এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে ‘বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি নির্বাচন ভবনকে ‘পার্টি অফিস’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কমিশন একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা না পেলে ইসি পুনর্গঠনের দাবি তোলা হবে।
রোববার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
শুনানিতে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর খসড়ার বিপক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহর সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব এবং তাদের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করব। বর্তমান কমিশনের নিয়োগ ‘পিক অ্যান্ড চুজের’ ভিত্তিতে হয়েছে। আজকের ঘটনা প্রমাণ করেছে, আগামী নির্বাচনে এই কমিশন কী ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অফিসেই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সারা দেশে বিএনপি কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে, সেটিরই প্রমাণ মিলেছে। এই কমিশন একটি দলের প্রতি নির্লজ্জভাবে কাজ করছে। কমিশনের প্রতি আস্থা ক্রমশ ক্ষীয়মাণ হচ্ছে।”
বিএনপির রুমিন ফারহানাকে ‘বিগত সরকারের সুবিধাভোগী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে তিনি সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন।”
আতাউল্লাহর অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ বলেন, “শুনানিতে দাঁড়ালে রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে তার লোকজন আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে। আমার সঙ্গে আমিনুল ইসলাম ও সুমন মোস্তফাকেও মারধর করা হয়েছে।” তিনি হামলার তদন্ত ও বিচার দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন।
রুমিনের বক্তব্য
শুনানি শেষে রুমিন ফারহানা বলেন, “প্রথমে আমাকে পাঞ্জাবি পরা একজন ধাক্কা দেন। আমি একজন নারী—আমার লোকজন বসে থাকবে কেন? তারা জবাব দিয়েছে। পরে আমার লোকজনকেও মারধর করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির অন্য নেতাদের পাশাপাশি যুবশক্তির সংগঠকরাও উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে ‘বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি নির্বাচন ভবনকে ‘পার্টি অফিস’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কমিশন একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা না পেলে ইসি পুনর্গঠনের দাবি তোলা হবে।
রোববার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
শুনানিতে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর খসড়ার বিপক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহর সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব এবং তাদের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করব। বর্তমান কমিশনের নিয়োগ ‘পিক অ্যান্ড চুজের’ ভিত্তিতে হয়েছে। আজকের ঘটনা প্রমাণ করেছে, আগামী নির্বাচনে এই কমিশন কী ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন অফিসেই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সারা দেশে বিএনপি কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে, সেটিরই প্রমাণ মিলেছে। এই কমিশন একটি দলের প্রতি নির্লজ্জভাবে কাজ করছে। কমিশনের প্রতি আস্থা ক্রমশ ক্ষীয়মাণ হচ্ছে।”
বিএনপির রুমিন ফারহানাকে ‘বিগত সরকারের সুবিধাভোগী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে তিনি সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন।”
আতাউল্লাহর অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ বলেন, “শুনানিতে দাঁড়ালে রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে তার লোকজন আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে। আমার সঙ্গে আমিনুল ইসলাম ও সুমন মোস্তফাকেও মারধর করা হয়েছে।” তিনি হামলার তদন্ত ও বিচার দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন।
রুমিনের বক্তব্য
শুনানি শেষে রুমিন ফারহানা বলেন, “প্রথমে আমাকে পাঞ্জাবি পরা একজন ধাক্কা দেন। আমি একজন নারী—আমার লোকজন বসে থাকবে কেন? তারা জবাব দিয়েছে। পরে আমার লোকজনকেও মারধর করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির অন্য নেতাদের পাশাপাশি যুবশক্তির সংগঠকরাও উপস্থিত ছিলেন।