alt

রাজনীতি

সংসদকে খাটো করতে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল বিএনপি : কাদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কামরাঙ্গীরচরে আ’লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপি জাতীয় সংসদকে খাটো করতে মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে বগুড়ায় উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গত বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট শরীক জাসদের প্রার্থীর কাছে ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তার অভিযোগ ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এমন কিছুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তার (ফখরুল)। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কোন কর্মসূচি দিচ্ছি না। তারা কর্মসূচি করছে নয়াপল্টনে, আমরা করছি কামরাঙ্গীরচরে। পাল্টাপাল্টি হলে তো বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম।’

বিএনপিকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোন পাল্টাপাল্টি নয়, কিন্তু আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন কর্মসূচি থাকবে।’ বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান আমল ভালো ছিল, ফখরুল সাহেব বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের এখন কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাসের আমদানি সমান রিজার্ভ আছে, পাকিস্তানের ৩ সপ্তাহ আমদানি সমানও রিজার্ভ নেই। পাকিস্তান এখন আইএমএফের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সে পাকিস্তান আপনাদের ভালো লাগে। আপনারা যদি ক্ষমতায় যান, বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের মতো হবে। আমরা সেটা হতে দেব না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশি দামে পণ্য কিনে আমাদের কম দামে সরবরাহ করতে হয়। এ অবস্থায় আপনারা কিছুটা কষ্টে আছেন। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছেন। নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন, যাতে আপনাদের এ কষ্ট কেটে যায়।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘দেশকে তারেক, সন্ত্রাস, হাওয়া ভবন, অর্থপাচারের কাছে তুলে দেবেন? তা না হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।’ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে।’

এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছিলেন কোর্টে, দুঃসময়ে। তখন অনেককেই পাওয়া যায়নি। উনার জনপ্রিয়তা আছে। এমন লোককে নির্বাচিত করলে দুঃসময়ে অন্ধকারে আলো পাবেন।’

দল করলে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, এমন কাজ করলে দলের, সরকারের ক্ষতি হয়। যারা ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সখ্য রাখে; তাদের আওয়ামী লীগ করার কোন অধিকার নেই। খারাপ লোক এনে পার্টি করানোর দরকার নেই। ভালো লোক, ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করুন। বসন্তের কোকিলদের খারাপ সময়ে পাওয়া যাবে না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ সমাবেশ পরিচালনা করেন।

ছবি

বিএনপি পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত: ওবায়দুল কাদের

ছবি

যারা দেশই চায়নি, তারাই এখন ক্ষমতায় যেতে মরিয়া : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো : শিক্ষামন্ত্রী

ছবি

আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে : ফখরুল

ছবি

সংলাপের চিঠি পাঠানো সরকারের নতুন কৌশল : ফখরুল

ছবি

বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি : কাদের

ছবি

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

ছবি

ফখরুল দেশের সব অপশক্তির মুখপাত্র: ওবায়দুল কাদের

নোয়াখালীতে কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ছবি

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী নোমান

ছবি

জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

রমজানে বিএনপিকে কর্মসূচি দিতে বাধ্য করেছে সরকার: ফখরুল

ছবি

লন্ডনের ওহি মুখ বন্ধ করে মানতে বাধ্য হন ফখরুল সাহেবরা : কাদের

ছবি

বিএনপিকে আলোচনায় বসাতে ইসি’র আমন্ত্রণ

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনো ফিরে আসবে না : তথ্যমন্ত্রী

ছবি

ছাত্রলীগে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটে আমাদের লজ্জা লাগে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

বিএনপির আন্দোলন চোরাবালিতে আটকে গেছে: ওবায়দুল কাদের

ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিলেন কাদের

ছবি

দেশে এসেছেন আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

ছবি

আওয়ামী লীগ মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করে না: ফখরুল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

ছবি

শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

ছবি

বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে: কাদের

১১ বছর ধরে নিখোঁজ, তবুও সিলেট বিএনপিতে ইলিয়াস

ছবি

শর্তসাপেক্ষে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: বিএনপির মোশাররফ

ছবি

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি

বিএনপি দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়: ওবায়দুল কাদের

সোমবার কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচন

ছবি

সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল: কাদের

রংপুর বিভাগে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন জোটের কোন অস্তিত্ব নেই বলে দাবি বিএনপি নেতাকর্মীদের

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চললে বিশ্বনেতা হওয়া সম্ভব: টুকু

ছবি

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: হাছান মাহমুদ

ছবি

আইনজীবি সমিতির নির্বাচন বাতিলের দাবি মির্জা ফখরুলের

ছবি

বিএনপির প্রতিনিধিদল ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায়

ছবি

বিএনপি অসুস্থ, চতুর্থ ডোজ করোনার টিকা নিতে বললেন হাছান মাহমুদ

tab

রাজনীতি

সংসদকে খাটো করতে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছিল বিএনপি : কাদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

কামরাঙ্গীরচরে আ’লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের

শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিএনপি জাতীয় সংসদকে খাটো করতে মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে বগুড়ায় উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে।’

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

গত বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোট শরীক জাসদের প্রার্থীর কাছে ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তার অভিযোগ ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এমন কিছুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল তার (ফখরুল)। তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কোন কর্মসূচি দিচ্ছি না। তারা কর্মসূচি করছে নয়াপল্টনে, আমরা করছি কামরাঙ্গীরচরে। পাল্টাপাল্টি হলে তো বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম।’

বিএনপিকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কোন পাল্টাপাল্টি নয়, কিন্তু আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন কর্মসূচি থাকবে।’ বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তান আমল ভালো ছিল, ফখরুল সাহেব বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের এখন কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাসের আমদানি সমান রিজার্ভ আছে, পাকিস্তানের ৩ সপ্তাহ আমদানি সমানও রিজার্ভ নেই। পাকিস্তান এখন আইএমএফের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সে পাকিস্তান আপনাদের ভালো লাগে। আপনারা যদি ক্ষমতায় যান, বাংলাদেশের অবস্থা পাকিস্তানের মতো হবে। আমরা সেটা হতে দেব না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশি দামে পণ্য কিনে আমাদের কম দামে সরবরাহ করতে হয়। এ অবস্থায় আপনারা কিছুটা কষ্টে আছেন। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছেন। নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন, যাতে আপনাদের এ কষ্ট কেটে যায়।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘দেশকে তারেক, সন্ত্রাস, হাওয়া ভবন, অর্থপাচারের কাছে তুলে দেবেন? তা না হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।’ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে।’

এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছিলেন কোর্টে, দুঃসময়ে। তখন অনেককেই পাওয়া যায়নি। উনার জনপ্রিয়তা আছে। এমন লোককে নির্বাচিত করলে দুঃসময়ে অন্ধকারে আলো পাবেন।’

দল করলে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, এমন কাজ করলে দলের, সরকারের ক্ষতি হয়। যারা ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সখ্য রাখে; তাদের আওয়ামী লীগ করার কোন অধিকার নেই। খারাপ লোক এনে পার্টি করানোর দরকার নেই। ভালো লোক, ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করুন। বসন্তের কোকিলদের খারাপ সময়ে পাওয়া যাবে না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ সমাবেশ পরিচালনা করেন।

back to top