এক যুগ পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এই রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আজকের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হল এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল। আমরা আশা করছি, এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাই কোর্ট। এক যুগ পর রোববার আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে।
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এই রায় দেয়।
সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত এল।
রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সকল প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে। মাননীয় হাই কোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন।
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাই কোর্ট বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। মহামান্য আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক দায়েরকৃত আপিলটি মঞ্জুর করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন। আমরা আরও একবার মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি আল-হামদুলিল্লাহ।”
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
এক যুগ পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এই রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আজকের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হল এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল। আমরা আশা করছি, এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাই কোর্ট। এক যুগ পর রোববার আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে।
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এই রায় দেয়।
সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত এল।
রায়ের পর জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সকল প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে। মাননীয় হাই কোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন।
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাই কোর্ট বিভাগের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। মহামান্য আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক দায়েরকৃত আপিলটি মঞ্জুর করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন। আমরা আরও একবার মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি আল-হামদুলিল্লাহ।”