alt

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন : বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা আ’লীগের

ফয়েজ আহমেদ তুষার : সোমবার, ১৬ মে ২০২২

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন এখনও দেড় বছর দূরে, তবে সম্প্রতি সেই নির্বাচন নিয়েই রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎই সরগরম। তাতে মুখ্যবিষয় নির্বাচনটি সর্বদলীয় হবে কিনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির অংশগ্রহণ জরুরি।

এখন বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ কি কোন ছাড় দেবে- এ বিষয়ে সংবাদ কথা বলেছে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক জেষ্ঠ্য নেতার সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের ধারণা দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। আর ভবিষ্যতে ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা’ নেবে ক্ষমতাসীনরা।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা বা ছাড় দেয়ার কথা বলছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় এক যুগের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। দলটি বলছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে সে নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না।

আবার নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে বিএনপি ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ যে দাবি তুলেছে তা সাফ নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য সংবাদকে বলেন, ‘আমি এটুকু বুঝি যে, নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি আছে। এখন নিজেদের প্রস্তুতির সময়। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে শেষ পর্যন্ত কী করতে হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। নীতিনির্ধারণী মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র বলছে, তাদের মূল্যায়ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ‘ভরাডুবিতে’ ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশপাশি নগর ও তৃণমূল পর্যায়’ থেকে দলের ‘নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে’। যেহেতু দেশের আইন অনুযায়ী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, তাই ‘বিএনপিকে নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা’ আওয়ামী লীগের নেই।

সূত্রটি বলছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক’ ছাড়া নির্বাচনে না আসার কথা বললেও, বিএনপির একটি অংশ ‘যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে’ রয়েছে।

বিএনপির ওই অংশকে নির্বাচনে আনার সব প্রচেষ্টা ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে থাকবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

‘নির্দলীয়’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বিএনপিকে দিতে চেয়েছিল। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি।

বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশ্ন ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি আবারও জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে, আন্তর্জাতিক পরিম-লে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘আসলে চাপ আছে কি, নাই, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো বিএনপি যখন দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল তখন আমাদের সরকার শুরু থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নানা প্রশ্নের মুখে ছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, তাই এই চেষ্টা।’

বিএনপিকে কোন ছাড় দেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বপ্ন বিএনপির পূরণ হবে না, এটা তো আমাদের সাধারণ সম্পাদক অলরেডি বলেছেন।’

‘একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তারা (বিএনপি) এই দাবি তুলেছিল। আমারা সংবিধানের বাইরে যাইনি। বিএনপি কিন্তু নির্বাচনে এসেছিল।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

তবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন- সব দল নির্বাচনে আসুক। সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়ে ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

তিনি এও জানান ‘বিএনপির সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন বাধা থাকবে না।’

তবে বিএনপি বলছে, ‘আওয়ামী লীগ অতীতেও কথা রাখেনি। ভবিষ্যতেও রাখবে না।’ তাই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত নির্বাচনে আসা। তবে সংবিধান পরিপন্থি কোন দাবি মেনে নেয়া হবে না। বিএনপির হুমকিকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। নির্বাচন যথা সময়েই হবে।’

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে নবম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর টানা তিন মেয়াদে তেরো বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আগামী বছর (২০২৩) ডিসেম্বরে বা পরবর্তী বছর (২০২৪) জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

ছবি

বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

ছবি

আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির

ছবি

হিটলারের চেয়েও ভয়ঙ্কর নেতানিয়াহু : ওবায়দুল কাদের

ছবি

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের

সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে সত্যিকার অর্থে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, গ্রামের মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে

ছবি

এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এসেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

ঈদে মধ্যবিত্তরা মুখ লুকিয়ে কাঁদছে: রিজভী

রংপুরে পুনঃ গননা, জাতীয় পার্টির মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজার রহমানকে ৩শ ৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা

ছবি

বিএনপি গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল : ওবায়দুল কাদের

ছবি

বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক : ওবায়দুল কাদের

ছবি

রমজানে দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি সরকারের দোষ নয় , এটা আমাদের রক্তে সমস্যা : এমপি রুমা চক্রবর্তী

ছবি

পাহাড়ে কেএনএফের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা: ওবায়দুল কাদের

ছবি

সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে: রিজভী

ছবি

সকলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান

ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবগত থাকলেও তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেননি: পাহাড় নিয়ে রিজভী

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিভাগভিত্তিক কমিটি ঘোষণা

বিভক্ত বিএনপি : দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন মাহবুব উদ্দীন খোকন

ছবি

বান্দরবানের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার: সেতুমন্ত্রী

কোন্দলের শঙ্কার মধ্যেই ‘উৎসবমুখর’ উপজেলা ভোটের চ্যালেঞ্জ আ’লীগের

ছবি

ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও বিএনপি ব্যর্থ: কাদের

আগামীকাল আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের মতবিনিময় সভা

ছবি

বুয়েটে চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলের সংহতি

ছবি

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

ছবি

সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ঈদের আগে গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি:এবি পার্টির

ছবি

উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে : কাদের

ছবি

সিসিইউতে খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

tab

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন : বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা আ’লীগের

ফয়েজ আহমেদ তুষার

সোমবার, ১৬ মে ২০২২

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন এখনও দেড় বছর দূরে, তবে সম্প্রতি সেই নির্বাচন নিয়েই রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎই সরগরম। তাতে মুখ্যবিষয় নির্বাচনটি সর্বদলীয় হবে কিনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির অংশগ্রহণ জরুরি।

এখন বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ কি কোন ছাড় দেবে- এ বিষয়ে সংবাদ কথা বলেছে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক জেষ্ঠ্য নেতার সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের ধারণা দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। আর ভবিষ্যতে ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা’ নেবে ক্ষমতাসীনরা।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা বা ছাড় দেয়ার কথা বলছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় এক যুগের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। দলটি বলছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে সে নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না।

আবার নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে বিএনপি ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ যে দাবি তুলেছে তা সাফ নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য সংবাদকে বলেন, ‘আমি এটুকু বুঝি যে, নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকি আছে। এখন নিজেদের প্রস্তুতির সময়। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে শেষ পর্যন্ত কী করতে হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। নীতিনির্ধারণী মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র বলছে, তাদের মূল্যায়ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ‘ভরাডুবিতে’ ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশপাশি নগর ও তৃণমূল পর্যায়’ থেকে দলের ‘নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে’। যেহেতু দেশের আইন অনুযায়ী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, তাই ‘বিএনপিকে নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা’ আওয়ামী লীগের নেই।

সূত্রটি বলছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক’ ছাড়া নির্বাচনে না আসার কথা বললেও, বিএনপির একটি অংশ ‘যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে’ রয়েছে।

বিএনপির ওই অংশকে নির্বাচনে আনার সব প্রচেষ্টা ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে থাকবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

‘নির্দলীয়’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বিএনপিকে দিতে চেয়েছিল। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি।

বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশ্ন ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি আবারও জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে, আন্তর্জাতিক পরিম-লে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘আসলে চাপ আছে কি, নাই, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো বিএনপি যখন দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল তখন আমাদের সরকার শুরু থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নানা প্রশ্নের মুখে ছিল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, তাই এই চেষ্টা।’

বিএনপিকে কোন ছাড় দেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বপ্ন বিএনপির পূরণ হবে না, এটা তো আমাদের সাধারণ সম্পাদক অলরেডি বলেছেন।’

‘একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তারা (বিএনপি) এই দাবি তুলেছিল। আমারা সংবিধানের বাইরে যাইনি। বিএনপি কিন্তু নির্বাচনে এসেছিল।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

তবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন- সব দল নির্বাচনে আসুক। সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়ে ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

তিনি এও জানান ‘বিএনপির সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন বাধা থাকবে না।’

তবে বিএনপি বলছে, ‘আওয়ামী লীগ অতীতেও কথা রাখেনি। ভবিষ্যতেও রাখবে না।’ তাই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত নির্বাচনে আসা। তবে সংবিধান পরিপন্থি কোন দাবি মেনে নেয়া হবে না। বিএনপির হুমকিকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। নির্বাচন যথা সময়েই হবে।’

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে নবম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর টানা তিন মেয়াদে তেরো বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আগামী বছর (২০২৩) ডিসেম্বরে বা পরবর্তী বছর (২০২৪) জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

back to top