১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল রোববার
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত। এবারের আসরে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে খেলতে আসা রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে ১০ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ^কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গে ১২৫ রানে জয়ী হয়েছিল টিম অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডেতে এ বছর এনিয়ে দুই দলের অষ্টম ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
১৯৮৩ ও ২০১১ সালের পর তৃতীয় শিরোপা জয়ের পথে টানা ১০ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয়ী হয়েছে ভারত। নিজেদের মাঠে সুবিধাকে পরিপূর্ণ কাজে লাগিয়ে ফাইনালে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই তারা খেলতে নামছে।
ক্রিকেটপাগল দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর কোনো বৈশি^ক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি। যে কারণেই রোববারের ফাইনালটি অন্যরকম এক আমেজ এনে দিয়েছে ভারতীয়দের সামনে। কিন্তু প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও ছেড়ে দেয়ার দল নয়। প্রথম দুই ম্যাচে হার দিয়ে বিশ^কাপ শুরু করার পর অস্ট্রেলিয়াকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রেকর্ড অষ্টম বিশ^কাপ ফাইনালে খেলতে আসা দলটির মধ্যে ভিন্ন কিছু যে অবশ্যই রয়েছে তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত।
১৯৮৩ সালে বিশ^কাপজয়ী দলের সদস্য সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ‘এটা একটি অবিশ^াস্য ম্যাচ হতে চলেছে। পাঁচবারের বিশ^চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। এই দলটি জানে অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ফিরে আসতে হয়। তারা জানে ফাইনালে কীভাবে খেলতে হয় এবং জিততে হয়। সে কারণেই আমি বিশ^াস করি ভারতের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু একই সঙ্গে রোহিত শর্মার দলের ওপরও আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’
ওয়ানডে বিশ^কাপের পাঁচ শিরোপা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ^কাপের শিরোপা জয় করেছিল। এ বছরের শুরুতে ভারতকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরও শিরোপা জয় করে অসিরা।
চার সপ্তাহ আগে চেন্নাইয়ে গ্রুপপর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে অলআউট করে ৬ উইকেটে জিতেছিল ভারত। লক্ষেèৗতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে পরাজিত হওয়ার পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটে পরাজিত করে প্রতিশোধ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মুম্বাইয়ে আরেক সেমিফাইনালে ভিরাট কোহলির রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে পরাজিত করে ভারত।
এই মুহূর্তে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৭১১ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ৫৫০ রান নিয়ে তালিকার পরের অবস্থানে রয়েছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেন রোহিতকে ‘প্রকৃত নায়ক’ আখ্যা দিয়েছেন।
মোহাম্মদ সামি ২৩ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সামি রেকর্ড গড়েন।
আসরের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের পর অস্ট্রেলিয়া নিজেদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। টানা সাত গ্রুপ ম্যাচে জয়ী অস্ট্রেলিয়ারর জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল স্বপ্ন পূরণের ম্যাচ। ৭ উইকেটে ৯১ রান সংগ্রহ করা অস্ট্রেলিয়া যখন পরাজয়ের ক্ষণ গুনছিল তখন ত্রাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১ রানের অভাবনীয় এক ইনিংস খেলে তিনি সকলের মন জয় করেন।
২২ উইকেট পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনর অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে পেসার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড সঠিক সময়ে নিজেদের প্রমাণ করে চলেছেন। ১২ ওভারের মধ্যে সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের ২৪ রানে ৪ উইকেট দখল করেন স্টার্ক ও হ্যাজেলউড। ৩৪ রানে স্টার্ক ৩টি ও ১২ রানে হ্যাজেলউড নিয়েছেন ২ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার সে বোলার হ্যাজেলউড বলেছেন, ‘এ বছর আমরা তাদের সঙ্গে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি। যে কারণে দলটি আমাদের কাছে পরিচিত। একই কথা তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত অবশ্যই ভালো দল। পুরো টুর্নামেন্টে তারা সেটার প্রমাণ দিয়েছে। তাদের দলে সত্যিকার অর্থে কোনো দুর্বলতা নেই। ফাইনাল ম্যাচটির জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।’
সেমিফাইনালে রোহিত (৪৭) ও শুভমন গিলের (৮০) ব্যাটিংয়ে ভর করে দূরন্ত সূচনা করা ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু হ্যাজেলউড চার সপ্তাহ আগে গ্রুপপর্বে ভারতকে শুরুতে চেপে ধরার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। ঐ ম্যাচে ২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ভারত ২০০ রান সংগ্রহ করেছিল। ভারতীয় টপ অর্ডার সম্পর্কে হ্যাজেলউড বলেন, ‘আশা করছি আগের ম্যাচের মতো আমরা আবারও শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে পারবো। যে কারণে ভারতের রান বেশিদূর এগুতে পারেনি।’
ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে সব টিকেট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছে পুরো ক্রিকেট বিশ^।
‘দুই’ রিচার্ড ফাইনালে আম্পায়ার
ফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডেরই রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং রিচার্ড ক্যাটেলবোরা।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ^কাপের ফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পেলেন ক্যাটেলবোরা। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন ৫০ বছর বয়সী ক্যাটেলবোরা। ওই ফাইনালে ক্যাটেলবোরা সঙ্গী ছিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা।
চলমান বিশ^কাপের সেমিফাইনালেও অনফিল্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইলিংওয়ার্থ এবং ক্যাটেলবোরা। ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম সেমিতে ইলিংওয়ার্থ এবং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিতে ছিলেন ক্যাটেলবোরা।
এছাড়া ফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলস এবং চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গাফানি। ম্যাচ রেফারির হিসেবে থাকবেন জিম্বাবুয়ের এন্ডি পাইক্রফট।
১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল রোববার
শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত। এবারের আসরে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে খেলতে আসা রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া ১ লাখ ৩০ হাজার সমর্থকের সামনে ১০ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ^কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গে ১২৫ রানে জয়ী হয়েছিল টিম অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডেতে এ বছর এনিয়ে দুই দলের অষ্টম ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
১৯৮৩ ও ২০১১ সালের পর তৃতীয় শিরোপা জয়ের পথে টানা ১০ ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয়ী হয়েছে ভারত। নিজেদের মাঠে সুবিধাকে পরিপূর্ণ কাজে লাগিয়ে ফাইনালে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই তারা খেলতে নামছে।
ক্রিকেটপাগল দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর কোনো বৈশি^ক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি। যে কারণেই রোববারের ফাইনালটি অন্যরকম এক আমেজ এনে দিয়েছে ভারতীয়দের সামনে। কিন্তু প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও ছেড়ে দেয়ার দল নয়। প্রথম দুই ম্যাচে হার দিয়ে বিশ^কাপ শুরু করার পর অস্ট্রেলিয়াকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রেকর্ড অষ্টম বিশ^কাপ ফাইনালে খেলতে আসা দলটির মধ্যে ভিন্ন কিছু যে অবশ্যই রয়েছে তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত।
১৯৮৩ সালে বিশ^কাপজয়ী দলের সদস্য সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, ‘এটা একটি অবিশ^াস্য ম্যাচ হতে চলেছে। পাঁচবারের বিশ^চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। এই দলটি জানে অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ফিরে আসতে হয়। তারা জানে ফাইনালে কীভাবে খেলতে হয় এবং জিততে হয়। সে কারণেই আমি বিশ^াস করি ভারতের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু একই সঙ্গে রোহিত শর্মার দলের ওপরও আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’
ওয়ানডে বিশ^কাপের পাঁচ শিরোপা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ^কাপের শিরোপা জয় করেছিল। এ বছরের শুরুতে ভারতকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরও শিরোপা জয় করে অসিরা।
চার সপ্তাহ আগে চেন্নাইয়ে গ্রুপপর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে অলআউট করে ৬ উইকেটে জিতেছিল ভারত। লক্ষেèৗতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে পরাজিত হওয়ার পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটে পরাজিত করে প্রতিশোধ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মুম্বাইয়ে আরেক সেমিফাইনালে ভিরাট কোহলির রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে পরাজিত করে ভারত।
এই মুহূর্তে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৭১১ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ৫৫০ রান নিয়ে তালিকার পরের অবস্থানে রয়েছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেন রোহিতকে ‘প্রকৃত নায়ক’ আখ্যা দিয়েছেন।
মোহাম্মদ সামি ২৩ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সামি রেকর্ড গড়েন।
আসরের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের পর অস্ট্রেলিয়া নিজেদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। টানা সাত গ্রুপ ম্যাচে জয়ী অস্ট্রেলিয়ারর জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল স্বপ্ন পূরণের ম্যাচ। ৭ উইকেটে ৯১ রান সংগ্রহ করা অস্ট্রেলিয়া যখন পরাজয়ের ক্ষণ গুনছিল তখন ত্রাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১ রানের অভাবনীয় এক ইনিংস খেলে তিনি সকলের মন জয় করেন।
২২ উইকেট পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনর অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে পেসার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড সঠিক সময়ে নিজেদের প্রমাণ করে চলেছেন। ১২ ওভারের মধ্যে সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের ২৪ রানে ৪ উইকেট দখল করেন স্টার্ক ও হ্যাজেলউড। ৩৪ রানে স্টার্ক ৩টি ও ১২ রানে হ্যাজেলউড নিয়েছেন ২ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার সে বোলার হ্যাজেলউড বলেছেন, ‘এ বছর আমরা তাদের সঙ্গে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি। যে কারণে দলটি আমাদের কাছে পরিচিত। একই কথা তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত অবশ্যই ভালো দল। পুরো টুর্নামেন্টে তারা সেটার প্রমাণ দিয়েছে। তাদের দলে সত্যিকার অর্থে কোনো দুর্বলতা নেই। ফাইনাল ম্যাচটির জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।’
সেমিফাইনালে রোহিত (৪৭) ও শুভমন গিলের (৮০) ব্যাটিংয়ে ভর করে দূরন্ত সূচনা করা ভারত ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু হ্যাজেলউড চার সপ্তাহ আগে গ্রুপপর্বে ভারতকে শুরুতে চেপে ধরার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। ঐ ম্যাচে ২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ভারত ২০০ রান সংগ্রহ করেছিল। ভারতীয় টপ অর্ডার সম্পর্কে হ্যাজেলউড বলেন, ‘আশা করছি আগের ম্যাচের মতো আমরা আবারও শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে পারবো। যে কারণে ভারতের রান বেশিদূর এগুতে পারেনি।’
ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে সব টিকেট ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছে পুরো ক্রিকেট বিশ^।
‘দুই’ রিচার্ড ফাইনালে আম্পায়ার
ফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডেরই রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং রিচার্ড ক্যাটেলবোরা।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ^কাপের ফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পেলেন ক্যাটেলবোরা। এর আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন ৫০ বছর বয়সী ক্যাটেলবোরা। ওই ফাইনালে ক্যাটেলবোরা সঙ্গী ছিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা।
চলমান বিশ^কাপের সেমিফাইনালেও অনফিল্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইলিংওয়ার্থ এবং ক্যাটেলবোরা। ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম সেমিতে ইলিংওয়ার্থ এবং অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিতে ছিলেন ক্যাটেলবোরা।
এছাড়া ফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলস এবং চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গাফানি। ম্যাচ রেফারির হিসেবে থাকবেন জিম্বাবুয়ের এন্ডি পাইক্রফট।