আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায় হয়ে সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছে কতটা অসহায়, তা প্রমাণ হয়েছে। সে হিরো হয়েছে একটি মাত্র কারণে, প্রমান করেছে সে। তারা (আওয়ামী লীগ) সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। হিরো আলম প্রমাণ করেছেন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবদুস সাত্তার (উকিল আবদুস সাত্তার) যিনি দল ত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাকে আওয়ামী লীগ নিজের লোক মনে করে তাকে জয়ী করতে বিরোধী প্রার্থীকে গুম করতে হয়।’
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবীতে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) বিএনপি
‘এই সমাবেশ জাতীয় অ¯িতত্বকে রক্ষা করাবার জন্য’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন, জাতীয় স্বাধীনতাটাকে রক্ষা করবার আন্দোলন। আমাদের এই যাত্রা, জাতি হিসেবে টিকে রাখার যাত্রা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু চাপার জোরে টিকে আছে। বারবার মিথ্যা কথা বলে মানুষকে তারা প্রতারিত করতে চায়।
বিএনপির আন্দোলন জাতির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন দাবি করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে, সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ। এই ভোটাধিকার হরণকারীদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, তা ২ ফেব্রুয়ারির উপ-নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
‘বাজারে অবস্থা আপনারা জানেন? এক লাফে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বেড়েছে। আজকে মা-বোনেরা এখানে আছেন। তারা জানেন, কী কষ্ট করে তাদেরকে সংসার চালাতে হয় তাও তুলে ধরে ফখরুল। ’
‘মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চাল, ডাল, গ্যাসের দাম বেড়েছে, সে দাম কত? গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। এই মুহূর্তে মানুষ সরকারের পতন দেখতে চায়। এই সরকার গরিব সাধারণ মানুষের দিকে তাকায় না। তার উল্টো দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে।’
‘উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক ঋণ লাগে’ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঠিক আছে, কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে, কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করছে। ঋণ এনে ফ্ল্যাট কেনেন, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করেন তাহলে সেই ঋণের টাকা বাংলাদেশের মানুষ পরিশোধ করবে কেনে? ঋণের টাকা আনবেন আর আমাদের জনগনের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাবে। ’
ভুলে ভরা পাঠাপুস্তক প্রকাশের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের কৃষ্টি, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ, আমাদের ঐতিহ্য সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করেছে।’
সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করে পর্যায়ক্রমে উপজেলা-জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি হবে। তারপরে চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ঢাকা মহানগরেও এ পদযাত্রা কর্মসূচি হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির উত্তর ও দক্ষিণের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন প্রমূখ।
শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায় হয়ে সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছে কতটা অসহায়, তা প্রমাণ হয়েছে। সে হিরো হয়েছে একটি মাত্র কারণে, প্রমান করেছে সে। তারা (আওয়ামী লীগ) সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। হিরো আলম প্রমাণ করেছেন আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবদুস সাত্তার (উকিল আবদুস সাত্তার) যিনি দল ত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাকে আওয়ামী লীগ নিজের লোক মনে করে তাকে জয়ী করতে বিরোধী প্রার্থীকে গুম করতে হয়।’
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবীতে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) বিএনপি
‘এই সমাবেশ জাতীয় অ¯িতত্বকে রক্ষা করাবার জন্য’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন, জাতীয় স্বাধীনতাটাকে রক্ষা করবার আন্দোলন। আমাদের এই যাত্রা, জাতি হিসেবে টিকে রাখার যাত্রা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু চাপার জোরে টিকে আছে। বারবার মিথ্যা কথা বলে মানুষকে তারা প্রতারিত করতে চায়।
বিএনপির আন্দোলন জাতির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন দাবি করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে, সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র এবং গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ। এই ভোটাধিকার হরণকারীদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, তা ২ ফেব্রুয়ারির উপ-নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
‘বাজারে অবস্থা আপনারা জানেন? এক লাফে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বেড়েছে। আজকে মা-বোনেরা এখানে আছেন। তারা জানেন, কী কষ্ট করে তাদেরকে সংসার চালাতে হয় তাও তুলে ধরে ফখরুল। ’
‘মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চাল, ডাল, গ্যাসের দাম বেড়েছে, সে দাম কত? গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। এই মুহূর্তে মানুষ সরকারের পতন দেখতে চায়। এই সরকার গরিব সাধারণ মানুষের দিকে তাকায় না। তার উল্টো দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠছে।’
‘উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক ঋণ লাগে’ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঠিক আছে, কিন্তু তারা উন্নয়নের নামে ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে, কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করছে। ঋণ এনে ফ্ল্যাট কেনেন, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করেন তাহলে সেই ঋণের টাকা বাংলাদেশের মানুষ পরিশোধ করবে কেনে? ঋণের টাকা আনবেন আর আমাদের জনগনের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাবে। ’
ভুলে ভরা পাঠাপুস্তক প্রকাশের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের কৃষ্টি, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ, আমাদের ঐতিহ্য সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করেছে।’
সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করে পর্যায়ক্রমে উপজেলা-জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি হবে। তারপরে চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ঢাকা মহানগরেও এ পদযাত্রা কর্মসূচি হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির উত্তর ও দক্ষিণের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন প্রমূখ।