ভোটের আগের দিন গাজীপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে হবে না- এমন কথা বলায় প্রাথীতা বাতিল হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমানের।
কথার মাধ্যমে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।গাজীপুরে ভোটগ্রহণের ঠিক আগের দিন বুধবার নির্বাচন কমিশন আজিজুরের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।
আজিজুর রহমান সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে মিছিল ও জনসভা করেন। নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হবে না – তার এমন বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় আসে। তা দেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন আজিজুরকে তলব করে ইসি। তার বক্তব্য শোনাসহ এই সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং তা স্বীকার করার প্রেক্ষিতে লাঠিম প্রতীকে কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে (ইসি)।
সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর নির্বাচন হয় নির্দলীয় প্রতীকে। মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। আর পুবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর কাউন্সিলর পদে লড়ছেন অদলীয় প্রতীক লাটিম নিয়ে।
বেআইনি মিছিল, জনসভা ও ত্রাস সৃষ্টি এবং ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৯১ এবং সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬-এর বিধি ৩১ ও ৩২ এর পরিপন্থি।
ইসি সচিব জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে চার নির্বাচন কমিশনার এর সামনে ব্যাখ্যা দেওয়ার পর প্রার্থী ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তা গৃহীত হয়নি। পরে কমিশন ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে’ এ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে।
এরফলে আজিজুর আর বৃহস্পতিবারের ভোটে থাকছেন না। ইভিএমের ভোটের ব্যালটে তার প্রতীকও থাকবে না। এখন ওই ওয়ার্ডে অন্য যে দুই প্রার্থী রয়েছেন, তাদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।
ইসির সিদ্ধান্তে হতাশ আজিজুর সাংবাদিকদের বলেন, কাল নির্বাচন, আর কিছু করার নেই। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মতো সুযোগও তো আর নেই।
বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
ভোটের আগের দিন গাজীপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে হবে না- এমন কথা বলায় প্রাথীতা বাতিল হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমানের।
কথার মাধ্যমে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে।গাজীপুরে ভোটগ্রহণের ঠিক আগের দিন বুধবার নির্বাচন কমিশন আজিজুরের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়।
আজিজুর রহমান সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে মিছিল ও জনসভা করেন। নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হবে না – তার এমন বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় আসে। তা দেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন আজিজুরকে তলব করে ইসি। তার বক্তব্য শোনাসহ এই সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং তা স্বীকার করার প্রেক্ষিতে লাঠিম প্রতীকে কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে (ইসি)।
সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর নির্বাচন হয় নির্দলীয় প্রতীকে। মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। আর পুবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর কাউন্সিলর পদে লড়ছেন অদলীয় প্রতীক লাটিম নিয়ে।
বেআইনি মিছিল, জনসভা ও ত্রাস সৃষ্টি এবং ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৯১ এবং সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬-এর বিধি ৩১ ও ৩২ এর পরিপন্থি।
ইসি সচিব জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে চার নির্বাচন কমিশনার এর সামনে ব্যাখ্যা দেওয়ার পর প্রার্থী ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তা গৃহীত হয়নি। পরে কমিশন ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে’ এ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে।
এরফলে আজিজুর আর বৃহস্পতিবারের ভোটে থাকছেন না। ইভিএমের ভোটের ব্যালটে তার প্রতীকও থাকবে না। এখন ওই ওয়ার্ডে অন্য যে দুই প্রার্থী রয়েছেন, তাদের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।
ইসির সিদ্ধান্তে হতাশ আজিজুর সাংবাদিকদের বলেন, কাল নির্বাচন, আর কিছু করার নেই। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার মতো সুযোগও তো আর নেই।