বাগেরহাটে সংসদীয় আসন চারটি। কিন্তু সংসদীয় আসনের পূনর্বন্টনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশন সেখানে তিনটি আসনের প্রস্তাব করেছে। এতে আপত্তি এলাকার রাজনীতিকদের। আজ সোমবার ইসির শুনানিতে সেই আপত্তিই তুলে ধরলো বাগেরহাট থেকে আসা রাজনীতিক ও তাদের আইনজীবিরা। তাদের দাবি চারটি আসনই বহাল রাখতে হবে।
শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার কমিশনার ও ইসি সচিব রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত ছিলেন। অডিটরিয়ামে আবেদনকারীরা নিজেদের যুক্তি ও আপত্তি তুলে ধরেন।
সীমানা নির্ধারণে ভোটার সংখ্যায় সমতা আনার জন্য এবার গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাব দিয়েছে ইসি। তবে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল:
বাগেরহাট-১: মোল্লারহাট, ফকিরহাট, চিতলমারী
বাগেরহাট-২: সদর ও কচুয়া
বাগেরহাট-৩: রামপাল ও মোংলা
বাগেরহাট-৪: মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা
তবে ইসির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ আগের মতো বহাল থাকছে। বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল নিয়ে প্রস্তাবিত বাগেরহাট-২ এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে প্রস্তাবিত বাগেরহাট-৩ রাখা হয়েছে। এতে বাগেরহাট-৪ বাদ পড়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট-৩ আসনের প্রতিনিধি আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। হঠাৎ করে একটি আসন বাদ দেওয়া জনস্বার্থের পরিপন্থি, অযৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নয়।”
ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, “ইসি জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে না দিয়ে বরং চার আসন থেকে একটি কমিয়েছে। এতে বাগেরহাটবাসী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটি জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটবিরোধী কাজ।”
অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, “কোনো গণশুনানি ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত সিদ্ধান্ত না দিলে আমরা আইনি পথে হাঁটব।”
বিএনপির জেলা নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বাগেরহাটে চারটি নয়, বরং পাঁচটি আসন হওয়া প্রয়োজন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাইনি। ইসি কেবল একটি দলের জন্য কাজ করছে।”
আলাদা ডায়াস
শুনানিতে এবার দুটি ডায়াস রাখা হয়—একটি পক্ষে ও একটি বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য। প্রথম দিনে একটি ডায়াস থাকায় বিএনপি ও এনসিপির প্রতিনিধিদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
শুনানির সময়সূচি
২৫ অগাস্ট খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দাবি-আপত্তি শুনানি হবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাতক্ষীরা-৩, ৪, যশোর-৩, ৬, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩ এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১, ২, পিরোজপুর-১, ২, ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮, ১৯, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান আসনের শুনানি হবে।
ইসি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে। তবে ৮৩টি আসন নিয়ে দাবি-আপত্তি উঠেছে। এর মধ্যে বর্তমান সীমানা বহাল রাখার দাবি এবং পরিবর্তনের প্রস্তাব দুটোই আছে।
মোট ১ হাজার ৭৬০টি আপত্তি আবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৮৩টি এসেছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে, সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে সিলেট অঞ্চলে, আর ময়মনসিং অঞ্চলে পড়েছে তিনটি আবেদন।
২৪ অগাস্ট শুরু হওয়া শুনানি চলবে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপর চার দিনের মধ্যেই দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটে সংসদীয় আসন চারটি। কিন্তু সংসদীয় আসনের পূনর্বন্টনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশন সেখানে তিনটি আসনের প্রস্তাব করেছে। এতে আপত্তি এলাকার রাজনীতিকদের। আজ সোমবার ইসির শুনানিতে সেই আপত্তিই তুলে ধরলো বাগেরহাট থেকে আসা রাজনীতিক ও তাদের আইনজীবিরা। তাদের দাবি চারটি আসনই বহাল রাখতে হবে।
শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার কমিশনার ও ইসি সচিব রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত ছিলেন। অডিটরিয়ামে আবেদনকারীরা নিজেদের যুক্তি ও আপত্তি তুলে ধরেন।
সীমানা নির্ধারণে ভোটার সংখ্যায় সমতা আনার জন্য এবার গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাব দিয়েছে ইসি। তবে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল:
বাগেরহাট-১: মোল্লারহাট, ফকিরহাট, চিতলমারী
বাগেরহাট-২: সদর ও কচুয়া
বাগেরহাট-৩: রামপাল ও মোংলা
বাগেরহাট-৪: মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা
তবে ইসির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ আগের মতো বহাল থাকছে। বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও রামপাল নিয়ে প্রস্তাবিত বাগেরহাট-২ এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে প্রস্তাবিত বাগেরহাট-৩ রাখা হয়েছে। এতে বাগেরহাট-৪ বাদ পড়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট-৩ আসনের প্রতিনিধি আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান দিপু বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। হঠাৎ করে একটি আসন বাদ দেওয়া জনস্বার্থের পরিপন্থি, অযৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নয়।”
ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, “ইসি জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে না দিয়ে বরং চার আসন থেকে একটি কমিয়েছে। এতে বাগেরহাটবাসী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটি জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটবিরোধী কাজ।”
অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, “কোনো গণশুনানি ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত সিদ্ধান্ত না দিলে আমরা আইনি পথে হাঁটব।”
বিএনপির জেলা নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বাগেরহাটে চারটি নয়, বরং পাঁচটি আসন হওয়া প্রয়োজন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শুনানিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাইনি। ইসি কেবল একটি দলের জন্য কাজ করছে।”
আলাদা ডায়াস
শুনানিতে এবার দুটি ডায়াস রাখা হয়—একটি পক্ষে ও একটি বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য। প্রথম দিনে একটি ডায়াস থাকায় বিএনপি ও এনসিপির প্রতিনিধিদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
শুনানির সময়সূচি
২৫ অগাস্ট খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দাবি-আপত্তি শুনানি হবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাতক্ষীরা-৩, ৪, যশোর-৩, ৬, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩ এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১, ২, পিরোজপুর-১, ২, ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮, ১৯, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান আসনের শুনানি হবে।
ইসি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে। তবে ৮৩টি আসন নিয়ে দাবি-আপত্তি উঠেছে। এর মধ্যে বর্তমান সীমানা বহাল রাখার দাবি এবং পরিবর্তনের প্রস্তাব দুটোই আছে।
মোট ১ হাজার ৭৬০টি আপত্তি আবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৮৩টি এসেছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে, সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে সিলেট অঞ্চলে, আর ময়মনসিং অঞ্চলে পড়েছে তিনটি আবেদন।
২৪ অগাস্ট শুরু হওয়া শুনানি চলবে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপর চার দিনের মধ্যেই দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।