জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। তিনি বলেন, নিরক্ষরতার কারণে যে দেশের নির্বাচনে প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়, এমন বাস্তবতায় ইভিএমে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে জাপার চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির এক মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ইভিএমের নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। কারণ, সেখানে ব্যালট পেপার থাকে না। ফলে ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট দেবে, তাই ঘোষণা হবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই, একদলীয় স্বৈরশাসন চালু হয়েছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, সংবিধানকে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিক স্বৈরশাসন চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে ১৯৯০ সালে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল, স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। কিন্তু এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হয়েছে পুরো উল্টো, গণতন্ত্র নিপাত গেছে, স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুক্তির স্বপ্নে স্বাধীনতাসংগ্রাম হয়েছিল, সেই মুক্তি দেশের মানুষ এখনো পায়নি। দেশের কোনো ক্ষেত্রেই জবাবদিহি নিশ্চিত হয়নি।
জি এম কাদের দাবি করেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি নিশ্চিহ্ন করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে কোনো বেকার নেই। অথচ দেশে বেকারের সংখ্যা পাঁচ কোটি। যারা দেশের বেকারত্ব বোঝে না, তারা মানুষের কষ্টও বোঝে না। যারা মানুষের কষ্ট বোঝে না, তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই। ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জোট করবে না বলে জানান জাপার মহাসচিব।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক ও সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান।
বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। তিনি বলেন, নিরক্ষরতার কারণে যে দেশের নির্বাচনে প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়, এমন বাস্তবতায় ইভিএমে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে জাপার চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির এক মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ইভিএমের নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। কারণ, সেখানে ব্যালট পেপার থাকে না। ফলে ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট দেবে, তাই ঘোষণা হবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই, একদলীয় স্বৈরশাসন চালু হয়েছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, সংবিধানকে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিক স্বৈরশাসন চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে ১৯৯০ সালে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল, স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। কিন্তু এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হয়েছে পুরো উল্টো, গণতন্ত্র নিপাত গেছে, স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুক্তির স্বপ্নে স্বাধীনতাসংগ্রাম হয়েছিল, সেই মুক্তি দেশের মানুষ এখনো পায়নি। দেশের কোনো ক্ষেত্রেই জবাবদিহি নিশ্চিত হয়নি।
জি এম কাদের দাবি করেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি নিশ্চিহ্ন করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে কোনো বেকার নেই। অথচ দেশে বেকারের সংখ্যা পাঁচ কোটি। যারা দেশের বেকারত্ব বোঝে না, তারা মানুষের কষ্টও বোঝে না। যারা মানুষের কষ্ট বোঝে না, তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই। ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জোট করবে না বলে জানান জাপার মহাসচিব।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক ও সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান।