গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দেয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি এই চিঠিটি ইস্যু হয়। আজ শনিবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করে তার বিরুদ্ধে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠির অনুলিপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠির বক্তব্য ভাষ্য, সাবেক মেয়র এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাজীপুর মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গণনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। এরপর তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জাহাঙ্গীর আলমের লিখিত আবেদন পর্যালোচনা করে এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করার বিষয়টি সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, ‘জাহাঙ্গীর তো অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারটা মওকুফ করেছে। যারাই আবেদন করেছে তাদেরকেই ক্ষমা করেছে। একশর মতো ছিল। অনেকে কলহে-বিবাদে জড়িয়েছে, শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এগুলো ক্ষমা করা হয়েছে।’
শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দেয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি এই চিঠিটি ইস্যু হয়। আজ শনিবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করে তার বিরুদ্ধে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠির অনুলিপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠির বক্তব্য ভাষ্য, সাবেক মেয়র এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাজীপুর মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গণনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। এরপর তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
জাহাঙ্গীর আলমের লিখিত আবেদন পর্যালোচনা করে এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করার বিষয়টি সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন, ‘জাহাঙ্গীর তো অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারটা মওকুফ করেছে। যারাই আবেদন করেছে তাদেরকেই ক্ষমা করেছে। একশর মতো ছিল। অনেকে কলহে-বিবাদে জড়িয়েছে, শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এগুলো ক্ষমা করা হয়েছে।’