বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্মচারী ইউনিয়ন। এরসঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।
নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন, স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির নেতারা তাতে যোগ দেন। তারা বলেন, দাবি মানা না হলে বুধবার ১০টার পর থেকে পরিচ্ছন্নতা, ময়লা পরিবহন, বিদ্যুৎ সেবাসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, “আমি বর্তমান সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। আমাদের দাবি মেনে নিন। সামনে কোরবানির ঈদ, আমরা কী করতে পারি আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। আমরা ঢাকা অচল করে দেব।”
এরপর আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে আবারও জড়ো হবেন তারা। কাল ১০টা পর্যন্ত সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা সেই সময়ই কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। যে যে অবস্থানে আছেন, সেই অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আমরাও সেই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।
লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন ইশরাক সমর্থকরা। সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।
এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কে তাদের অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সুমন হাসান বলেন, “ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে সরকার বিশেষ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অন্যায় করছে। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সব নাটের গুরু। আমরা ইশরাক ভাইকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
লালবাগ এলাকার ব্যবসায়ী আদিলুর রহমান বলেন, “ইশরাককে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারানো হয়েছিল। এতদিন পরে হলেও কোর্ট তাকে মেয়র ঘোষণা করেছে। যে কয়দিন মেয়াদ আছে ওই কয়দিন আমরা ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে দেখতে চাই।”
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে সোমবার নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সচিব মশিউর রহমান। সে সময় তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে বসা নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতি চরম মিথ্যাচার। যদি আগামীকালের মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত বুধবার থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার সমর্থকরা। দাবি আদায়ে শনিবার হয় সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা। এ কর্মসূচির পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন ইশরাকের সমর্থকরা।
ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ভবনে। নিজেকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠিও দেন ইশরাক হোসেন। এরপর সন্ধ্যায় ডাকেন সংবাদ সম্মেলন।
এক সাংবাদিক ইশরাকের কাছে জানতে চান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে তার কোনো বিরোধ আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধও নাই, ব্যক্তিগত সম্পর্কও নাই।”
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পথ করে দিতে কয়েকটি জটিলতায় পড়েছে সরকার। এসব জটিলতা দূর না হলে সরকারও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আসিফ মাহমুদ বলেন, “সকল ধরনের জটিলতা নিরসন না করে সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি।
শপথ না হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষী মনে করেন কি না– শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের মুখেও পড়েন ইশরাক। জবাবে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো একক ব্যক্তি বা সরকারকে দোষারোপ করছি না। আমরা এর সমাধান চাচ্ছি।”
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্মচারী ইউনিয়ন। এরসঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।
নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন, স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির নেতারা তাতে যোগ দেন। তারা বলেন, দাবি মানা না হলে বুধবার ১০টার পর থেকে পরিচ্ছন্নতা, ময়লা পরিবহন, বিদ্যুৎ সেবাসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, “আমি বর্তমান সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। আমাদের দাবি মেনে নিন। সামনে কোরবানির ঈদ, আমরা কী করতে পারি আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। আমরা ঢাকা অচল করে দেব।”
এরপর আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে আবারও জড়ো হবেন তারা। কাল ১০টা পর্যন্ত সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা সেই সময়ই কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। যে যে অবস্থানে আছেন, সেই অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আমরাও সেই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।
লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন ইশরাক সমর্থকরা। সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।
এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কে তাদের অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সুমন হাসান বলেন, “ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে সরকার বিশেষ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অন্যায় করছে। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সব নাটের গুরু। আমরা ইশরাক ভাইকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
লালবাগ এলাকার ব্যবসায়ী আদিলুর রহমান বলেন, “ইশরাককে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারানো হয়েছিল। এতদিন পরে হলেও কোর্ট তাকে মেয়র ঘোষণা করেছে। যে কয়দিন মেয়াদ আছে ওই কয়দিন আমরা ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে দেখতে চাই।”
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে সোমবার নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সচিব মশিউর রহমান। সে সময় তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে বসা নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতি চরম মিথ্যাচার। যদি আগামীকালের মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত বুধবার থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার সমর্থকরা। দাবি আদায়ে শনিবার হয় সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা। এ কর্মসূচির পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন ইশরাকের সমর্থকরা।
ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ভবনে। নিজেকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠিও দেন ইশরাক হোসেন। এরপর সন্ধ্যায় ডাকেন সংবাদ সম্মেলন।
এক সাংবাদিক ইশরাকের কাছে জানতে চান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে তার কোনো বিরোধ আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধও নাই, ব্যক্তিগত সম্পর্কও নাই।”
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পথ করে দিতে কয়েকটি জটিলতায় পড়েছে সরকার। এসব জটিলতা দূর না হলে সরকারও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আসিফ মাহমুদ বলেন, “সকল ধরনের জটিলতা নিরসন না করে সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না।”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি।
শপথ না হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলকে দোষী মনে করেন কি না– শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের মুখেও পড়েন ইশরাক। জবাবে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো একক ব্যক্তি বা সরকারকে দোষারোপ করছি না। আমরা এর সমাধান চাচ্ছি।”