বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় নিজ দলের কাছ থেকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
বুধবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মুচলেকা দিয়ে আটক নেতাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় কেন হান্নান মাসউদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানকে জানাতে হবে।
দলটির দাবি, যাদের হান্নান মাসউদ ছাড়িয়ে এনেছেন, তাদের অন্তত একজনকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে পূর্বেই সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে একদল যুবক বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে এবং “আওয়ামী লীগের দোসর আছে” বলে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার বিকালে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ওই তিনজনকে মুচলেকার বিনিময়ে মুক্ত করে আনেন। এ সময় টিভি ক্যামেরার সামনে পড়লে তাঁকে কিছুটা বিব্রত দেখা যায়।
ছাড়িয়ে আনা তিনজন হলেন: পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী (২৬)।ফারহান সরকার দীনা (২৬) নামে আরেকজন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়েন। আরেকজনের নাম মোহাম্মাদউল্লাহ জিসান (২৪), যিনি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহায়ক হিসেবে কর্মরত।
তবে এনসিপির দাবি, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে রাব্বীকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তাই তার জামিনে সহায়তা করা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
এ বিষয়ে ফেইসবুকে হান্নান মাসউদ লিখেছেন, “মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হলে বৈবিছাআ’র (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থী থানায় গিয়ে ঝামেলা করছিলো। ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই এবং প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চায়নি, তাই মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সময় সেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী একটি প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত মব সৃষ্টিকারী এক ব্যক্তিও ছিল, যা আমি পরে জানতে পারি। প্রশাসনকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। মূল পরিকল্পনাকারীরা যেন দ্রুত ধরা পড়ে, সে বিষয়ে তথ্যও দেওয়া হয়েছে।”
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় নিজ দলের কাছ থেকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
বুধবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মুচলেকা দিয়ে আটক নেতাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় কেন হান্নান মাসউদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানকে জানাতে হবে।
দলটির দাবি, যাদের হান্নান মাসউদ ছাড়িয়ে এনেছেন, তাদের অন্তত একজনকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে পূর্বেই সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে একদল যুবক বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে এবং “আওয়ামী লীগের দোসর আছে” বলে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার বিকালে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ওই তিনজনকে মুচলেকার বিনিময়ে মুক্ত করে আনেন। এ সময় টিভি ক্যামেরার সামনে পড়লে তাঁকে কিছুটা বিব্রত দেখা যায়।
ছাড়িয়ে আনা তিনজন হলেন: পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী (২৬)।ফারহান সরকার দীনা (২৬) নামে আরেকজন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়েন। আরেকজনের নাম মোহাম্মাদউল্লাহ জিসান (২৪), যিনি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহায়ক হিসেবে কর্মরত।
তবে এনসিপির দাবি, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে রাব্বীকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তাই তার জামিনে সহায়তা করা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
এ বিষয়ে ফেইসবুকে হান্নান মাসউদ লিখেছেন, “মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হলে বৈবিছাআ’র (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থী থানায় গিয়ে ঝামেলা করছিলো। ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই এবং প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চায়নি, তাই মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সময় সেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী একটি প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত মব সৃষ্টিকারী এক ব্যক্তিও ছিল, যা আমি পরে জানতে পারি। প্রশাসনকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। মূল পরিকল্পনাকারীরা যেন দ্রুত ধরা পড়ে, সে বিষয়ে তথ্যও দেওয়া হয়েছে।”