কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
রিফাত নৌকা, সাক্কু টেবিল ঘড়ি
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৫ মেয়র প্রার্থী ও ১৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। শুক্রবার (২৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে নগরীর রাস্তায় রাস্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মাইকিং-প্রচারণা। প্রথম দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও এলাকা থেকে সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। তবে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও মনিরুল হক সাক্কু আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেননি।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক সংবলিত একটি কাগজ হস্তান্তর করেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন প্রতীক গ্রহণ করেন।
অন্য মেয়র প্রার্থীদের মাঝে রাশেদুল ইসলাম ছাড়া অপর ৩ মেয়র প্রার্থী উপস্থিত থেকে প্রতীকের কাগজ গ্রহণ করেন। মেয়র পদে আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) প্রতীক পেয়েছেন। একই অনুষ্ঠানে পরে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রথম দিনেই প্রচারণার শুরুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লা নগরীকে একটি আধুনিক নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তিনি বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেননি। তাদের মধ্যে সাক্কু প্রতীক পেয়ে বাসায় ফিরে দিনভর দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দলের মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেছেন, বাদ মাগরিব নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন ও মিলাদ শেষে দলীয় নেতার্মীরা বসে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবেন এবং শনিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দুই মেয়াদে সিটির মেয়র থাকাকালীন নগরবাসীর অধিকাংশ সমস্যাই সমাধান করা হয়েছে এবং বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তিনি আজ সকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা গেছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী প্রচার কার্যালয় স্থাপন করছেন। অলিগলিতে ভোট চেয়ে মাইকিং করা হয়েছে এবং সাঁটানো হয়েছে পোস্টার।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আছেন মেয়র পদে ৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৩৬ জনসহ মোট ১৪৭ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে দুটি ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন দুই কাউন্সিলর। সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৬০০ ও নারী এক লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন। ১০৫ ভোটকেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্র্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সব প্রার্থীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আশা করি প্রার্থীরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
রিফাত নৌকা, সাক্কু টেবিল ঘড়ি
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৫ মেয়র প্রার্থী ও ১৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। শুক্রবার (২৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে নগরীর রাস্তায় রাস্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মাইকিং-প্রচারণা। প্রথম দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও এলাকা থেকে সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। তবে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও মনিরুল হক সাক্কু আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেননি।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক সংবলিত একটি কাগজ হস্তান্তর করেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন প্রতীক গ্রহণ করেন।
অন্য মেয়র প্রার্থীদের মাঝে রাশেদুল ইসলাম ছাড়া অপর ৩ মেয়র প্রার্থী উপস্থিত থেকে প্রতীকের কাগজ গ্রহণ করেন। মেয়র পদে আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) প্রতীক পেয়েছেন। একই অনুষ্ঠানে পরে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রথম দিনেই প্রচারণার শুরুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় কায়সার সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লা নগরীকে একটি আধুনিক নগরী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তিনি বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেননি। তাদের মধ্যে সাক্কু প্রতীক পেয়ে বাসায় ফিরে দিনভর দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দলের মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেছেন, বাদ মাগরিব নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন ও মিলাদ শেষে দলীয় নেতার্মীরা বসে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবেন এবং শনিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দুই মেয়াদে সিটির মেয়র থাকাকালীন নগরবাসীর অধিকাংশ সমস্যাই সমাধান করা হয়েছে এবং বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তিনি আজ সকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা গেছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী প্রচার কার্যালয় স্থাপন করছেন। অলিগলিতে ভোট চেয়ে মাইকিং করা হয়েছে এবং সাঁটানো হয়েছে পোস্টার।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আছেন মেয়র পদে ৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৩৬ জনসহ মোট ১৪৭ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে দুটি ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন দুই কাউন্সিলর। সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৬০০ ও নারী এক লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন। ১০৫ ভোটকেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্র্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সব প্রার্থীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আশা করি প্রার্থীরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।