বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কাণ্ড-কারখানা করেছে, অপকৌশল নিয়েছে। বারবার জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিএনপিকেও বার বার টোপে ফেলা হয়েছে। এবার বিএনপিকে সরকার কোনো টোপে ফেলতে পারবে না। জনগণ সেই প্রতারণার শিকার হবে না।
শনিবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর সপ্তম শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে সম্মিলিত ছাত্র-যুব ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে তুলে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা ভালো নেই। তাদের রাতে ঘুম হয় না। যদি ভালো ঘুম হতো, তাহলে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য কেউ করতে পারতেন না। কারও মুখে এ ধরনের অসংলগ্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আসতো না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তিনি পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশে কি প্রমাণিত হয়? এটা কী হত্যার ষড়যন্ত্র নয়? আমরা বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে তিনি হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কিছুদিন আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডয়েচে ভেলে সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না। চার বার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। উনি আসলে বুঝে গেছেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য-বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি বিজয়ী হয়ে যে সরকার গঠন করবে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া।’
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে- শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার। এই নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে অংশ করার বিএনপির প্রশ্নই ওঠে না। এই কমিশন সংলাপের আহ্বান করলেই কী, না করলেই কী। বিএনপি এই ব্যাপারে কর্ণপাতও করে না, দুই পয়সার দামও দেয় না। প্রশ্ন্ই উঠে না তাদের কথা বলার।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার পতন অথবা পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্দলীয় সরকার কীভাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেই লক্ষ্যে তারা দায়িত্ব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা যখন আরেকটি নির্দলীয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, আমরা সেই নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলব।
অর্থনীতির সূচকের সব কিছু প্রকাশিত হচ্ছে না বলে অভিযো তোলেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য। বৈদেশিক রিজার্ভের কথা বলা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্ তিনি নিজের স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন যে, আমাদের রিজার্ভ থেকে যে ঋণ দে্ওয়া হচ্ছে পুরোপুরিভাবে সরকার সেই তথ্য দিচ্ছে না।
আরও অনেক ঋণ নেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে, খাতা-কলমে যেগুলো আছে। তা ছাড়াও সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের নামে সাইড লাইনে সেসব ঋণ নেওয়া হয়েছে-এগুলো যদি এক করা হয় তাহলে দেশে অর্খনৈতিক অবস্থা শ্রীলংকার থেকে ভালো নয়।
শনিবার, ২১ মে ২০২২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা কাণ্ড-কারখানা করেছে, অপকৌশল নিয়েছে। বারবার জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিএনপিকেও বার বার টোপে ফেলা হয়েছে। এবার বিএনপিকে সরকার কোনো টোপে ফেলতে পারবে না। জনগণ সেই প্রতারণার শিকার হবে না।
শনিবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর সপ্তম শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে সম্মিলিত ছাত্র-যুব ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে তুলে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা ভালো নেই। তাদের রাতে ঘুম হয় না। যদি ভালো ঘুম হতো, তাহলে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য কেউ করতে পারতেন না। কারও মুখে এ ধরনের অসংলগ্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আসতো না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তিনি পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশে কি প্রমাণিত হয়? এটা কী হত্যার ষড়যন্ত্র নয়? আমরা বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে তিনি হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কিছুদিন আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডয়েচে ভেলে সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না। চার বার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। উনি আসলে বুঝে গেছেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য-বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি বিজয়ী হয়ে যে সরকার গঠন করবে, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া।’
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে- শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার। এই নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে অংশ করার বিএনপির প্রশ্নই ওঠে না। এই কমিশন সংলাপের আহ্বান করলেই কী, না করলেই কী। বিএনপি এই ব্যাপারে কর্ণপাতও করে না, দুই পয়সার দামও দেয় না। প্রশ্ন্ই উঠে না তাদের কথা বলার।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার পতন অথবা পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্দলীয় সরকার কীভাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেই লক্ষ্যে তারা দায়িত্ব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা যখন আরেকটি নির্দলীয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, আমরা সেই নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলব।
অর্থনীতির সূচকের সব কিছু প্রকাশিত হচ্ছে না বলে অভিযো তোলেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য। বৈদেশিক রিজার্ভের কথা বলা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্ তিনি নিজের স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন যে, আমাদের রিজার্ভ থেকে যে ঋণ দে্ওয়া হচ্ছে পুরোপুরিভাবে সরকার সেই তথ্য দিচ্ছে না।
আরও অনেক ঋণ নেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে, খাতা-কলমে যেগুলো আছে। তা ছাড়াও সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের নামে সাইড লাইনে সেসব ঋণ নেওয়া হয়েছে-এগুলো যদি এক করা হয় তাহলে দেশে অর্খনৈতিক অবস্থা শ্রীলংকার থেকে ভালো নয়।