সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি ও দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলার তদন্তে দুদক এ তথ্য উদঘাটন করেছে।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে হুন্ডি ও অন্যান্য অবৈধ পথে অর্থ পাচার করেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও বাড়ি ক্রয় করেন। শনাক্ত গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এসএল-ক্লাস, লেক্সাস জিএক্স ৪৬০, ল্যান্ড রোভার, ম্যাকলারেন ৭২০এস, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এমজি জিটি এবং দুটি জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি। এর মধ্যে লেক্সাস গাড়িটি জয়ের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারের নামে নিবন্ধিত। এসব গাড়ির আনুমানিক দাম ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯২৪ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া জয় যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বাড়িও কিনেছেন, যার জন্য খরচ হয়েছে ৫৪ কোটি টাকার বেশি। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, প্রয়োজনে অভিযুক্তের সম্পদ জব্দ করতে আদালতে আবেদন জানানো হবে।
গত ১৪ আগস্ট জয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দুর্নীতি, ঘুষ ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে গেলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একে একে দুর্নীতির মামলা করছে দুদক। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও অন্য স্বজনদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তাদের ব্যাংক হিসাবে থাকা শত শত কোটি টাকা ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি ও দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলার তদন্তে দুদক এ তথ্য উদঘাটন করেছে।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে হুন্ডি ও অন্যান্য অবৈধ পথে অর্থ পাচার করেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি ও বাড়ি ক্রয় করেন। শনাক্ত গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এসএল-ক্লাস, লেক্সাস জিএক্স ৪৬০, ল্যান্ড রোভার, ম্যাকলারেন ৭২০এস, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এমজি জিটি এবং দুটি জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি। এর মধ্যে লেক্সাস গাড়িটি জয়ের সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ারের নামে নিবন্ধিত। এসব গাড়ির আনুমানিক দাম ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯২৪ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া জয় যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বাড়িও কিনেছেন, যার জন্য খরচ হয়েছে ৫৪ কোটি টাকার বেশি। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, প্রয়োজনে অভিযুক্তের সম্পদ জব্দ করতে আদালতে আবেদন জানানো হবে।
গত ১৪ আগস্ট জয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দুর্নীতি, ঘুষ ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে গেলে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একে একে দুর্নীতির মামলা করছে দুদক। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও অন্য স্বজনদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তাদের ব্যাংক হিসাবে থাকা শত শত কোটি টাকা ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।