পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ জন
বিএনপি কর্মীদের হামলায় লণ্ডভণ্ড লালমনিরহাট থানা -সংবাদ
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপি কর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার জেরে থানা ঘেরাও, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত দুই পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর ৬ জনকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির দাবি, দলটির অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটগ্রাম থানায় এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি কর্মী সোহেল রানা ও বেলাল হোসেনকে আটক করে এক মাসের কারাদ- দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আটক দুইজন সম্প্রতি ইজারা পাওয়া পাথর কোয়ারির যানবাহন থেকে মহাসড়কে চাঁদা তুলছিলেন। ইউএনও উত্তম কুমার দাস জানান, ইজারার শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া মহাসড়কে টোল আদায় বা চাঁদা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই লক্ষাধিক টাকার রসিদসহ হাতেনাতে আটক করে মোবাইল কোর্টে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাটগ্রাম থানায় জড়ো হন। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে তাদের বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি। খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী থানায় জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে, এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বলেন, “ইজারাদারদের সঙ্গে পুলিশের বিরোধে বিএনপির কর্মীদের জড়ানো হয়েছে। পুলিশের অতিরঞ্জিত আচরণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।”
পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বলেন, “অবৈধ চাঁদা তোলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি চপলকে গ্রেফতারের জেরে তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। থানার আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। এতে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “থানায় হঠাৎ হামলা চালানো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়। এ সময় থানার বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ জন
বিএনপি কর্মীদের হামলায় লণ্ডভণ্ড লালমনিরহাট থানা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপি কর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার জেরে থানা ঘেরাও, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত দুই পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপর ৬ জনকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির দাবি, দলটির অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটগ্রাম থানায় এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি কর্মী সোহেল রানা ও বেলাল হোসেনকে আটক করে এক মাসের কারাদ- দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আটক দুইজন সম্প্রতি ইজারা পাওয়া পাথর কোয়ারির যানবাহন থেকে মহাসড়কে চাঁদা তুলছিলেন। ইউএনও উত্তম কুমার দাস জানান, ইজারার শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া মহাসড়কে টোল আদায় বা চাঁদা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই লক্ষাধিক টাকার রসিদসহ হাতেনাতে আটক করে মোবাইল কোর্টে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাটগ্রাম থানায় জড়ো হন। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে তাদের বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি। খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী থানায় জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে, এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বলেন, “ইজারাদারদের সঙ্গে পুলিশের বিরোধে বিএনপির কর্মীদের জড়ানো হয়েছে। পুলিশের অতিরঞ্জিত আচরণেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।”
পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বলেন, “অবৈধ চাঁদা তোলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি চপলকে গ্রেফতারের জেরে তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। থানার আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। এতে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “থানায় হঠাৎ হামলা চালানো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়। এ সময় থানার বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার, পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।