alt

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই বলছেন, নির্দ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কথা

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ: : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

নির্বাচনি প্রচারণায় সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার । ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণার আর মাত্র একদিন বাকি। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সকল প্রার্থী। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা দু’জনেই ভোটারদের নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও তৈমুর আলম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে তার পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। অন্যদিকে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ভোটের মাঠে কখনই বাড়তি সুবিধা তিনি নেননি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভোটে বিশৃঙ্খলা হলে প্রশাসন দেখবে।

সকাল ১০টায় নগরীর দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রচারণা শুরু করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। বিকেলে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুইবারের নির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘প্রশাসন সকল পরিস্থিতি দেখভাল করবে। তবে ভোটারদের বলবো, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে। টানটান উত্তেজনা ছিল। সকলেই ভোট দিতে গেছে, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না। ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোট কেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোনো সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমত ভোট দিতে যেতে পারে।’

তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ যেরকম চায় সেভাবেই কাজ করেছেন। তরুণ যারা রয়েছেন তাদের চাহিদা অনুযায়ীও কাজ করেছেন তিনি। নিজেকে সবসময় স্বচ্ছ রেখেছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নেননি। তার এমন চরিত্রের কারণেই তরুণ ভোটাররা তাকে ভোট দিবে বলে মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোনো বাড়তি সুবিধা পাই নাই আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণছকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।’

এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকালে আইভীর পক্ষে মিছিল করেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। বিকেলে মিছিল করেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। উভয় মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।

এদিকে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার প্রচারণা চালিয়েছেন নগরীরর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘এসপি কাউকে ছাড় নেওয়ার কথা বলেছেন। ওনার বক্তব্যের সাথে কাজে মিল থাকলে খুশি হতাম। আমার দলের লোক, আমার জন্য যারা মাঠে-ময়দানে কাজ করতেছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি করতেছে। নির্বাচনে উৎসবের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দয়া করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। এইসব হয়রানি বন্ধের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও একই অনুরোধ জানাই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ভীত না। আমার নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে। আন্তর্জাতিক দূতাবাসের যারা আছেন পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মী যারা আছেন সকলকে বলবো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে।’

তৈমুর বলেন, ‘কাউকে ধমক দিয়ে গালি দিয়ে তো কাজ করানো যায় না। নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে ম্যাসেজটা ক্লিয়ার যে, তাদের মাঝে বিরাট ফাটল। ঢাকা থেকে মেহমানরা এসেও এই ফাটল মেটাতে পারেনি। হাতি এখন জনগণের মার্কা। হাতির মাধ্যমেই পরিবর্তন আসবে। ভোটারদের অনুরোধ নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসবেন।’

এদিকে প্রচারণা চালিয়েছেন আরও চার মেয়র প্রার্থী। তবে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শহরে দেখা যায়নি। অন্যদিকে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও।

ছবি

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে : কাদের

ছবি

‘স্বার্থহীন’ রাজনীতির উদাহরণ পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ছবি

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

প্রথম ধাপে চার উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন নেই

ছবি

মাদারীপুরে দুইটি উপজেলায় ২১ প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

ছবি

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের

ছবি

উপজেলা নির্বাচন: পরশুরামে এবারও ভোটের প্রয়োজন হবে না

চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতার মনোনযন প্রত্যাহার, দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই

ছবি

হাতিয়াতে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান

ছবি

তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত

লালমনিরহাটে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই সাবেক মন্ত্রীর ভাই-ছেলের লড়াই

ছবি

শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা

ছবি

সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

কসবায় নির্বাচন থেকে সরছেন না মন্ত্রীর আত্মীয় ছাইদুর

ছবি

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

ছবি

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে ছাত্রলীগ

ছবি

সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই-- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

ছবি

স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই: ইসি আলমগীর

ছবি

সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে, যেকোনো সময় ডুবে যাবে: রিজভী

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলায় হতাহত ৭

ছবি

আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে : কাদের

ছবি

আমি লজ্জিত-দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী, দোষীদের কপালে দুঃখ আছে : পলক

ছবি

যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : শেখ হাসিনা

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

ছবি

বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

ছবি

আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির

ছবি

হিটলারের চেয়েও ভয়ঙ্কর নেতানিয়াহু : ওবায়দুল কাদের

tab

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই বলছেন, নির্দ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কথা

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ:

নির্বাচনি প্রচারণায় সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার । ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণার আর মাত্র একদিন বাকি। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সকল প্রার্থী। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা দু’জনেই ভোটারদের নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। যদিও তৈমুর আলম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে তার পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। অন্যদিকে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ভোটের মাঠে কখনই বাড়তি সুবিধা তিনি নেননি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভোটে বিশৃঙ্খলা হলে প্রশাসন দেখবে।

সকাল ১০টায় নগরীর দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রচারণা শুরু করেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। বিকেলে নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুইবারের নির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘প্রশাসন সকল পরিস্থিতি দেখভাল করবে। তবে ভোটারদের বলবো, তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে। টানটান উত্তেজনা ছিল। সকলেই ভোট দিতে গেছে, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না। ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোট কেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোনো সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমত ভোট দিতে যেতে পারে।’

তরুণ ভোটারদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ যেরকম চায় সেভাবেই কাজ করেছেন। তরুণ যারা রয়েছেন তাদের চাহিদা অনুযায়ীও কাজ করেছেন তিনি। নিজেকে সবসময় স্বচ্ছ রেখেছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নেননি। তার এমন চরিত্রের কারণেই তরুণ ভোটাররা তাকে ভোট দিবে বলে মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোনো বাড়তি সুবিধা পাই নাই আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণছকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।’

এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকালে আইভীর পক্ষে মিছিল করেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। বিকেলে মিছিল করেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। উভয় মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।

এদিকে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার প্রচারণা চালিয়েছেন নগরীরর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘এসপি কাউকে ছাড় নেওয়ার কথা বলেছেন। ওনার বক্তব্যের সাথে কাজে মিল থাকলে খুশি হতাম। আমার দলের লোক, আমার জন্য যারা মাঠে-ময়দানে কাজ করতেছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি করতেছে। নির্বাচনে উৎসবের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দয়া করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। এইসব হয়রানি বন্ধের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও একই অনুরোধ জানাই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ ভীত না। আমার নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে। আন্তর্জাতিক দূতাবাসের যারা আছেন পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মী যারা আছেন সকলকে বলবো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে।’

তৈমুর বলেন, ‘কাউকে ধমক দিয়ে গালি দিয়ে তো কাজ করানো যায় না। নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে ম্যাসেজটা ক্লিয়ার যে, তাদের মাঝে বিরাট ফাটল। ঢাকা থেকে মেহমানরা এসেও এই ফাটল মেটাতে পারেনি। হাতি এখন জনগণের মার্কা। হাতির মাধ্যমেই পরিবর্তন আসবে। ভোটারদের অনুরোধ নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসবেন।’

এদিকে প্রচারণা চালিয়েছেন আরও চার মেয়র প্রার্থী। তবে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শহরে দেখা যায়নি। অন্যদিকে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও।

back to top