কুমিল্লা নগরীতে বিএনপির দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে নগরীর কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ে অবস্থিত কার্যালয়ের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পরপরই সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগানোর কিছু সময় পরেই যারা আগুন দিয়েছিল, তারাই আবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিভিয়ে দেয়।
বিএনপির এই কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না, কারণ মাটি দেবে নিচু হয়ে যাওয়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এখন মহানগর ও দক্ষিণ জেলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এক কিলোমিটার দূরের বাদুরতলার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে।
বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতে, মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যার পর, দুই দিন আগে ঘোষিত কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে কান্দিরপাড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন—‘অবৈধ কমিটি- মানি না মানব না’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল চলার সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী বন্ধ থাকা কার্যালয়ের গেট খুলে ভেতরে ঢুকে কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তারাই আগুন নিভিয়ে চলে যান। এরপর সেখানে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, যারা অফিসে আগুন দিয়েছে, তারা দলের কেউ হতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কার্যালয়টি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, “আমি শুনেছি, কয়েকজন যুবক দরজা খুলে কাগজপত্র ও কাপড়ে আগুন দেয়। পরে তারাই আগুন নিভিয়ে চলে যায়।”
মহানগর ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কাজী জোবায়ের আলম জিলানীকে সভাপতি ও এমদাদুল হক ধীমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের এবং নাহিদ রানাকে সভাপতি ও ফায়াজ রশিদ প্রিমুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের দুটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
কুমিল্লা নগরীতে বিএনপির দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেখানে হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে নগরীর কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ে অবস্থিত কার্যালয়ের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার পরপরই সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগানোর কিছু সময় পরেই যারা আগুন দিয়েছিল, তারাই আবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিভিয়ে দেয়।
বিএনপির এই কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না, কারণ মাটি দেবে নিচু হয়ে যাওয়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এখন মহানগর ও দক্ষিণ জেলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এক কিলোমিটার দূরের বাদুরতলার অস্থায়ী কার্যালয় থেকে।
বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতে, মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যার পর, দুই দিন আগে ঘোষিত কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে কান্দিরপাড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন—‘অবৈধ কমিটি- মানি না মানব না’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল চলার সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী বন্ধ থাকা কার্যালয়ের গেট খুলে ভেতরে ঢুকে কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তারাই আগুন নিভিয়ে চলে যান। এরপর সেখানে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, যারা অফিসে আগুন দিয়েছে, তারা দলের কেউ হতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কার্যালয়টি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, “আমি শুনেছি, কয়েকজন যুবক দরজা খুলে কাগজপত্র ও কাপড়ে আগুন দেয়। পরে তারাই আগুন নিভিয়ে চলে যায়।”
মহানগর ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তবে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কাজী জোবায়ের আলম জিলানীকে সভাপতি ও এমদাদুল হক ধীমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের এবং নাহিদ রানাকে সভাপতি ও ফায়াজ রশিদ প্রিমুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের দুটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।