বিবাহিত, অছাত্র, স্বজনপ্রীতি সহ নানা অভিযোগ
গত রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি গঠনের চার দিন না পেরোতেই নানান অভিযোগে ৩২ জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ খোদ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। বিবাহিত, অছাত্র, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় এমন অসংখ্যজনকে পদায়িত করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম বলেন, যারা পদে আসতে পারেনি, তারাই ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পূর্বে ছাত্রদলের কোনো পদে না থেকেও সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছে বেশ কয়েকজন। অভিযোগ আছে, স্বজনপ্রীতি এবং মাইম্যান রাজনীতির অংশ হিসেবে পকেট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক সহ-সভাপতিসহ ৩২ জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থগিত হওয়া পদের নেতাদের মধ্যে ১৯ জনই বিবাহিত। আর ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিতদের পদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাগত কোনো সনদ না থাকাসহ সংগঠনের বেধে দেওয়া সময়ের আগে এসএসসি পাস করা ও বিদেশে অবস্থান করা নেতারাও রয়েছেন এই তালিকায়।
যাদের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে তারা হলেন- সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ইউনুচ আলী রাহুল, মো. সালাহউদ্দিন, আকন মামুন, খায়রুল আলম সবুজ, মারজুক আহমেদ, জুয়েল মৃধা, সালেহ মো. আদনান, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন সুজন। সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাইনুল ইসলাম সোহান, কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজু, এস এম ফয়সাল, কামরুজ্জামান কামরুল, মীর ইমরান হোসেন মিথুন, বাছিরুল ইসলাম রানা, আজিজুল হক জিয়ন, আরিফুর রহমান আমিন, মিজানুর রহমান মিজান, ফেরদৌস হোসেন ফয়সাল, আল মামুন, আরিবা নিশীথ। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, এম এ রহিম শেখ, শহীদুল ইসলাম নয়ন, মামুন মজুমদার, নজরুল ইসলাম রাঢ়ী। সহ আইন সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, সহ পাঠাগার সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিচ ও সহ অর্থ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, তার বিরুদ্ধে পদ বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগও দেননি। মূলত, ছাত্রদলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করার জন্য কেউ এটা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে- তার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০০৩ সালের সার্টিফিকেট তো অনলাইনে কারোরটাই পাওয়া যাবে না। তার সব সার্টিফিকেটের মূল কপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সমর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।
সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন বলেন, তার বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি এরকম প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন এবং যে কোনো শাস্তি মেনে নিবেন।
এদিকে, স্থগিত ৩২ জনের বাইরেও অনেকের বিরুদ্ধে আছে বিস্তর অভিযোগ। ১ নং সহ-সভাপতি তানজিল হাসান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিবাহিত। যদিও তানজিল সংবাদকে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কেউ আমার ছবি ইডিট করে আমাকে বিবাহিত করে প্রচার করেছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ২০৪ নং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব বিশ্বাস। তার বিরুদ্ধেও বিবাহিতের অভিযোগ আছে।
৬৫ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান এবং ২০৯ নং সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাগর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বে তাদের কোনো পদ নেই।
সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহারিয়ার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী হয়েও অতীতের কোন কমিটিতে কোন পদ না থাকা সত্ত্বেও সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়িত।
১৮৬ নং সহ-সাংগঠনিক সৈয়দ ফয়সাল হোসেন কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রাবনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে ৬ মাস রাজনীতি করে পূর্বে কোন পদ না নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
রেজাউল করিম তাহসান ৪২ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বে তার কোন পদ নেই। জসিম উদ্দিন সম্রাট ১৬৪ নং সহ সম্পাদক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বে কোন পদ নেই। যুগ্ম সম্পাদক আকন মামুন বিবাহিত।
এদিকে কমিটি ঘোষণার দিন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন পদবঞ্চিতরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদবঞ্চিত নেতা সংবাদকে বলেন, কমিটিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ছাড়া তেমন কাউকে পদ দেওয়া হয়নি। ত্যাগী, পরিশ্রমী ও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কমিটিতে অনেকের জায়গা হয়নি। আমরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মামলা হামলার শিকার হচ্ছি অথচ নিজ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের সাথে স্বৈরাচারী আচরণ করছে।
সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছি। তারপরেও যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেজন্য সাময়িকভাবে এ পদগুলো স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে নির্দোষদের সসম্মানে পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বজনপ্রীতি এবং মাইম্যান রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়ি যশোর। কিন্তু কমিটিতে যশোরের কয়জন আছে? বরং কমিটিতে সকল জেলার নেতা-কর্মীদেরই যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন করা হয়েছে।
পূর্বে কোনো পদে না থেকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে রাজনীতি করে আসছে। কিন্তু সেগুলোতে কোনো কমিটি ছিল না। আমরা কি তাদের মূল্যায়ন করবো না?
বিবাহিত, অছাত্র, স্বজনপ্রীতি সহ নানা অভিযোগ
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
গত রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি গঠনের চার দিন না পেরোতেই নানান অভিযোগে ৩২ জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ খোদ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। বিবাহিত, অছাত্র, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় এমন অসংখ্যজনকে পদায়িত করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম বলেন, যারা পদে আসতে পারেনি, তারাই ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পূর্বে ছাত্রদলের কোনো পদে না থেকেও সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছে বেশ কয়েকজন। অভিযোগ আছে, স্বজনপ্রীতি এবং মাইম্যান রাজনীতির অংশ হিসেবে পকেট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক সহ-সভাপতিসহ ৩২ জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, স্থগিত হওয়া পদের নেতাদের মধ্যে ১৯ জনই বিবাহিত। আর ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিতদের পদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাগত কোনো সনদ না থাকাসহ সংগঠনের বেধে দেওয়া সময়ের আগে এসএসসি পাস করা ও বিদেশে অবস্থান করা নেতারাও রয়েছেন এই তালিকায়।
যাদের পদ স্থগিত রাখা হয়েছে তারা হলেন- সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ইউনুচ আলী রাহুল, মো. সালাহউদ্দিন, আকন মামুন, খায়রুল আলম সবুজ, মারজুক আহমেদ, জুয়েল মৃধা, সালেহ মো. আদনান, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন সুজন। সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাইনুল ইসলাম সোহান, কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাজু, এস এম ফয়সাল, কামরুজ্জামান কামরুল, মীর ইমরান হোসেন মিথুন, বাছিরুল ইসলাম রানা, আজিজুল হক জিয়ন, আরিফুর রহমান আমিন, মিজানুর রহমান মিজান, ফেরদৌস হোসেন ফয়সাল, আল মামুন, আরিবা নিশীথ। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, এম এ রহিম শেখ, শহীদুল ইসলাম নয়ন, মামুন মজুমদার, নজরুল ইসলাম রাঢ়ী। সহ আইন সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, সহ পাঠাগার সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিচ ও সহ অর্থ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, তার বিরুদ্ধে পদ বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগও দেননি। মূলত, ছাত্রদলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করার জন্য কেউ এটা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে- তার শিক্ষাগত সার্টিফিকেট অনলাইনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ২০০৩ সালের সার্টিফিকেট তো অনলাইনে কারোরটাই পাওয়া যাবে না। তার সব সার্টিফিকেটের মূল কপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সমর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।
সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন বলেন, তার বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি এরকম প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন এবং যে কোনো শাস্তি মেনে নিবেন।
এদিকে, স্থগিত ৩২ জনের বাইরেও অনেকের বিরুদ্ধে আছে বিস্তর অভিযোগ। ১ নং সহ-সভাপতি তানজিল হাসান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিবাহিত। যদিও তানজিল সংবাদকে বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কেউ আমার ছবি ইডিট করে আমাকে বিবাহিত করে প্রচার করেছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ২০৪ নং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব বিশ্বাস। তার বিরুদ্ধেও বিবাহিতের অভিযোগ আছে।
৬৫ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান এবং ২০৯ নং সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাগর। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বে তাদের কোনো পদ নেই।
সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহারিয়ার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী হয়েও অতীতের কোন কমিটিতে কোন পদ না থাকা সত্ত্বেও সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়িত।
১৮৬ নং সহ-সাংগঠনিক সৈয়দ ফয়সাল হোসেন কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রাবনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে ৬ মাস রাজনীতি করে পূর্বে কোন পদ না নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
রেজাউল করিম তাহসান ৪২ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বে তার কোন পদ নেই। জসিম উদ্দিন সম্রাট ১৬৪ নং সহ সম্পাদক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বে কোন পদ নেই। যুগ্ম সম্পাদক আকন মামুন বিবাহিত।
এদিকে কমিটি ঘোষণার দিন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন পদবঞ্চিতরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদবঞ্চিত নেতা সংবাদকে বলেন, কমিটিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ছাড়া তেমন কাউকে পদ দেওয়া হয়নি। ত্যাগী, পরিশ্রমী ও যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কমিটিতে অনেকের জায়গা হয়নি। আমরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মামলা হামলার শিকার হচ্ছি অথচ নিজ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের সাথে স্বৈরাচারী আচরণ করছে।
সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছি। তারপরেও যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেজন্য সাময়িকভাবে এ পদগুলো স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে নির্দোষদের সসম্মানে পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বজনপ্রীতি এবং মাইম্যান রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়ি যশোর। কিন্তু কমিটিতে যশোরের কয়জন আছে? বরং কমিটিতে সকল জেলার নেতা-কর্মীদেরই যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন করা হয়েছে।
পূর্বে কোনো পদে না থেকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে রাজনীতি করে আসছে। কিন্তু সেগুলোতে কোনো কমিটি ছিল না। আমরা কি তাদের মূল্যায়ন করবো না?