলের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দেয়।

পরবর্তীতে সরকারের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে জামায়াত আবারও আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে। সর্বোচ্চ আদালত ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট সে আবেদন মঞ্জুর করে, যা নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পথ খুলে দেয়।

৭ মে শিশির মনিরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির দিন নির্ধারণ করে। মঙ্গলবার শুনানির পর বুধবার পুনরায় শুনানি হয় এবং এরপর ১ জুন রায়ের দিন ঠিক করা হয়।

শিশির মনির বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি রেজ্যুলেশন রয়েছে। এর আলোকে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আদালতে নির্দেশনা চেয়েছি, কারণ প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা কেবল নির্বাচন কমিশনের, উচ্চ আদালতের নয়।”

তিনি আরও বলেন, “দাঁড়িপাল্লা প্রতীক জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। ১৯৭২ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টেও এই প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে। দলটি এ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে মন্ত্রিত্বও পেয়েছে। দলটির সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই শুধু নিবন্ধন নয়, প্রতীক বরাদ্দের বিষয়েও আদালতের লিখিত পর্যবেক্ষণ চাওয়া হয়েছে।”

ছবি

সোহরাওয়ার্দী হত্যাকাণ্ডে ‘দ্বিচারিতার’ প্রতিবাদ জানালেন এনসিপি নেতা

ছবি

জাকির হত্যা: লাশ খালে ফেলতে গিয়ে দুই যুবক গণপিটুনির শিকার, একজন হাসপাতালে

নিষেধাজ্ঞার মুখে আওয়ামী লীগ, অবাধ নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

ছবি

রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবারো আদালতে জামায়াত

ছবি

সাবেক এমপি মমতাজের রিমান্ড শুনানিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আদালত

ছবি

সাগর হত্যা মামলা: গ্রেপ্তার সাবেক এমপি মমতাজ, ব্যাংক হিসাবও জব্দ

ছবি

আওয়ামী লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি এনসিপির, সহযোগী দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করার আহ্বান

ছবি

চোখের চিকিৎসায় থাইল্যান্ড গেলেন মির্জা ফখরুল

ছবি

‘আবেগ নয়, দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিন’—অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী

ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ

সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন, বাসদের প্রশ্ন

ছবি

আন্দোলনকালীন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আইভী, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্তে বসেছে ইসি, অপেক্ষায় গেজেট

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ

ছবি

সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন ঘটছে দেশে’ — মির্জা আব্বাসের অভিযোগ

ছবি

‘গোলাম আজমের বাংলায়’ স্লোগান নিয়ে বিতর্কে এনসিপি: দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই

ছবি

দ্বাদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির অসীম ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়েছিল: আলী রীয়াজ

ছবি

সংবিধান সংস্কারে কমিশন গঠনের দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের অনুষ্ঠানে

ছবি

আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি—সালাহউদ্দিন

ছবি

নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার স্পষ্ট করার আহ্বান নাহিদ ইসলামের

ছবি

‘গুম-খুন-নিপীড়নের বিচার প্রক্রিয়া সঠিক পথে’—মির্জা ফখরুল

ছবি

গণতন্ত্রের মা’কে গভীর শ্রদ্ধা জানালেন লন্ডনপ্রবাসী তারেক

ছবি

আহতদের সুচিকিৎসা ও জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

এক যুগ পর ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া, সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূরা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধিত, রাজনৈতিক দলকেও বিচারের আওতায় আনার পথ সুগম

ছবি

নিশ্চিত আদেশের অপেক্ষায় ইসি, নিষিদ্ধ হলে বাতিল হবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন

ছবি

শাহবাগে মধ্যরাতের পর জমায়েতে হাসনাত, সোমবার প্রজ্ঞাপন জারির পর আনন্দমিছিল

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম, শাহবাগে এনসিপির অবরোধ

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রোডম্যাপ না পেয়ে ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা

ছবি

নতুন দল ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ, আহ্বায়ক শিবিরের সাবেক নেতা জুনায়েদ

ছবি

শাহবাগে এনসিপির গণজমায়েত, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ অব্যাহত, বিকেলে গণজমায়েতের প্রস্তুতি

ছবি

শাহবাগ ব্লকেড চলছে, মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান এনসিপি নেতার

ছবি

জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলায় আইভী কারাগারে

tab

রাজনীতি

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের তারিখ ১ জুন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের রায় জানা যাবে আগামী ১ জুন।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য ১ জুন দিন নির্ধারণ করেন বেঞ্চটি।

এদিন জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম।

শুনানি শেষে শিশির মনির বলেন, “আদালতে বলেছি, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধন বাতিল করেছেন, তারা উচ্চ আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এ কারণেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আশা করছি, যুক্তির ভিত্তিতে ১ জুন জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে।”

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতার অভিযোগে দলটি নিষিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জামায়াতের আবেদনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

নিবন্ধন ফিরে পেলে দলটি নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার ফিরে পাবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জানুয়ারিতে জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন একটি রিট দায়ের করেন।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ সেই রিটের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করে দেন।

এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত খারিজ করে দেয়।

হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ হারায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে দলের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দেয়।

পরবর্তীতে সরকারের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে জামায়াত আবারও আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে। সর্বোচ্চ আদালত ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট সে আবেদন মঞ্জুর করে, যা নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পথ খুলে দেয়।

৭ মে শিশির মনিরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির দিন নির্ধারণ করে। মঙ্গলবার শুনানির পর বুধবার পুনরায় শুনানি হয় এবং এরপর ১ জুন রায়ের দিন ঠিক করা হয়।

শিশির মনির বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি রেজ্যুলেশন রয়েছে। এর আলোকে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আদালতে নির্দেশনা চেয়েছি, কারণ প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা কেবল নির্বাচন কমিশনের, উচ্চ আদালতের নয়।”

তিনি আরও বলেন, “দাঁড়িপাল্লা প্রতীক জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। ১৯৭২ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টেও এই প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে। দলটি এ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে মন্ত্রিত্বও পেয়েছে। দলটির সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই শুধু নিবন্ধন নয়, প্রতীক বরাদ্দের বিষয়েও আদালতের লিখিত পর্যবেক্ষণ চাওয়া হয়েছে।”

back to top