চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে জনসভা সফল করতে আগে থেকে কাজ শুরু করেছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নগরজুড়ে চলছে সাজসজ্জার কাজও। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের এই জনসভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়ন থাকবে বলে জানালেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আগামী ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, নিরাপত্তার খাতিরে পুরো নগরজুড়ে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো চট্টগ্রাম মহানগরে আমাদের ৬ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে বাইরে আরও দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় উৎসব। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজন ভালো। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, শহরজুড়ে নিরাপত্তা থাকবে। ওইদিন যারা মিছিলে আসবেন, গাড়ি কোথায় রাখবেন সেটা আমরা পরে বলে দেব। তিনি আরও বলেন, ওইদিন স্কুলের পরীক্ষা আছে। সেদিকে আমাদের নজর আছে। আমরা অভিভাবকদের বলব আপনারা হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। তবে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের খবর দিলে আমরা গাড়ি করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেব।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সবদিকে নজর রেখেছি। খোঁজ-খবর রাখছি। তাই আমরা বলতে পারি নাশকতা হতে পারে এমন কোন খবর বা শঙ্কা নেই।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ জনসভা থেকে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে হয়তো তিনি জনগণের কাছে আগামীর চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বার্তা পাঠাতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রিয় নেত্রীর আগমনে খুবই খুশি। আমরা সেদিন স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে আমাদের নেত্রীকে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিতে চাই চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের জনসভায় তারা জনসমাগমের রেকর্ড গড়তে চান। জনসভায় অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আশপাশের মানুষ যাতে শুনতে পায় এজন্য লাগানো হবে ৩০০ মাইক। পলোগ্রাউন্ডে সাত ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১২০ ফুট ও প্রস্থ হবে ১৪০ ফুট। মঞ্চে এক সঙ্গে ২০০ অতিথি বসতে পারবেন।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। এ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হয়। তবে বিএনপির জনসভার চেয়ে বেশি লোক সমাগম ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা কাজ শুরু করেছেন। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। পাশাপাশি উপজেলাগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ জনসভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি সভা করা হচ্ছে।
এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা হচ্ছে। সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। এ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগকে ভাড়া করে লোক আনতে হবে না। মানুষ নিজ থেকেই আসবে।
এদিকে আয়োজন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীকে পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রবেশের পথ সুগম ও মসৃণ করে তোলা হয়েছে। জনসভায় আগত জনসাধারণের কোন সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য সুপেয় পানি, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে জনসভা সফল করতে আগে থেকে কাজ শুরু করেছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নগরজুড়ে চলছে সাজসজ্জার কাজও। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের এই জনসভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়ন থাকবে বলে জানালেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আগামী ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, নিরাপত্তার খাতিরে পুরো নগরজুড়ে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো চট্টগ্রাম মহানগরে আমাদের ৬ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে বাইরে আরও দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, এটা চট্টগ্রামের জন্য বড় উৎসব। নিরাপত্তার জন্য আমাদের আয়োজন ভালো। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, শহরজুড়ে নিরাপত্তা থাকবে। ওইদিন যারা মিছিলে আসবেন, গাড়ি কোথায় রাখবেন সেটা আমরা পরে বলে দেব। তিনি আরও বলেন, ওইদিন স্কুলের পরীক্ষা আছে। সেদিকে আমাদের নজর আছে। আমরা অভিভাবকদের বলব আপনারা হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। তবে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের খবর দিলে আমরা গাড়ি করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেব।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সবদিকে নজর রেখেছি। খোঁজ-খবর রাখছি। তাই আমরা বলতে পারি নাশকতা হতে পারে এমন কোন খবর বা শঙ্কা নেই।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ জনসভা থেকে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে হয়তো তিনি জনগণের কাছে আগামীর চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বার্তা পাঠাতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রিয় নেত্রীর আগমনে খুবই খুশি। আমরা সেদিন স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে আমাদের নেত্রীকে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিতে চাই চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের জনসভায় তারা জনসমাগমের রেকর্ড গড়তে চান। জনসভায় অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আশপাশের মানুষ যাতে শুনতে পায় এজন্য লাগানো হবে ৩০০ মাইক। পলোগ্রাউন্ডে সাত ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১২০ ফুট ও প্রস্থ হবে ১৪০ ফুট। মঞ্চে এক সঙ্গে ২০০ অতিথি বসতে পারবেন।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। এ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জনসমাগম হয়। তবে বিএনপির জনসভার চেয়ে বেশি লোক সমাগম ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা কাজ শুরু করেছেন। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। পাশাপাশি উপজেলাগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ জনসভায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি সভা করা হচ্ছে।
এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা হচ্ছে। সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। এ সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগকে ভাড়া করে লোক আনতে হবে না। মানুষ নিজ থেকেই আসবে।
এদিকে আয়োজন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীকে পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রবেশের পথ সুগম ও মসৃণ করে তোলা হয়েছে। জনসভায় আগত জনসাধারণের কোন সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য সুপেয় পানি, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হবে।