নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতা–কর্মীদের মানুষের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করেন। বিএনপিকে যেন মানুষ ভালোবাসে। বলে, “হ্যাঁ, বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই।” এই জিনিসটাকে আমাদের তৈরি করতে হবে। সেই জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফিরাত এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কথা বলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের একটা সময় ঠিক করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, অন্য রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে।’
দ্রুত নির্বাচন না হলে সংকট দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ আসবে না। ইনভেস্টমেন্ট হবে না। মায়েরা–মেয়েরা আরও বেশি নিরাপত্তা হারাবে। মবোক্রেসি আরও বাড়বে। বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। তাই দরকার একটি নির্বাচিত সরকার, যার পেছনে মানুষের সমর্থন থাকবে।’
দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেন খারাপ কথা কেউ বলতে না পারে। যেন কেউ না বলতে পারে যে আমরা খারাপ কাজ করছি, জমি দখল করেছি, চাঁদাবাজি করেছি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ এবং এর আগের ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য অনেকে রক্ত দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকে মাসের পর মাস কারাগারে রাখা হয়েছে। অনেককে পিটিয়ে শরীর জর্জর করেছে। এই অত্যাচার–নির্যাতন সহ্য করেই আমরা এখন এখানে।’
শেখ হাসিনা হঠাৎ করেই ক্ষমতা ছাড়েননি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বহুদিনের সংগ্রাম, বহু মানুষের ত্যাগ, রক্ত, মাতাদের কান্না—সব মিলিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে সবার অধিকার থাকবে, মানুষ ভোট দিতে পারবে, কথা বলতে পারবে, বাক্স্বাধীনতা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কি চিরকাল দরিদ্র থাকবে? আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন শহীদ জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন, খালেদা জিয়া মানুষের কাছে গণতন্ত্রের গান শুনিয়েছিলেন। আমরা সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন হাবিবুর রহমান (হাবিব), খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, তাহাসিনা রুশদীর (লুনা), এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ, মিফতাহ্ সিদ্দিকী, নিপুণ রায় চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকার ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল। পরে সভায় অংশ নেন এবং বিকেলে নগরের দরগাগেট এলাকার একটি হোটেলে শহীদ বীর সন্তানদের স্মরণ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু), এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির প্রমুখ।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতা–কর্মীদের মানুষের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করেন। বিএনপিকে যেন মানুষ ভালোবাসে। বলে, “হ্যাঁ, বিএনপি ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই।” এই জিনিসটাকে আমাদের তৈরি করতে হবে। সেই জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের উদ্যোগে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফিরাত এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কথা বলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের একটা সময় ঠিক করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, অন্য রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে।’
দ্রুত নির্বাচন না হলে সংকট দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ আসবে না। ইনভেস্টমেন্ট হবে না। মায়েরা–মেয়েরা আরও বেশি নিরাপত্তা হারাবে। মবোক্রেসি আরও বাড়বে। বিচারব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। তাই দরকার একটি নির্বাচিত সরকার, যার পেছনে মানুষের সমর্থন থাকবে।’
দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেন খারাপ কথা কেউ বলতে না পারে। যেন কেউ না বলতে পারে যে আমরা খারাপ কাজ করছি, জমি দখল করেছি, চাঁদাবাজি করেছি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ এবং এর আগের ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য অনেকে রক্ত দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকে মাসের পর মাস কারাগারে রাখা হয়েছে। অনেককে পিটিয়ে শরীর জর্জর করেছে। এই অত্যাচার–নির্যাতন সহ্য করেই আমরা এখন এখানে।’
শেখ হাসিনা হঠাৎ করেই ক্ষমতা ছাড়েননি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বহুদিনের সংগ্রাম, বহু মানুষের ত্যাগ, রক্ত, মাতাদের কান্না—সব মিলিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে সবার অধিকার থাকবে, মানুষ ভোট দিতে পারবে, কথা বলতে পারবে, বাক্স্বাধীনতা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কি চিরকাল দরিদ্র থাকবে? আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন শহীদ জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন, খালেদা জিয়া মানুষের কাছে গণতন্ত্রের গান শুনিয়েছিলেন। আমরা সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন হাবিবুর রহমান (হাবিব), খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, তাহাসিনা রুশদীর (লুনা), এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ, মিফতাহ্ সিদ্দিকী, নিপুণ রায় চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকার ফ্লাইটে সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল। পরে সভায় অংশ নেন এবং বিকেলে নগরের দরগাগেট এলাকার একটি হোটেলে শহীদ বীর সন্তানদের স্মরণ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু), এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির প্রমুখ।