alt

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়কের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির না, জামায়াত-এনসিপির হ্যাঁ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। একই সঙ্গে ওই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন (৩ মাস) রাখারও পক্ষে দলটি। তবে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও পক্ষে। এনসিপির মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৪ মাস বা ১২০ দিন হওয়া উচিত।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিএনপি ও এনসিপি বলেছে, সরকারের স্থায়িত্বের জন্য এই বিধান প্রয়োজন। তবে কোনো কোনো দল বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য বলেছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় এসব মতামত উঠে এসেছে।

গত ২ জুন সোমবার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই কমিশনেরও প্রধান।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি এই কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মঙ্গলবারের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।

আস্থা ভোট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করে এবং উপমহাদেশের চর্চা বিবেচনা করে তার দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত মত হচ্ছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আস্থা ভোট না থাকলে সরকার পরিচালনায় স্থায়িত্ব থাকবে না। প্রতিনিয়ত সরকার পরিবর্তিত হতে থাকবে, যা শোভনীয় হবে না।’

আস্থা ভোট, অর্থবিল এবং সংবিধান সংশোধন ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রদান করবেন, এতে বিএনপি একমত। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এই আস্থা ভোটের বিষয়টি ৭০ অনুচ্ছেদে যুক্ত করতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে।

তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ছিলÑ আস্থা ভোট, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিল বাদে বাকি সমস্ত বিষয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে আমরা এই তিনটি বিষয় ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়কে এখানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ ।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারবেনÑ এর পক্ষে মতামত দিয়েছে তার দল।

তিনটি প্রস্তাবের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের (এমপি) দলীয় সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিল বিএনপি। এ বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতি জরুরিভাবে মোকাবিলা করা হবে।’

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার পক্ষে তার দল।

তিনি বলেন, ‘অর্থ বিলের পাশাপাশি আস্থা ভোট থাকতে হবে, কারণ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি সরকারের স্থিতিশীলতা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। সংবিধান সংশোধনী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে কিনা? (এমন ইস্যুতে) আমরা বলেছি সংবিধান সংশোধনীর বিষয়ে প্রযোজ্য হবে না। কারণ দলগুলো এমন সংশোধনী আনে যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিপূর্বে অনেক সংকট তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনার দাবি রাখে। দুটো বিষয়ে সবাই একমত সবাই।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আস্থা ভোট রেখে দিলে প্রধানমন্ত্রী আনচ্যালেঞ্জড থেকে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে কোনো উপায় বের করতে হবে। এক দিনে শেষ না করে আরেকটি আলোচনায় বসে কোথায় ঐকমত্য হলো তা চূড়ান্ত করতে হবে।’

‘ন্যূনতম ঐকমত্যেই জুলাই সনদ’
সময় স্বল্পতার কারণে ‘ন্যূনতম ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে আগামী মাসেই ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হবে বলে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে হবে। একধরনের উপসংহার টানতে হবে, কারণ সময়ের স্বল্পতার বিবেচনায় আমরা জুলাই মাসের মধ্যে যেই সনদ তৈরি করতে চাচ্ছি, সেই সনদে কোনটা অন্তর্ভুক্ত থাকবেÑ কোনটা থাকবে না; সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আলোচনায় যেগুলো থাকবে না, যেগুলোতে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো লিখিত থাকবে যেÑ এগুলো আলোচিত হয়েছে, কিন্তু একমত হওয়া যায়নি।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে যে বিষয়গুলো আমরা নির্ধারণ করেছি, সেটা হলো যে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্ন কক্ষের নারী আসন, স্থায়ী কমিটিসমূহ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষেত্রে তার মেয়াদ এবং তার কার্য্করী পরিধির একটি অংশÑ এগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তার দল চায় না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক। এছাড়াও তার দল মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি হওয়া উচিত না। যদিও কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস হওয়া উচিত।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে।

একই প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক সবাই চায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে ভালো হবে। কারিগরি দিক নিয়ে আমাদের আরও আলোচনা করতে হবে।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাসের প্রস্তাবে এনসিপি একমত বলে জানান তুষার। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছয় মাস রাখার পক্ষে। মেয়াদ তিন মাস বা চার মাসের বিষয়ে আমরা নমনীয় থাকব। যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত হলে চার মাস প্রয়োজন হতে পারে।’

সংসদীয় কমিটি
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত নয় জানিয়ে দলটির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কয়েকটি কমিটিতে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, তবে সব স্থায়ী কমিটিতে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়াকে তার দল বাস্তবসম্মত প্রস্তাব মনে করে না।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে তারা। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনও হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে।’

বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো... ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’

বৈঠকে ছিলেন যারা
আলী রীয়াজের সভাপতিত্ব বৈঠক ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকে বিএনপির ইসমাইল জবিহউল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টির সারবিস আলম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এলডিপির চৌধুরী হাসান সোরওয়ার্দী, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।

আলী রীয়াজ জানান, দ্বিতীয় পর্বের এই সংলাপের আর কোনো সভা ঈদের আগে হবে না। ঈদের ছুটির পর আবার আলোচনা শুরু হবে। তিনি জানান, ঐকমত্যের বিষয়গুলোয় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা আরেকবার আলোচনা করবেন।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে তারা। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনও হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো... ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’

ছবি

নরসিংদী, ময়মনসিংহ দক্ষিণ, শেরপুর ও মানিকগঞ্জে বিএনপির নতুন কমিটি গঠন

ছবি

ঝটিকা মিছিলে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার

ছবি

তিন দাবিতে ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ

ছবি

গণআন্দোলনের সুফল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ডে এখনো প্রতিফলিত হয়নি: আমিনুল হক

ছবি

ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাজেট দেয়া উচিত ছিল: খসরু

ছবি

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পাচ্ছে জামায়াত: ইসি

ছবি

বাজেট অংশগ্রহণহীন, বাস্তবতা বিবর্জিত ও কাগুজে: আমীর খসরু

ছবি

গুলশানের ফ্ল্যাট-ঘুষ অভিযোগে টিউলিপসহ রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপ

ভারত শেখ হাসিনাকে জায়গা দিয়েছে, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে: শামসুজ্জামান

ছবি

সরকার ব্যবস্থা না নিলে ‘নিজেই শপথ নেবেন’ ইশরাক

ছবি

নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার ভোট ও প্রবাসীদের ভোটাধিকারে জোর জামায়াতের

ছবি

বেকার সমস্যা, কালোটাকা, প্রবাসী কল্যাণে হতাশা জানাল এনসিপি

ছবি

নারী আসনে দলীয় মনোনয়নের পক্ষে বিএনপি, সরাসরি নির্বাচনের সময় এখনও আসেনি

ছবি

দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ায় ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান, করপোরেশন কার্যক্রম বন্ধ

রাজনৈতিক উত্তেজনায় অস্পষ্টতা ও বিদেশি হুমকির বিষয়ে মান্নার সতর্কতা

ছবি

ঐকমত্য না হলেও আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে লিখিতভাবে

ছবি

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যা বলেছে বিএনপি

ছবি

‘গুমের’ অভিযোগে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিনের অভিযোগ

ছবি

জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

ছবি

তিনটি দল বাদে সবাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় : নুরুল হক নুর

ছবি

ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচিতে অচল নগরভবন

ইসিতে আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি জমা দিলো জামায়াত

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত: আমীর খসরু

সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

নির্বাচন কমিশনে আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি জমা দিলো জামায়াতে ইসলামী

ছবি

এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী, আপিল বিভাগে রায়

ছবি

"মবের কোনো সুযোগ নেই"—রংপুরে সহিংসতা ইস্যুতে কঠোর বার্তা সেনাবাহিনীর

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা

ছবি

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সবার জন্য সুবিধাজনক: খন্দকার মোশাররফ

ছবি

ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ফের নগর ভবন অবরোধ করে আন্দোলন

ছবি

জামায়াতের প্রতীক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন

ছবি

লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

ছবি

ক্ষমতার লোভে ‘বেহুঁশ’ বিএনপি, হুঁশে ফিরতে বলল এনসিপি নেতা

ছবি

জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ, অভিযোগ জাতীয় পার্টির

ছবি

জামায়াত-শিবির ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে: ছাত্র ইউনিয়ন

tab

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়কের অধীনে স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির না, জামায়াত-এনসিপির হ্যাঁ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। একই সঙ্গে ওই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন (৩ মাস) রাখারও পক্ষে দলটি। তবে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও পক্ষে। এনসিপির মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৪ মাস বা ১২০ দিন হওয়া উচিত।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বিএনপি ও এনসিপি বলেছে, সরকারের স্থায়িত্বের জন্য এই বিধান প্রয়োজন। তবে কোনো কোনো দল বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য বলেছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় এসব মতামত উঠে এসেছে।

গত ২ জুন সোমবার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এই কমিশনেরও প্রধান।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি এই কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। মঙ্গলবারের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।

আস্থা ভোট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করে এবং উপমহাদেশের চর্চা বিবেচনা করে তার দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত মত হচ্ছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আস্থা ভোট না থাকলে সরকার পরিচালনায় স্থায়িত্ব থাকবে না। প্রতিনিয়ত সরকার পরিবর্তিত হতে থাকবে, যা শোভনীয় হবে না।’

আস্থা ভোট, অর্থবিল এবং সংবিধান সংশোধন ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রদান করবেন, এতে বিএনপি একমত। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এই আস্থা ভোটের বিষয়টি ৭০ অনুচ্ছেদে যুক্ত করতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে।

তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ছিলÑ আস্থা ভোট, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিল বাদে বাকি সমস্ত বিষয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে আমরা এই তিনটি বিষয় ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়কে এখানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু সরকারি দল নয়, সমস্ত দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ ।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারবেনÑ এর পক্ষে মতামত দিয়েছে তার দল।

তিনটি প্রস্তাবের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের (এমপি) দলীয় সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিল বিএনপি। এ বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতি জরুরিভাবে মোকাবিলা করা হবে।’

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেয়ার পক্ষে তার দল।

তিনি বলেন, ‘অর্থ বিলের পাশাপাশি আস্থা ভোট থাকতে হবে, কারণ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি সরকারের স্থিতিশীলতা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। সংবিধান সংশোধনী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে কিনা? (এমন ইস্যুতে) আমরা বলেছি সংবিধান সংশোধনীর বিষয়ে প্রযোজ্য হবে না। কারণ দলগুলো এমন সংশোধনী আনে যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিপূর্বে অনেক সংকট তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনার দাবি রাখে। দুটো বিষয়ে সবাই একমত সবাই।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আস্থা ভোট রেখে দিলে প্রধানমন্ত্রী আনচ্যালেঞ্জড থেকে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে কোনো উপায় বের করতে হবে। এক দিনে শেষ না করে আরেকটি আলোচনায় বসে কোথায় ঐকমত্য হলো তা চূড়ান্ত করতে হবে।’

‘ন্যূনতম ঐকমত্যেই জুলাই সনদ’
সময় স্বল্পতার কারণে ‘ন্যূনতম ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে আগামী মাসেই ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হবে বলে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে হবে। একধরনের উপসংহার টানতে হবে, কারণ সময়ের স্বল্পতার বিবেচনায় আমরা জুলাই মাসের মধ্যে যেই সনদ তৈরি করতে চাচ্ছি, সেই সনদে কোনটা অন্তর্ভুক্ত থাকবেÑ কোনটা থাকবে না; সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আলোচনায় যেগুলো থাকবে না, যেগুলোতে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো লিখিত থাকবে যেÑ এগুলো আলোচিত হয়েছে, কিন্তু একমত হওয়া যায়নি।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে যে বিষয়গুলো আমরা নির্ধারণ করেছি, সেটা হলো যে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্ন কক্ষের নারী আসন, স্থায়ী কমিটিসমূহ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষেত্রে তার মেয়াদ এবং তার কার্য্করী পরিধির একটি অংশÑ এগুলো নিয়ে আমরা কথা বলব।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তার দল চায় না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক। এছাড়াও তার দল মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি হওয়া উচিত না। যদিও কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস হওয়া উচিত।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের প্রস্তাবনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে।

একই প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক সবাই চায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে ভালো হবে। কারিগরি দিক নিয়ে আমাদের আরও আলোচনা করতে হবে।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাসের প্রস্তাবে এনসিপি একমত বলে জানান তুষার। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছয় মাস রাখার পক্ষে। মেয়াদ তিন মাস বা চার মাসের বিষয়ে আমরা নমনীয় থাকব। যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত হলে চার মাস প্রয়োজন হতে পারে।’

সংসদীয় কমিটি
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত নয় জানিয়ে দলটির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কয়েকটি কমিটিতে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, তবে সব স্থায়ী কমিটিতে প্রধান বিরোধী দল থেকে নিয়োগ দেয়াকে তার দল বাস্তবসম্মত প্রস্তাব মনে করে না।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে তারা। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনও হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে।’

বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো... ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’

বৈঠকে ছিলেন যারা
আলী রীয়াজের সভাপতিত্ব বৈঠক ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

বৈঠকে বিএনপির ইসমাইল জবিহউল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টির সারবিস আলম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এলডিপির চৌধুরী হাসান সোরওয়ার্দী, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।

আলী রীয়াজ জানান, দ্বিতীয় পর্বের এই সংলাপের আর কোনো সভা ঈদের আগে হবে না। ঈদের ছুটির পর আবার আলোচনা শুরু হবে। তিনি জানান, ঐকমত্যের বিষয়গুলোয় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা আরেকবার আলোচনা করবেন।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। তবে আপাতত এই আসনে সরাসরি ভোট নয়, দলীয় মনোনয়নের পক্ষে তারা। বিএনপি মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি ভোটের সময় হয়নি। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি আনুপাতিক। এখন আসন আছে ৫০টি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আরও ৫০টি আসন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় সব দলের একই রকম প্রস্তাব ছিল। কিছু কিছু দল বাদে। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনও হয়নি। আরও আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে এখনই সরাসরি নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনের জন্য যে পদ্ধতিগুলো... ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি অথবা সরাসরি পদ্ধতি যেগুলো আলোচনায় এসেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বা সংসদীয় সংস্কৃতিতে ভিজিবল (দৃশ্যমান) বলে আমাদের মনে হয়নি। সেজন্য বলেছি, আরও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে হয়তো এক বা দুটি সংসদ চলার মধ্য দিয়ে এটি এমন একটি অবস্থায় যাবে, যাতে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যাবে।’

back to top