কুমিল্লায় প্রকাশ্যে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। এরপরই মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হয় এ ওয়ার্ড। পরিষদের মেয়াদ কম থাকায় এ ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হয়নি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এবার সেই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনা এবং ভাই সৈয়দ মো. রুমন। ভোটারদের মনজয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনকে ঘিরে দেবর-ভাবীর এমন লড়াই নিয়ে নগরজুড়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন ১৭নং ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনা এবং সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রুমন। সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড এলাকায় পৃথকভাবে পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়া আলাদাভাবে কর্মী-সমর্থক নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তারা ঈদ শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর গত ১০ মে শাহনাজ আক্তার রুনা এবং পরদিন ১১ মে সৈয়দ মো. রুমন পৃথকভাবে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে শাহনাজ আক্তার রুনা এবং সৈয়দ মো. রুমন রয়েছেন। এদিকে গতকাল দুপুরে সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনার মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়। এ বিষয়ে শাহনাজ আক্তার রুনা জানান, ‘আমার স্বামীর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। ইতিমধ্যে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ভাই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী এবং ওয়ার্ডবাসী আমার পাশে আছেন। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। যতদিন বেঁচে থাকব এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’ এ বিষয়ে নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সৈয়দ মো. রুমন জানান, ‘বিগত সময়ে আমি ভাইয়ের সঙ্গে থেকে ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ তদারকি করেছি। এলাকার উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণের অনুরোধে এ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী হয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত বছর ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে অবস্থানকালে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। নিহত সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুটি নির্বাচনেই তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্যানেল মেয়রও ছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
কুমিল্লায় প্রকাশ্যে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। এরপরই মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হয় এ ওয়ার্ড। পরিষদের মেয়াদ কম থাকায় এ ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হয়নি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এবার সেই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনা এবং ভাই সৈয়দ মো. রুমন। ভোটারদের মনজয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনকে ঘিরে দেবর-ভাবীর এমন লড়াই নিয়ে নগরজুড়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন ১৭নং ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনা এবং সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রুমন। সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড এলাকায় পৃথকভাবে পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়া আলাদাভাবে কর্মী-সমর্থক নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তারা ঈদ শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর গত ১০ মে শাহনাজ আক্তার রুনা এবং পরদিন ১১ মে সৈয়দ মো. রুমন পৃথকভাবে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে শাহনাজ আক্তার রুনা এবং সৈয়দ মো. রুমন রয়েছেন। এদিকে গতকাল দুপুরে সৈয়দ মো. সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুনার মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়। এ বিষয়ে শাহনাজ আক্তার রুনা জানান, ‘আমার স্বামীর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। ইতিমধ্যে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ভাই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী এবং ওয়ার্ডবাসী আমার পাশে আছেন। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। যতদিন বেঁচে থাকব এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’ এ বিষয়ে নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সৈয়দ মো. রুমন জানান, ‘বিগত সময়ে আমি ভাইয়ের সঙ্গে থেকে ওয়ার্ডবাসীকে সেবা প্রদানসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ তদারকি করেছি। এলাকার উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণের অনুরোধে এ ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী হয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত বছর ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে অবস্থানকালে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। নিহত সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুটি নির্বাচনেই তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং প্যানেল মেয়রও ছিলেন।