জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শুরু করতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক আলোচনার দ্বিতীয় ধাপ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আগামী সোমবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। এই আলোচনা বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধন করবেন।
কমিশনের প্রথম দফার আলোচনা ২০ মার্চ শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হয়। প্রথম দফায় মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য স্থাপন করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের পর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের জায়গায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। সেই সময় অক্টোবর মাসে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়, যারা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন পেশ করে।
এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদার ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা।
১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করা ঐকমত্য কমিশনকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দলের কাছে কপি পাঠানো হয়। এরপর ৫ মার্চ ৩৮টি দল ও জোটের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে স্প্রেডশিট আকারে মতামত আহ্বান করা হয়।
স্প্রেডশিটে সুপারিশের মধ্যে ছিল সংবিধান সংস্কার (৭০টি), নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার (২৭টি), বিচার বিভাগ (২৩টি), জনপ্রশাসন (২৬টি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (২০টি) সংক্রান্ত বিষয়।
১৫ মার্চ মতামত দেওয়ার জন্য সময়সীমা ঘোষণার পর কিছু দল সময় বাড়ানোর অনুরোধ করায় তা মঞ্জুর করা হয়। সর্বশেষ মোট ৩৫টি দল ও জোট মতামত জমা দেয়, যার মধ্যে বেশ কিছু দল বিস্তারিত মন্তব্য ও বিশ্লেষণও উপস্থাপন করেছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন শুরু করতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক আলোচনার দ্বিতীয় ধাপ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আগামী সোমবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। এই আলোচনা বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধন করবেন।
কমিশনের প্রথম দফার আলোচনা ২০ মার্চ শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হয়। প্রথম দফায় মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য স্থাপন করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের পর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের জায়গায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। সেই সময় অক্টোবর মাসে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়, যারা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন পেশ করে।
এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদার ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো এবং ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা।
১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করা ঐকমত্য কমিশনকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দলের কাছে কপি পাঠানো হয়। এরপর ৫ মার্চ ৩৮টি দল ও জোটের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে স্প্রেডশিট আকারে মতামত আহ্বান করা হয়।
স্প্রেডশিটে সুপারিশের মধ্যে ছিল সংবিধান সংস্কার (৭০টি), নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার (২৭টি), বিচার বিভাগ (২৩টি), জনপ্রশাসন (২৬টি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (২০টি) সংক্রান্ত বিষয়।
১৫ মার্চ মতামত দেওয়ার জন্য সময়সীমা ঘোষণার পর কিছু দল সময় বাড়ানোর অনুরোধ করায় তা মঞ্জুর করা হয়। সর্বশেষ মোট ৩৫টি দল ও জোট মতামত জমা দেয়, যার মধ্যে বেশ কিছু দল বিস্তারিত মন্তব্য ও বিশ্লেষণও উপস্থাপন করেছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।