সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে; আগামী বুধবার আরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি অনুষ্ঠিত হয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে।
রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক রিভিউ আবেদন জমা পড়ে। ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান আবেদন করেছিলেন। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রিভিউ আবেদন করেন। ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও আবেদন জমা দেন।
এই চার রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানি হচ্ছে।
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করা হয়। ১৯৯৮ সালে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ অগাস্ট রিট খারিজ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে। ২০০৫ সালে আপিল করা হয়, ২০০৬ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং দুই বছর ক্ষমতায় থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি শুরু হয়। শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ও তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয় এবং ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেন।
১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে; আগামী বুধবার আরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি অনুষ্ঠিত হয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে।
রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক রিভিউ আবেদন জমা পড়ে। ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান আবেদন করেছিলেন। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রিভিউ আবেদন করেন। ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও আবেদন জমা দেন।
এই চার রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানি হচ্ছে।
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করা হয়। ১৯৯৮ সালে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ অগাস্ট রিট খারিজ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে। ২০০৫ সালে আপিল করা হয়, ২০০৬ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং দুই বছর ক্ষমতায় থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি শুরু হয়। শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ও তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন।
২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয় এবং ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেন।
১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।