নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি জানিয়েছে, কমিশন পুনর্গঠন না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সেই সঙ্গে তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে আয়োজনের দাবি জানায়।
বিক্ষোভের সমাপনী বক্তব্যে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।” এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা ‘বিএনপির মুখপাত্র’, তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করতে ওয়াহিদউদ্দিন ভাই, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ডুবিয়ে দিতে সালেহউদ্দিন ভাই এবং আইন মন্ত্রণালয়কে ধ্বংস করতে আসিফ নজরুল কাজ করছেন।”
‘কুসুম কুসুম খেলা’ চলবে না বলে সতর্ক করে পাটোয়ারী বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম, নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান নিষিদ্ধ হয়নি।”
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের বলা হয়েছিল, ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। ছাত্র-জনতাকে মুলা দেখিয়ে ঘোষণা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা হয়নি। এবার যদি হেরফের হয়, আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না জানি না।”
“জনগণের সাথে আপনি বেঈমানি করেছেন। এ বেঈমানি নিয়ে আপনি সরকারি অফিসে আসতে পারেন না,”—এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমরা অপেক্ষা করছি—ঘোষণাপত্র হবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে, গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। এই প্রত্যাশায় বিক্ষোভের সমাপ্তি করছি।”
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি জানিয়েছে, কমিশন পুনর্গঠন না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সেই সঙ্গে তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে আয়োজনের দাবি জানায়।
বিক্ষোভের সমাপনী বক্তব্যে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।” এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা ‘বিএনপির মুখপাত্র’, তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করতে ওয়াহিদউদ্দিন ভাই, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ডুবিয়ে দিতে সালেহউদ্দিন ভাই এবং আইন মন্ত্রণালয়কে ধ্বংস করতে আসিফ নজরুল কাজ করছেন।”
‘কুসুম কুসুম খেলা’ চলবে না বলে সতর্ক করে পাটোয়ারী বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়েছিলাম, নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান নিষিদ্ধ হয়নি।”
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমাদের বলা হয়েছিল, ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। ছাত্র-জনতাকে মুলা দেখিয়ে ঘোষণা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা হয়নি। এবার যদি হেরফের হয়, আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না জানি না।”
“জনগণের সাথে আপনি বেঈমানি করেছেন। এ বেঈমানি নিয়ে আপনি সরকারি অফিসে আসতে পারেন না,”—এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমরা অপেক্ষা করছি—ঘোষণাপত্র হবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে, গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাবো। এই প্রত্যাশায় বিক্ষোভের সমাপ্তি করছি।”