ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের সবকিছু এখনও আমলারা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহসাচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, আমলাতন্ত্রের অযাচিত নিয়ন্ত্রণের কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সংগঠন ‘অর্পণ আলোক সংঘ’ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একজন মফস্বলের শিক্ষককে সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় আসতে হয়। এটার তো প্রয়োজন ছিল না। এজন্য দায়ী সিস্টেম। মফস্বলের শিক্ষক যদি সেন্ট্রালে না আসেন, তাহলে ঘুষটা আসবে কোথা থেকে?’
‘আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, নার্সদের নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে।’
রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার তর্ক-বিতর্ক হতাশা তৈরি করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি আশাবাদী; হতাশ হতে চান না। তবে তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই...তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে বা জোড়াতালি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও লক্ষ্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে- এমনটা ভাবা যাবে না।’
দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তারা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কিনা, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।’
‘অর্পণ আলোক সংঘের’ চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন- প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
দেশের সবকিছু এখনও আমলারা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহসাচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, আমলাতন্ত্রের অযাচিত নিয়ন্ত্রণের কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন। শনিবার,(২৩ আগস্ট ২০২৫) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয়তাবাদী দলের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সংগঠন ‘অর্পণ আলোক সংঘ’ এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একজন মফস্বলের শিক্ষককে সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকায় আসতে হয়। এটার তো প্রয়োজন ছিল না। এজন্য দায়ী সিস্টেম। মফস্বলের শিক্ষক যদি সেন্ট্রালে না আসেন, তাহলে ঘুষটা আসবে কোথা থেকে?’
‘আমলারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বরত উপদেষ্টারাও অসহায় হয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে, নার্সদের নিয়োগ হয় ঘুষ দিয়ে।’
রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার তর্ক-বিতর্ক হতাশা তৈরি করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি আশাবাদী; হতাশ হতে চান না। তবে তারপরও হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি যখন একটা প্রগতিবাদী সমাজ দেখতে চাই, যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই...তখন যদি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা হচ্ছে, মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে বা জোড়াতালি দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও লক্ষ্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেড় বছরেই সেই ক্ষতি পূরণ হবে- এমনটা ভাবা যাবে না।’
দেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ভয়াবহ দুর্নীতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজ নিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য, যেটা তার কাজ নয়। আইন প্রণয়নের বদলে তারা রাস্তা উন্নয়ন, ভবন উন্নয়ন, এমনকি গাড়ি কেনা হবে কিনা, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের।’
‘অর্পণ আলোক সংঘের’ চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন- প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ।