কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কে বেশকিছু মোটরসাইকেলে আগুন ও গাড়ি ভাঙচুরসহ চৌদ্দগ্রাম বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, চৌদ্দগ্রামের সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৫-৬টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজারে মঙ্গলবার (৬ জুন) বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় আওয়ামী লীগের অন্য একটি গ্রুপ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে। সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাজমহল হোটেল এলাকা, মিয়া বাজার, নোয়া বাজার, চিওড়া, গুণবতীসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের এলাকায় স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক এমপির অনুসারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাস্তার মাথায় সশস্ত্র অবস্থান করে। এ সময় তাদের নেতাকর্মীদের চৌদ্দগ্রামের সমাবেশস্থলে আসতে বাধার সৃষ্টি ও মারধর করে।
এমতাবস্থায় চৌদ্দগ্রাম ট্রেনিং সেন্টারে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক সমর্থিতরা চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংর্ঘষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকা অনেকটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মহাসড়কের একাধিক গাড়িতে আগুনসহ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম ফুড এন্ড সুইটস নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহতদের মধ্যে মনসুর আজাদ, যুবলীগ নেতা ফরাশউদ্দিন রিপন ও গুলিবিদ্ধ জুয়েল এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের অনুসারী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বলেন, ওরা আমাদের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। জামায়াত-বিএনপির এজেন্টরা এই কাজ করেছে। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রাম অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, এএসপি সার্কেল জাহিদুল ইসলাম এবং চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে অবস্থান নেয়। কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কে বেশকিছু মোটরসাইকেলে আগুন ও গাড়ি ভাঙচুরসহ চৌদ্দগ্রাম বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, চৌদ্দগ্রামের সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলার যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৫-৬টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজারে মঙ্গলবার (৬ জুন) বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময় আওয়ামী লীগের অন্য একটি গ্রুপ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে। সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাজমহল হোটেল এলাকা, মিয়া বাজার, নোয়া বাজার, চিওড়া, গুণবতীসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের এলাকায় স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক এমপির অনুসারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাস্তার মাথায় সশস্ত্র অবস্থান করে। এ সময় তাদের নেতাকর্মীদের চৌদ্দগ্রামের সমাবেশস্থলে আসতে বাধার সৃষ্টি ও মারধর করে।
এমতাবস্থায় চৌদ্দগ্রাম ট্রেনিং সেন্টারে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক সমর্থিতরা চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংর্ঘষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকা অনেকটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মহাসড়কের একাধিক গাড়িতে আগুনসহ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম ফুড এন্ড সুইটস নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহতদের মধ্যে মনসুর আজাদ, যুবলীগ নেতা ফরাশউদ্দিন রিপন ও গুলিবিদ্ধ জুয়েল এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের অনুসারী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বলেন, ওরা আমাদের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। জামায়াত-বিএনপির এজেন্টরা এই কাজ করেছে। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রাম অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, এএসপি সার্কেল জাহিদুল ইসলাম এবং চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে অবস্থান নেয়। কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।