মৌলভীবাজারে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি এবং আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিলকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে অশান্ত হয়ে পড়েছিল মৌলভীবাজার শহরর। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান চোখের নিচে আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল ১১ মার্চ শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উভয় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুপুর ১২টার দিকে শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করে। আওয়ামীলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে মানববন্ধন কর্মসুচির জন্য শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থায় মিছিলটি পুণরায় শহীদ মিনার এলাকায় ফিলে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারসংলগ্ন পৌর চত্বরে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ সেখানেও বিস্তৃত হয়। এরপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৌর চত্বর থেকে শাহ মোস্তফা সড়কের দিকে চলে যায়।
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে। তাঁরা ইটপাটকেল, পাথর নিক্ষেপ করেছেন। এম নাসের রহমানসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। চৌমোহনার দিক থেকে আসা একটি মিছিল আমাদেও মানব বন্ধন কর্মসুচিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মৌলভীবাজারে কর্মসূচিতে হামলার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শনিবার দুপুরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বলেছেন, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে তাঁরা হামলা করেছেন। মৌলভীবাজারে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। এ হামলার মাধ্যমে সিলেট বিভাগে সহনশীল রাজনীতির শিষ্টাচার ভঙ্গ হলো। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান বলেন, আমাদের শান্তি সমাবেশ ছিল। আধা ঘণ্টা পরে আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়ে যেত। শেষ পর্যায়ে এসে তারা সমস্যা করেছে। পায়ে পা লাগিয়ে গন্ডগোল করতে চেয়েছে। মৌলভীবাজারে এমন ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা অন্য জায়গায় পরে কর্মসূচি করতে পারত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মো. নাসের রিকাবদার বলেন, পুলিশ এক মিনিটের মধ্যে অ্যাকশনে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্রুত দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
মৌলভীবাজারে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি এবং আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিলকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে অশান্ত হয়ে পড়েছিল মৌলভীবাজার শহরর। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান চোখের নিচে আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গতকাল ১১ মার্চ শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উভয় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। দুপুর ১২টার দিকে শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করে। আওয়ামীলীগ কর্মীরা মিছিল নিয়ে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে মানববন্ধন কর্মসুচির জন্য শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থায় মিছিলটি পুণরায় শহীদ মিনার এলাকায় ফিলে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারসংলগ্ন পৌর চত্বরে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ সেখানেও বিস্তৃত হয়। এরপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৌর চত্বর থেকে শাহ মোস্তফা সড়কের দিকে চলে যায়।
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে। তাঁরা ইটপাটকেল, পাথর নিক্ষেপ করেছেন। এম নাসের রহমানসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। চৌমোহনার দিক থেকে আসা একটি মিছিল আমাদেও মানব বন্ধন কর্মসুচিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মৌলভীবাজারে কর্মসূচিতে হামলার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শনিবার দুপুরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বলেছেন, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে তাঁরা হামলা করেছেন। মৌলভীবাজারে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। এ হামলার মাধ্যমে সিলেট বিভাগে সহনশীল রাজনীতির শিষ্টাচার ভঙ্গ হলো। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুর রহমান বলেন, আমাদের শান্তি সমাবেশ ছিল। আধা ঘণ্টা পরে আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়ে যেত। শেষ পর্যায়ে এসে তারা সমস্যা করেছে। পায়ে পা লাগিয়ে গন্ডগোল করতে চেয়েছে। মৌলভীবাজারে এমন ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা অন্য জায়গায় পরে কর্মসূচি করতে পারত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মো. নাসের রিকাবদার বলেন, পুলিশ এক মিনিটের মধ্যে অ্যাকশনে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্রুত দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।