সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পরও তাকে জেল খাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।
তিনি বলেন, “শপথ অনুষ্ঠান পর্যন্ত ডাক পেয়েছি, এখনও কার্ড পাই। আমি কীভাবে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট হলাম? এই সরকার কীভাবে আমাকে ফ্যাসিবাদ বানাল? আমি ২০ দলের নেতা, তার পরও আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। এটা কত বড় স্বৈরাচার দেখুন। ইউনূস সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমি আন্দোলন করেছি, মামলাও করেছি শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে। তবুও আজ আমি জেলে।”
বুধবার এক হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশের পর আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শওকত হাসান নিলুর মৃত্যুর পর দলটি থেকে বেরিয়ে এসে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই বাবুল চাখারীর নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)। এই দলটি পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়।
বাবুল বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ করিনি কখনো। ২০ দলের একজন নেতা হয়েও আমাকে এই সরকারের আমলে জেলে যেতে হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমি ড. ইউনূস ও বর্তমান আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যায়ভাবে আমাকে দমন করা হচ্ছে। এদেশে আইনের কোনো কার্যকারিতা নেই। কোর্ট জামিন দেয়, কিন্তু পুলিশ আবার গ্রেপ্তার করে — এটা কোন ধরনের আইন?”
২০২৩ সালে পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পল্টন থানার এসআই বিমান তরফদার। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এম মিজবাহ উর রহমানের আদালতে সেই আবেদনের শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। বাবুল চাখারীর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তিনি নিজেই আদালতে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “আমি কখনও আওয়ামী লীগ করিনি। আমি ২০২১ সাল থেকে ২০ দলে আছি। তারপরও আমার নামে চারটি হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। একটিতে জামিন পেলেই আরেকটিতে আটকে দেয়। আমি হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন আমাকে বলা হচ্ছে, আমি ভাংচুর করেছি, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।”
শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কারাগারে নেওয়ার পথে তিনি চিৎকার করে বলেন, “এই সরকার স্বৈরাচারী। আমি আন্দোলন করেও যদি জেলে থাকি! ৮ মাস ধরে জেলে আছি, এই সরকারের অত্যাচারে।”
আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি। গত ১৮ নভেম্বর তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। তখন বলা হয়, চাঁদাবাজির মামলা হবে। কিন্তু সে মামলা না দিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দিতে চাই। এই ১৬ বছরের আন্দোলন কি তাহলে বৃথা গেল? এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা মনে করি, বর্তমান আইন উপদেষ্টা তাদের একজন।”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “এক মামলায় জামিন পেলেই নতুন মামলায় আটকে দিচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছে, কখন কাকে তুলে নিয়ে যায়। ফোন করে দেখা করতে বলে — এটা কিসের ষড়যন্ত্র? তারা আসলে কী চায়, আমরা জানতে চাই।”
মামলার এজাহার অনুযায়ী, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিপীড়ন, গুম-খুন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পল্টনে বিএনপি ও অন্যান্য দল সমাবেশ করেছিল। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। অভিযোগ করা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা হঠাৎ হামলা চালায় এবং তাদের ছোড়া গুলিতে সায়মন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সায়মন গত ২৯ এপ্রিল পল্টন মডেল থানায় হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পরও তাকে জেল খাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।
তিনি বলেন, “শপথ অনুষ্ঠান পর্যন্ত ডাক পেয়েছি, এখনও কার্ড পাই। আমি কীভাবে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট হলাম? এই সরকার কীভাবে আমাকে ফ্যাসিবাদ বানাল? আমি ২০ দলের নেতা, তার পরও আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। এটা কত বড় স্বৈরাচার দেখুন। ইউনূস সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমি আন্দোলন করেছি, মামলাও করেছি শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে। তবুও আজ আমি জেলে।”
বুধবার এক হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশের পর আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শওকত হাসান নিলুর মৃত্যুর পর দলটি থেকে বেরিয়ে এসে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই বাবুল চাখারীর নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)। এই দলটি পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়।
বাবুল বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ করিনি কখনো। ২০ দলের একজন নেতা হয়েও আমাকে এই সরকারের আমলে জেলে যেতে হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমি ড. ইউনূস ও বর্তমান আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যায়ভাবে আমাকে দমন করা হচ্ছে। এদেশে আইনের কোনো কার্যকারিতা নেই। কোর্ট জামিন দেয়, কিন্তু পুলিশ আবার গ্রেপ্তার করে — এটা কোন ধরনের আইন?”
২০২৩ সালে পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পল্টন থানার এসআই বিমান তরফদার। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম এম মিজবাহ উর রহমানের আদালতে সেই আবেদনের শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। বাবুল চাখারীর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তিনি নিজেই আদালতে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “আমি কখনও আওয়ামী লীগ করিনি। আমি ২০২১ সাল থেকে ২০ দলে আছি। তারপরও আমার নামে চারটি হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। একটিতে জামিন পেলেই আরেকটিতে আটকে দেয়। আমি হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখন আমাকে বলা হচ্ছে, আমি ভাংচুর করেছি, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।”
শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কারাগারে নেওয়ার পথে তিনি চিৎকার করে বলেন, “এই সরকার স্বৈরাচারী। আমি আন্দোলন করেও যদি জেলে থাকি! ৮ মাস ধরে জেলে আছি, এই সরকারের অত্যাচারে।”
আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি। গত ১৮ নভেম্বর তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। তখন বলা হয়, চাঁদাবাজির মামলা হবে। কিন্তু সে মামলা না দিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দিতে চাই। এই ১৬ বছরের আন্দোলন কি তাহলে বৃথা গেল? এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা মনে করি, বর্তমান আইন উপদেষ্টা তাদের একজন।”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “এক মামলায় জামিন পেলেই নতুন মামলায় আটকে দিচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছে, কখন কাকে তুলে নিয়ে যায়। ফোন করে দেখা করতে বলে — এটা কিসের ষড়যন্ত্র? তারা আসলে কী চায়, আমরা জানতে চাই।”
মামলার এজাহার অনুযায়ী, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিপীড়ন, গুম-খুন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পল্টনে বিএনপি ও অন্যান্য দল সমাবেশ করেছিল। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। অভিযোগ করা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা হঠাৎ হামলা চালায় এবং তাদের ছোড়া গুলিতে সায়মন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সায়মন গত ২৯ এপ্রিল পল্টন মডেল থানায় হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।