নির্বাচন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই বৈঠকে আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, নতুন আশার আলো।”
শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী যৌথ ঘোষণার পর ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, তারেক রহমান রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন এবং মুহাম্মদ ইউনূস জানান, রোজা শুরুর ‘আগের সপ্তাহেও’ ভোট সম্ভব।
ফখরুল বলেন, “পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
“আর ‘সবার আগে বাংলাদেশ’—এই নীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে জনাব তারেক রহমান বরাবরের মতোই প্রমাণ করেছেন, তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা। সময়ের প্রয়োজনে দায়িত্বশীল ছাড় দিয়ে দেখিয়েছেন—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথযাত্রায় তিনি শুধু রাজপথের সর্বোচ্চ শক্তির নেতা নন, আলোচনার টেবিলে এবং ইতিবাচক ডায়ালগেও সমানভাবে দক্ষ ও দূরদর্শী।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের—ইনশাআল্লাহ। এখন প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার নিজ অবস্থান অটুট রেখে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।”
‘বৈঠক টার্নিং পয়েন্টে পরিণত’
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ২টায় লন্ডনের পার্ক লেইনে ডরচেস্টার হোটেলে বৈঠকে বসেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। বৈঠক শেষে ৩টা ৪০ মিনিটে হোটেল ত্যাগ করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান গাড়িতে ওঠার পর মোবাইলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে, সত্যিকার অর্থেই এই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করলাম, বৈঠকের পরপরেই একটি যৌথ ঘোষণা এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে—আমাদের দুই নেতার বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে।
“যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচন ইস্যু। জনাব তারেক রহমান এপ্রিলে নির্বাচন উপযুক্ত সময় নয় বলে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন।
“গোটা জাতি আনন্দের সাথে লক্ষ্য করল যে, প্রধান উপদেষ্টা এতে সম্মত হয়েছেন। তারা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছেন।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, “এর মাধ্যমে তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বদানকারী নেতাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলী ধারণ করেন।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, “তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভাটিতে জনাব তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি ছিল, তা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছেন। তিনি এবং তারেক রহমান নতুন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।”
ফখরুল বলেন, “চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কিছু বলছিলেন। আজ দুই নেতা প্রমাণ করলেন—বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।”
তিনি জানান, গণতন্ত্রের সংগ্রামে গত দেড় দশকে যারা জীবন দিয়েছেন, সেই সব নেতাকর্মী এবং চলমান আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের প্রতি তারেক রহমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “বৈঠকের পর আমাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তার সঠিক দিক-নির্দেশনার কথা বলেছেন।”
ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র কোনো একদিনের বিষয় নয়। এটি চর্চার বিষয়—একটি কালচার। আমাদের মধ্যে এটি গড়ে তুলতে হবে। সারাক্ষণ বকাবকি, গালিগালাজ না করে আসুন আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। দেশ পুনর্গঠনের জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য একযোগে কাজ করি—শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নসু।
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
নির্বাচন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই বৈঠকে আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, নতুন আশার আলো।”
শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী যৌথ ঘোষণার পর ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, তারেক রহমান রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন এবং মুহাম্মদ ইউনূস জানান, রোজা শুরুর ‘আগের সপ্তাহেও’ ভোট সম্ভব।
ফখরুল বলেন, “পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
“আর ‘সবার আগে বাংলাদেশ’—এই নীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে জনাব তারেক রহমান বরাবরের মতোই প্রমাণ করেছেন, তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা। সময়ের প্রয়োজনে দায়িত্বশীল ছাড় দিয়ে দেখিয়েছেন—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথযাত্রায় তিনি শুধু রাজপথের সর্বোচ্চ শক্তির নেতা নন, আলোচনার টেবিলে এবং ইতিবাচক ডায়ালগেও সমানভাবে দক্ষ ও দূরদর্শী।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের—ইনশাআল্লাহ। এখন প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার নিজ অবস্থান অটুট রেখে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।”
‘বৈঠক টার্নিং পয়েন্টে পরিণত’
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুর ২টায় লন্ডনের পার্ক লেইনে ডরচেস্টার হোটেলে বৈঠকে বসেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। বৈঠক শেষে ৩টা ৪০ মিনিটে হোটেল ত্যাগ করেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান গাড়িতে ওঠার পর মোবাইলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে, সত্যিকার অর্থেই এই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করলাম, বৈঠকের পরপরেই একটি যৌথ ঘোষণা এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে—আমাদের দুই নেতার বৈঠকটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে।
“যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচন ইস্যু। জনাব তারেক রহমান এপ্রিলে নির্বাচন উপযুক্ত সময় নয় বলে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন।
“গোটা জাতি আনন্দের সাথে লক্ষ্য করল যে, প্রধান উপদেষ্টা এতে সম্মত হয়েছেন। তারা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছেন।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, “এর মাধ্যমে তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বদানকারী নেতাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলী ধারণ করেন।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, “তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভাটিতে জনাব তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি ছিল, তা থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছেন। তিনি এবং তারেক রহমান নতুন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।”
ফখরুল বলেন, “চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কিছু বলছিলেন। আজ দুই নেতা প্রমাণ করলেন—বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন।”
তিনি জানান, গণতন্ত্রের সংগ্রামে গত দেড় দশকে যারা জীবন দিয়েছেন, সেই সব নেতাকর্মী এবং চলমান আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের প্রতি তারেক রহমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “বৈঠকের পর আমাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তার সঠিক দিক-নির্দেশনার কথা বলেছেন।”
ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র কোনো একদিনের বিষয় নয়। এটি চর্চার বিষয়—একটি কালচার। আমাদের মধ্যে এটি গড়ে তুলতে হবে। সারাক্ষণ বকাবকি, গালিগালাজ না করে আসুন আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। দেশ পুনর্গঠনের জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য একযোগে কাজ করি—শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নসু।