ব্যক্তিগত ৬৩ রানের মাথায় নিশ্চিত জীবন পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন তাইজুল। এরপর ৭০ রানের মাথায় আবারও বেঁচে গেলেন কিউই এই বিধ্বংসী ব্যাটার। এবার ক্যাচ জমাতে ব্যর্থ হলেন শরিফুল। বারবার জীবন পাওয়া উইলিয়ামসনের ব্যাটে লড়ছে সফরকারীরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছে কিউইরা। এখনো ১২১ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত আছেন ১৪১ বলে ৭২ রানে। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন ২১ বলে ১১ রান করা গ্লেন ফিলিপস।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের শুরুটা ছিল মসৃণ। টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে শুরু করেছিলেন ধীরলয়ে। ওভারপ্রতি ৩ করে রান এসেছে। সিলেটের স্পিনিং উইকেটে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুজন। তবে সেটা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি। ১৩তম ওভারে প্রথম বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। টম ল্যাথাম সুইপ করতে চেয়েছিলেন। তবে সেটা ব্যাটে-বলে হয়নি। ফাইন লেগে ক্যাচ নেন নাঈম হাসান।
১৬তম ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ডেভন কনওয়েকে ১২ রানে বিদায় দেন মিরাজ। ৪৪ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস।
অবশ্য লাঞ্চ বিরতির পর নিকোলসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি পেসার শরিফুল। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন হেনরি নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে গড়া ৯৪ বলে ৫৪ রানের জুটি।
তিন উইকেট হারানোর পরও ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে এগোচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটির রান পঞ্চাশ ছাড়ায়। পরে মিচেলকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন তাইজুল। অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেওয়া বল বেরিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন মিচেল। কিন্তু ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। উইকেটের পেছনে বল ধরেই বেলস ফেলে দেন সোহান। ৪১ রান করে ফিরেছেন মিচেল।
অবশ্য মাত্র ৪ রানে থাকা অবস্থায় মিচেলকে সাজঘরে পাঠানোর দারুণ সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে বল মিচেলের ব্যাটের কানা ঘেঁষে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।জয়-সোহানরা আবেদন করেছিলেন। যদিও তেমন জোরালো আবেদন ছিল না। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি তাতে। টাইগার অধিনায়ক শান্তও আর রিভিউ নেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিচেলের ব্যাটের কানা ছুঁয়েছে ওই বল। অর্থাৎ রিভিউ নিলে সাফল্য পেত বাংলাদেশ।
মিচেলের পর ক্রিজে নামা টম ব্লান্ডেলকে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না নাইম। কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে ৬ করেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ব্যক্তিগত ৬৩ রানের মাথায় নিশ্চিত জীবন পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন তাইজুল। এরপর ৭০ রানের মাথায় আবারও বেঁচে গেলেন কিউই এই বিধ্বংসী ব্যাটার। এবার ক্যাচ জমাতে ব্যর্থ হলেন শরিফুল। বারবার জীবন পাওয়া উইলিয়ামসনের ব্যাটে লড়ছে সফরকারীরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করেছে কিউইরা। এখনো ১২১ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত আছেন ১৪১ বলে ৭২ রানে। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন ২১ বলে ১১ রান করা গ্লেন ফিলিপস।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের শুরুটা ছিল মসৃণ। টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে শুরু করেছিলেন ধীরলয়ে। ওভারপ্রতি ৩ করে রান এসেছে। সিলেটের স্পিনিং উইকেটে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুজন। তবে সেটা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি। ১৩তম ওভারে প্রথম বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। টম ল্যাথাম সুইপ করতে চেয়েছিলেন। তবে সেটা ব্যাটে-বলে হয়নি। ফাইন লেগে ক্যাচ নেন নাঈম হাসান।
১৬তম ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ডেভন কনওয়েকে ১২ রানে বিদায় দেন মিরাজ। ৪৪ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস।
অবশ্য লাঞ্চ বিরতির পর নিকোলসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি পেসার শরিফুল। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন হেনরি নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার বিদায়ে ভাঙে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে গড়া ৯৪ বলে ৫৪ রানের জুটি।
তিন উইকেট হারানোর পরও ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে এগোচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটির রান পঞ্চাশ ছাড়ায়। পরে মিচেলকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন তাইজুল। অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেওয়া বল বেরিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন মিচেল। কিন্তু ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। উইকেটের পেছনে বল ধরেই বেলস ফেলে দেন সোহান। ৪১ রান করে ফিরেছেন মিচেল।
অবশ্য মাত্র ৪ রানে থাকা অবস্থায় মিচেলকে সাজঘরে পাঠানোর দারুণ সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে বল মিচেলের ব্যাটের কানা ঘেঁষে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।জয়-সোহানরা আবেদন করেছিলেন। যদিও তেমন জোরালো আবেদন ছিল না। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি তাতে। টাইগার অধিনায়ক শান্তও আর রিভিউ নেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিচেলের ব্যাটের কানা ছুঁয়েছে ওই বল। অর্থাৎ রিভিউ নিলে সাফল্য পেত বাংলাদেশ।
মিচেলের পর ক্রিজে নামা টম ব্লান্ডেলকে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না নাইম। কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে ৬ করেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।