নিজের শ্বশুরের হাই কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠা সমালোচনার জবাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম বলেছেন, প্রশ্নকারীরা ‘সংকীর্ণ মানসিকতার’ পরিচয় দিয়েছেন।
তার দাবি, যোগ্যতার ভিত্তিতে ও যাবতীয় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এ সম্মান অর্জন করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা তার শ্বশুর।
ফেইসবুকে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের সোমবারের একটি পোস্টের কমেন্টে গিয়ে সারজিস এ বিষয়ে তার বক্তব্য দেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া ওই বিচারককে ‘নিকটাত্মীয়’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় তার (বিচারকের) কৃতিত্বের কথা এবং হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তার সফলতার বর্ণনা করেন।
হাই কোর্টে নতুন ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা আদালতের বিচারকসহ নয়জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, নয়জন আইনজীবী এবং সাতজন আইন কর্মকর্তা।
নতুন বিচারকদের একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. লুৎফর রহমান। তিনি সম্পর্কে সারজিসের শ্বশুর। আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর আসার পর ফেসবুকে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সায়েরের এ বিষয়ক পোস্টেও নানা রকম মন্তব্য আসে। সেই পোস্টের কমেন্ট অংশে গিয়ে সারজিস তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
মন্তব্যে তিনি লেখেন, “আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ’খ’ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
“আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাই কোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সাথে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত।”
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে সারজিস লেখেন, “তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সকল যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছায়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন। এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।”
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
নিজের শ্বশুরের হাই কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠা সমালোচনার জবাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম বলেছেন, প্রশ্নকারীরা ‘সংকীর্ণ মানসিকতার’ পরিচয় দিয়েছেন।
তার দাবি, যোগ্যতার ভিত্তিতে ও যাবতীয় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এ সম্মান অর্জন করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা তার শ্বশুর।
ফেইসবুকে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের সোমবারের একটি পোস্টের কমেন্টে গিয়ে সারজিস এ বিষয়ে তার বক্তব্য দেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া ওই বিচারককে ‘নিকটাত্মীয়’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় তার (বিচারকের) কৃতিত্বের কথা এবং হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তার সফলতার বর্ণনা করেন।
হাই কোর্টে নতুন ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা আদালতের বিচারকসহ নয়জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, নয়জন আইনজীবী এবং সাতজন আইন কর্মকর্তা।
নতুন বিচারকদের একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. লুৎফর রহমান। তিনি সম্পর্কে সারজিসের শ্বশুর। আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর আসার পর ফেসবুকে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সায়েরের এ বিষয়ক পোস্টেও নানা রকম মন্তব্য আসে। সেই পোস্টের কমেন্ট অংশে গিয়ে সারজিস তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
মন্তব্যে তিনি লেখেন, “আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ’খ’ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
“আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাই কোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সাথে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত।”
সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে সারজিস লেখেন, “তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সকল যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছায়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন। এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।”