জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বেআইনিভাবে তাঁদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)। তাঁরা জানিয়েছেন, জি এম কাদেরের এ সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না এবং দলের কাউন্সিলে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তিন নেতা এসব কথা বলেন। এর আগের দিন সোমবার জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নির্দেশে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হককে সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ তথ্য জানিয়ে জাপার কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
গত এক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ১১ জন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জাপায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগামীকাল বুধবার জি এম কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জি এম কাদের যে সভা ডেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটি তিনি ডাকতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা ডাকতে পারেন কেবল মহাসচিব। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না এবং নিজেদের পদে বহাল আছেন। তিনি বলেন, তাঁরা কখনো দলের বিরোধিতা করেননি এবং সব সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রে যে ধারার মাধ্যমে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। কোনো গণতান্ত্রিক দলে এমন স্বৈরাচারী ধারা থাকতে পারে না, যা চেয়ারম্যানকে এককভাবে কাউকে যুক্ত বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেন, তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকার সময় তাঁর কাছ থেকে জোর করে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘জি এম কাদেরের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ পায়।’
মুজিবুল হক বলেন, চেয়ারম্যান দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দিলেও মহাসচিব হিসেবে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁর যোগ্যতা জি এম কাদেরের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। তিনি যখন সংসদ সদস্য ছিলেন, তখন জি এম কাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার ছিলেন। কেবল এইচ এম এরশাদের ভাই হওয়ার কারণেই তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়ব না, ভাঙতেও দেব না। দলের জন্য আমাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা কাউন্সিলে যাব, সেখানে আমাদের কথা না শোনা হলে এরপর আর কিছু বলার থাকবে না।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, তিনি ১৭ বছর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জি এম কাদের যা করছেন, তা কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদ করতে পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, নাজমা আকতার, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জহিরুল ইসলাম জহির ও সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বেআইনিভাবে তাঁদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)। তাঁরা জানিয়েছেন, জি এম কাদেরের এ সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না এবং দলের কাউন্সিলে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তিন নেতা এসব কথা বলেন। এর আগের দিন সোমবার জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নির্দেশে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হককে সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ তথ্য জানিয়ে জাপার কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
গত এক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ১১ জন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জাপায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগামীকাল বুধবার জি এম কাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জি এম কাদের যে সভা ডেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটি তিনি ডাকতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভা ডাকতে পারেন কেবল মহাসচিব। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না এবং নিজেদের পদে বহাল আছেন। তিনি বলেন, তাঁরা কখনো দলের বিরোধিতা করেননি এবং সব সময় দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রে যে ধারার মাধ্যমে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। কোনো গণতান্ত্রিক দলে এমন স্বৈরাচারী ধারা থাকতে পারে না, যা চেয়ারম্যানকে এককভাবে কাউকে যুক্ত বা বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করেন, তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকার সময় তাঁর কাছ থেকে জোর করে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘জি এম কাদেরের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ পায়।’
মুজিবুল হক বলেন, চেয়ারম্যান দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দিলেও মহাসচিব হিসেবে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁর যোগ্যতা জি এম কাদেরের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। তিনি যখন সংসদ সদস্য ছিলেন, তখন জি এম কাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার ছিলেন। কেবল এইচ এম এরশাদের ভাই হওয়ার কারণেই তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়ব না, ভাঙতেও দেব না। দলের জন্য আমাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা কাউন্সিলে যাব, সেখানে আমাদের কথা না শোনা হলে এরপর আর কিছু বলার থাকবে না।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, তিনি ১৭ বছর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জি এম কাদের যা করছেন, তা কোনো সুস্থ রাজনীতিবিদ করতে পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, নাজমা আকতার, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জহিরুল ইসলাম জহির ও সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।