জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। কিসের ভোট! তোমাদের ভোটও আমরা দেব। কথায় কথায় বলে, গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ ৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়।
‘আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। ভোটাধিকার চাই। গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজকে যে সংসদ আছে, সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদেরকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাই। দেশের মানুষকে বাঁচাতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা একটি অসম যুদ্ধ সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক পিস্তল গ্রেনেড, যা তারা ছুঁড়ে মারে আর আমাদের নামে মামলা দেয়।
অনুষ্ঠানে আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করবে না। আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারকে কারাগারে রেখে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে, এটা বিএনপি করবে না। আজকে প্রশাসন যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তারা এমন করতে বাধ্য হচ্ছে। সেজন্য বিএনপি এরও কোন পরিশোধ নেবে না।
বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, শহীদুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. হানিফ প্রমুখ।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। কিসের ভোট! তোমাদের ভোটও আমরা দেব। কথায় কথায় বলে, গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। অথচ তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ ৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়।
‘আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই। ভোটাধিকার চাই। গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজকে যে সংসদ আছে, সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদেরকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাই। দেশের মানুষকে বাঁচাতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা একটি অসম যুদ্ধ সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক পিস্তল গ্রেনেড, যা তারা ছুঁড়ে মারে আর আমাদের নামে মামলা দেয়।
অনুষ্ঠানে আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করবে না। আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারকে কারাগারে রেখে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে, এটা বিএনপি করবে না। আজকে প্রশাসন যে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তারা এমন করতে বাধ্য হচ্ছে। সেজন্য বিএনপি এরও কোন পরিশোধ নেবে না।
বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, শহীদুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. হানিফ প্রমুখ।