বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার লেকচার হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
"উন্নয়ন ও দুর্ভিক্ষের রাজনীতি:কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ" শীর্ষক এ আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল। সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি জাবির আহমেদ জুবেলের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ঢাবি শাখার সদস্য সাইফ আল রিদওয়ান।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ১৯৪৩ ও ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষে খাদ্য উৎপাদনে কোনো ঘাটতি ছিল না। সেসময় সাপ্লাই চেইন ভেঙে গিয়েছিল এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছিল।কৃত্রিম সংকট তথা গুদামজাতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক দূর্বলতাও দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিল। বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন ১৯৭৪ সালের তুলনায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন-আড়াই গুনের মত। সে হিসেবেতো খাদ্য সংকট তথা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার কথা না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং জিনিসের দাম বৃদ্বির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছে। যার কারণে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬৫ ভাগ মানুষ কখনো না কখনো অনাহারে থাকছে। দেশে একটা নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। বাংলাদেশের ক্যাপিটালিস্ট শ্রেণী গত কয়েক দশকে সংঘবদ্ধ হয়েছে। তারা এদেশকে মুনাফা ও সম্পদ সংগ্রহের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের কোনো আওয়ামী লীগ, বিএনপি নাই।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও এদেশে পাবলিক ইন্টারেস্টের সাথে সম্পর্কিত কোনো কিছুরই উন্নতি হয়নি। পাবলিক হেলথ, এডুকেশন, ট্রান্সপোর্ট সবকিছুরই বেহাল দশা। পাবলিক হাসপাতাল থেকে সেবা নেয়ার কোনো পরিবেশ নেই। শিক্ষার বানিজ্যিকিকরণ চলছে। ইভেনিং কোর্স, কোচিং, গাইডের রমরমা ব্যবসা চলছে। সরকার মেট্রোরেল, ছয় লেন, আট লেনে বেশি আগ্রহী। কেননা এগুলোতে লুটপাট চালানো যায়। কিন্তু রেলওয়ের উন্নতিতে তাদের কোনো মনোযোগ নেই। গ্লোবাল ফিনানশিয়াল মার্কেট তথা আইএমএফ, হু-ুএর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটা আশীর্বাদ। এদের এমন একটা ব্যবস্থা দরকার যেখানে কোনো ট্রান্সপারেন্সি থাকবে না।
ড. মাহা মির্জা বলেন, দুর্ভিক্ষ একদিনে হয় না। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় আজকের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিবিদরা এগুলা নিয়ে কখনো কথা বলেনি। যা কিছু ঘটছে এগুলার পেছনে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট সংগঠনের ম্যানিপুলেটেড ইনফরমেশন ও মিডিয়া ট্রায়াল সবচেয়ে বেশি দায়ী।
সাদিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পুলিশ ধ্বংস, সেনাবাহিনী ধ্বংস। দ্রব্যমূল্যর দাম লাগামহীন। তবুও তারা ক্ষমতা থেকে নামবে না। ফ্যাসিবাদি সরকার যখন ক্ষমতায় থাকায় যা হবার তাই হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা
বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার লেকচার হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
"উন্নয়ন ও দুর্ভিক্ষের রাজনীতি:কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ" শীর্ষক এ আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল। সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি জাবির আহমেদ জুবেলের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ঢাবি শাখার সদস্য সাইফ আল রিদওয়ান।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ১৯৪৩ ও ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষে খাদ্য উৎপাদনে কোনো ঘাটতি ছিল না। সেসময় সাপ্লাই চেইন ভেঙে গিয়েছিল এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছিল।কৃত্রিম সংকট তথা গুদামজাতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক দূর্বলতাও দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিল। বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন ১৯৭৪ সালের তুলনায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন-আড়াই গুনের মত। সে হিসেবেতো খাদ্য সংকট তথা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার কথা না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং জিনিসের দাম বৃদ্বির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছে। যার কারণে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬৫ ভাগ মানুষ কখনো না কখনো অনাহারে থাকছে। দেশে একটা নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। বাংলাদেশের ক্যাপিটালিস্ট শ্রেণী গত কয়েক দশকে সংঘবদ্ধ হয়েছে। তারা এদেশকে মুনাফা ও সম্পদ সংগ্রহের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের কোনো আওয়ামী লীগ, বিএনপি নাই।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও এদেশে পাবলিক ইন্টারেস্টের সাথে সম্পর্কিত কোনো কিছুরই উন্নতি হয়নি। পাবলিক হেলথ, এডুকেশন, ট্রান্সপোর্ট সবকিছুরই বেহাল দশা। পাবলিক হাসপাতাল থেকে সেবা নেয়ার কোনো পরিবেশ নেই। শিক্ষার বানিজ্যিকিকরণ চলছে। ইভেনিং কোর্স, কোচিং, গাইডের রমরমা ব্যবসা চলছে। সরকার মেট্রোরেল, ছয় লেন, আট লেনে বেশি আগ্রহী। কেননা এগুলোতে লুটপাট চালানো যায়। কিন্তু রেলওয়ের উন্নতিতে তাদের কোনো মনোযোগ নেই। গ্লোবাল ফিনানশিয়াল মার্কেট তথা আইএমএফ, হু-ুএর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটা আশীর্বাদ। এদের এমন একটা ব্যবস্থা দরকার যেখানে কোনো ট্রান্সপারেন্সি থাকবে না।
ড. মাহা মির্জা বলেন, দুর্ভিক্ষ একদিনে হয় না। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় আজকের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিবিদরা এগুলা নিয়ে কখনো কথা বলেনি। যা কিছু ঘটছে এগুলার পেছনে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট সংগঠনের ম্যানিপুলেটেড ইনফরমেশন ও মিডিয়া ট্রায়াল সবচেয়ে বেশি দায়ী।
সাদিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পুলিশ ধ্বংস, সেনাবাহিনী ধ্বংস। দ্রব্যমূল্যর দাম লাগামহীন। তবুও তারা ক্ষমতা থেকে নামবে না। ফ্যাসিবাদি সরকার যখন ক্ষমতায় থাকায় যা হবার তাই হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হবে।